Diwali 2022: কালীপুজোয় কষ্ট বাড়ে অ্যাজমা, সিওপিডি রোগীদের! দ্রুত নিস্তার পেতে হাতের কাছে যেগুলি অবশ্যই রাখবেন

TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপ্তা দাস

Oct 22, 2022 | 9:53 AM

Asthma Attacks: শ্বাসকষ্টে ভোগেন এমন রোগীর উচিত দীপাবলির সময় ঘরের বাইরে না বেরনো। অ্যাজমা হলে বুকে মারাত্মক চাপ পড়ে। শ্বাসকষ্ট শুরু হয়।

Diwali 2022: কালীপুজোয় কষ্ট বাড়ে অ্যাজমা, সিওপিডি রোগীদের! দ্রুত নিস্তার পেতে হাতের কাছে যেগুলি অবশ্যই রাখবেন

Follow Us

দীপাবলি (Diwali 2022) নিঃসন্দেহে আনন্দের উৎসব, আলোর উৎসব। তবে বিভিন্ন ধরনের শব্দবাজি এবং আতশবাজি (Fire Crackers)  পোড়ালে যে ধোঁয়া তৈরি হয় তার থেকে পরিবেশ অত্যন্ত দূষিত হয়ে পড়ে। তার ফলে ভয়ঙ্কর সমস্যায় পড়েন ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (COPD)এবং অ্যাজমার রোগীর। দীপাবলি এলেই সাধারণ মানুষ আনন্দের উৎসব উদ্‌যাপনে কেনেন চমকদার পোশাক, জ্বালান মোমবাতি, প্রদীপ। কেউ কেউ জ্বালান আতশবাজি। বছরের এই নির্দিষ্ট সময়ে, মানুষ উৎসবের আবহে এতটাই মেতে থাকেন যে ব্রঙ্কাইটিস, অ্যাজমা, লাং ফাইব্রোসিস-এর মতো সমস্যা নিয়ে মাথা ঘামাতে ভুলে যান।

কোনওরকম প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারেও তাঁরা উদাসীন থাকেন। এখানেই শেষ নয়। দীপাবলির সময় বাতাসে দূষণ হয় মাত্রাছাড়া। বিভিন্ন টক্সিক পদার্থের মাত্রা থাকে মারাত্মকরকমভাবে বেশি। তাই অন্য যে কাজই করুন না কেন, প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিতে ভুলবেন না। অন্তত তাতে এই সময়ে ভয়ঙ্কর শ্বাসকষ্টে ভোগার থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। শ্বাসকষ্টে ভোগেন এমন রোগীর উচিত দীপাবলির সময় ঘরের বাইরে না বেরনো। অ্যাজমা হলে বুকে মারাত্মক চাপ পড়ে। শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সিওপিডি-এর রোগীকে হাসপাতালেও ভর্তি করতে হয়। তাই নিয়ম মানুন। সুস্থ থাকুন। কীভাবে নিস্তার পাবেন এহেন সমস্যা থেকে?

ব্যালান্স ডায়েট: দীপাবলির সময় বাড়িতে ভালোমন্দ রান্না হয়েই থাকে। তা বলে গলা পর্যন্ত ঠুসে খাদ্য খাবেন না। পেট ভর্তি করে খাবার খেলে অ্যাজমার রোগীর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যেতে পারে। এছাড়া মাত্রাতিরক্ত ফ্যাটযুক্ত খাদ্য খাওয়াও এড়িয়ে চলুন।

হাতের কাছে ইনহেলার: দীপাবলির সময় যেখানেই যান না কেন হাতের কাছে সবসময় ইনহেলার রেখে দিন। ফলে হুট করে অ্যাজমা অ্যাটাক শুরু হলে ইনহেলারের সাহায্যে অ্যাটাক আটকানো যাবে। এছাড়া চিকিৎসক নিয়মিত ইনহেলার বব্যহার করতে বললে কখনওই ইনহেলার নিতে ভুলবেন না।

এন৯৫ মাস্ক পরুন: বাড়ির বাইরে বেরতে হলে মুখে এন৯৫ মাস্ক পরুন। সেক্ষেত্রে ক্ষতিকারক ধোঁয়া আর ধুলো নাকের মাধ্যমে রেসপিরেটরি ট্র্যাক্টে পৌঁছতে পারবে না ও শ্বাসকষ্টও শুরু হবে না।.

জল পান: প্রতিদিন তিন লিটার জলপান অবশ্যই করতে হবে। না হলে শরীরে তৈরি হলে জলশূন্যতা। সম্ভব হলে সারাদিন ধরে ঈষদুষ্ণ জল অল্প অল্প করে পান করুন। সেক্ষেত্রে ক্ষতিকারক উপাদান শরীরে থেকে বেরিয়ে যাবে।

ধুলো থেকে বাঁচতে ঘরের ভিতর থাকুন: আগে থেকেই শ্বাসকষ্ট এবং ওই ধরনের সমস্যা থাকলে দীপাবলির সময় যতটা সময় পারবেন ঘরের ভিতরেই কাটান। কারণ এই সময় বাইরে বাজির ধোঁয়ায় আকাশ ঢেকে যায়। এই ধোঁয়া শ্বাসকষ্টের সমস্যা চরমে নিয়ে যেতে পারে।

মদ্যপানে না: অ্যাজমা রোগীর জন্য অ্যালকোহল মারাত্মক সমস্যা তৈরি করতে পারে। অ্যালকোহল এমনিতেই শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। দীপাবলির সময় বাতাসেও বিপুল মাত্রায় ক্ষতিকারক পদার্থ ঘুরে বেড়ায়। ফলে এই ধরনের সমস্যার উপর অ্যালকোহল পান করলে গোদের উপর বিষ ফোড়ার মতো অবস্থা তৈরি হবে। ফলে হুট করে অ্যাজমা রোগীর অ্যাটাক হতে পারে।

Next Article