জীবনযাত্রায় অনেক বদল আসে। পরিসংখ্যান বলছে, ৫১ শতাংশের বেশি প্রাপ্তব.স্করা কখনওই রাতে ঘুমান না। এর পিছনে রয়েছে অন্য কারণ। দিনের বেলায় ক্লান্ত বোধ করায় শরীরকে একটু বিশ্রাম দিতে অল্প-স্বল্প ঘুমিয়ে নেন। বিশেষ করে দুপুর থেকে বিকেলের মধ্যে প্রবীণ ও শিশুরা এক ঘণ্টা থেকে ২ ঘণ্টা ঘুমিয়ে নেয়। এই অল্প সময়ের কম ঘুমানোকেই আমরা পাওয়ার ন্যাপ বলে থাকি। পাওয়ার ন্যাপের মানেই কম সময় শরীরকে সতেজ ও চাঙ্গা করতে ও পরবর্তী পারফরম্যান্স যাতে ভাল হয়, তারজন্য নিজেকে প্রস্তুত করা।
অনেকেই বলেন পাওয়ার ন্যাপ নেওয়া ভাল। তবে এই স্বল্প সময়ের ঘুমের প্রয়োজনীয়তা ও সুবিধা-অসুবিধাও রয়েছে, সেগুলি দেখে নেওয়া যাক একনজরে…
১. দিন-রাত যাঁরা কাজ করে চলেছেন, তাঁদের জন্য অবশ্যই ঘুমের প্রয়োজন। যখনই শারীরিক ও মানসিকভাবে নিস্তেজ বোধ হবে, তখনই শক্তি সঞ্চারের জন্য এক ঘণ্টার একটি ছোট ঘুমের প্রয়োজন হয়। এতে কাজের ক্ষেত্রে বা জীবনের নানান পরিস্থিতিতে কোনও বড় সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হয়। কারণ ওই একঘণ্টার ঘুমেই শরীর ও মস্তিষ্ক ফুল চার্জ হয়ে যায়। মনকে দারুণ ভাবে সক্রিয় ও সতেজ করে তোলে।
২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও দরকার ঘুম। সাইটোকাইনস নামে একটি প্রোটিন রয়েছে, যা ঘুমের সময় উত্পন্ন হয়। এই প্রোটিন সংক্রমণ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে বিশেষ কাজ করে। আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঘুমের সময় ভালো প্রতিক্রিয়া দেখায়। এই কারণেই ডাক্তাররাপরামর্শ দেন যখনই আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ি তখন যতটা সম্ভব বিশ্রাম নেওয়া প্রয়োজন।
৩, অধ্যয়নের পর ঘুমানো হলে মস্তিষ্ক সতেজ থাকে,স্মৃতিশক্তি বাড়ে, সতর্ক হয় এবং স্মৃতি ধরে রাখতে সাহায্য করে।
৪. সপ্তাহে এক বা দুবার নিয়মিত পাওয়ার ন্যাপ নিলে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক থেকে নিরাপদ রাখতে পারে।
৫. দুপুরে ঘুমানো কিন্তু বেশ কার্যকরী। শারীরিক দক্ষতা, কার্যকরী শিক্ষা, কম চাপ, সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং উন্নত স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার করতে পারে। যে মহিলারা রাতে ঘুম থেকে বঞ্চিত হন তাদের জন্য হরমোনের উপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। তাই পাওয়ার ন্যাপ হরমোনের প্রভাবকেহ্রাস করতে পারে।
৬. এক ঘণ্টা বা তার কম সময়ের জন্য ঘুমানোই যথেষ্ট। তবে এটি যদি সময়ের মাত্রা বেড়ে যায় তাহলে স্থূলতা, অলসতা, কার্ডিওভাসকুলার রোগ এবং ডায়াবেটিস হতে পারে। মেটাবলিজম সিন্ড্রোমের জন্য আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়।