পুষ্টিকর খাবারে সমস্ত ভিটামিন এবং খনিজের নিখুঁত মিশ্রণ থাকা উচিত। অল্প কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ পরিমাণে কার্বস, প্রোটিন এবং চর্বি প্রতিদিনের ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। একটি স্বাস্থ্যকর খাবারের অভ্যেস বজায় রাখার জন্য সমস্ত বৈশিষ্ট্যের উপস্থিতি অপরিহার্য।
সাপ্লিমেন্ট ব্যাপারটাকে একটি মেশিনের ছোট পার্ট বা বোল্ট হিসাবে ভাবা যেতে পারে। যার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বেশিরভাগের ক্ষেত্রে, এই অপরিহার্য পুষ্টিগুলি সাধারণত একটি দৈনিক সুষম খাদ্য থেকে আসে। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে, যেমন গর্ভাবস্থায় ভিটামিনের অভাবকে পর্যাপ্ত মাত্রায় পৌঁছানোর জন্য ভিটামিন সাপ্লিমেন্টের প্রয়োজন হতে পারে। এই সাপ্লিমেন্ট আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা বজায় রাখতেও সাহায্য করতে পারে।
সাধারণভাবে নেওয়া ভিটামিন এবং খনিজগুলির মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি ১২। যা স্নায়ু এবং রক্ত কোষকে সুস্থ রাখতে, ডিএনএ তৈরি করতে এবং রক্তাল্পতা প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। ফলিক অ্যাসিড গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে ভ্রূণের জন্মগত ত্রুটি কমাতে পারে। ভিটামিন ডি হাড়কে শক্তিশালী করতে পারে। ক্যালসিয়াম হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে। ভিটামিন সি এবং ই কোষের ক্ষতি রোধ করতে পারে। দস্তা ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে এবং বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ম্যাকুলার অবক্ষয়ের কারণে দৃষ্টিশক্তি হ্রাসের সম্ভাবনা কমাতে পারে। মাছের তেল হার্টের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখে। ভিটামিন এ বয়সের কারণে দৃষ্টিশক্তি হ্রাস রোধ করতে পারে এবং ইমিউন সিস্টেমের স্বাভাবিক ক্রিয়া বজায় রাখতে পারে।
বি ভিটামিন ক্লান্তি কমানোর ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখে। ভিটামিন ডি হাড়ের স্বাভাবিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ক্যালসিয়াম দাঁতের রক্ষণাবেক্ষণে অবদান রাখে। পটাসিয়াম স্বাভাবিক পেশীর কার্যক্রমে এবং ম্যাগনেসিয়াম স্বাভাবিক প্রোটিন সংশ্লেষণের সঙ্গে জড়িত।
গ্রেপশিড এবং ভিটামিন সি ক্যাপসুল:
গ্রেপশিড এবং ভিটামিন সি ক্যাপসুল আপনার দৈনিক প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি-এর পরিমাণ ঠিক রাখার একটি সহজ উপায়। যারা ভেজ ডায়েট অনুসরণ করেন তাদের জন্য এটি বিশেষ উপযুক্ত।
অপরিহার্য ওমেগা ৩:
ওমেগা ৩ একটি অপরিহার্য ফ্যাটি অ্যাসিড যা আপনি নিজের শরীরে তৈরি করতে পারবেন না। আপনাকে এটি খাবার থেকে পেতে হবে। যেহেতু এটি মাছের তেল থেকে আসে, আপনার কাছে এটা নেওয়ার মতো যথেষ্ট পরিমাণ সময় বা অর্থ নাও থাকতে পারে। তাই, ওমেগা ৩-এর ক্যাপসুল কিনে খেতে পারেন।
হলুদ এবং বায়োপেরিন ক্যাপসুল:
হলুদ বহু শতাব্দী ধরে আয়ুর্বেদিক ওষুধে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এর পাশাপাশি ভারতীয় খাবারের মূল উপাদান হিসাবে হলুদের ব্যবহার রয়েছে। বিদেশে হলুদ এবং বায়োপেরিনের ক্যাপসুলের ব্যবহার দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। এই ক্যাপসুলগুলির প্রতিটি ১০০০ মিলিগ্রাম হলুদ দিয়ে প্যাক করা হয়। ক্যাপসুলগুলিতে প্রতিটিতে ১০ মিলিগ্রাম বায়োপেরিন আছে। এটি একটি কালো মরিচের নির্যাস। এই শক্তিশালী ভারতীয় মশলার দারুণ উপকারিতা আছে।
আরও পড়ুন: দিনের বেলায় ‘পাওয়ার ন্যাপ’ নেওয়া স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপযুক্ত?
আরও পড়ুন: ‘ডবল চিন’ নিয়ে অস্বস্তি? মুখের অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে এই সহজ ব্য়ায়ামগুলি প্রতিদিন করলেই মিলবে ফল!