Diwali 2022: উৎসবের মরশুমে দেদার চাখুন মিষ্টি-বিরিয়ানি! এই টিপসে বাড়বে না এক ফোঁটা ওজন!

Weight Loss Tips: উৎসব মানেই ডায়েট শিকেয়। মিনিটে মিনিটে সুস্বাদু মিষ্টি আর উপাদেয় খাদ্যের গলাধঃকরণ। ফলাফল ওজনবৃদ্ধি। আর মেদ একবার বাড়তে শুরু করলে তা ঝরানো খুব কঠিন। তাই উৎসবের মরশুমে মেনে চলুন কতকগুলি টিপস। দেখবেন সব খেলেও থাকছেন ঝরঝরে-ছিপছিপে!

Diwali 2022: উৎসবের মরশুমে দেদার চাখুন মিষ্টি-বিরিয়ানি! এই টিপসে বাড়বে না এক ফোঁটা ওজন!
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 22, 2022 | 9:54 AM

দোরগোড়ায় দীপাবলি (Diwali 2022)। আর কয়েকদিনের মধ্যেই ঘরবাড়ি সেজে উঠবে আলোয়। আলোর রোশনাইয়ে (Light of Festive) ঝলমলে হয়ে উঠবে সারা দেশ। অবশ্য ইতিমধ্যেই নানা জায়গায় শুরু হয়েছে উদযাপন। অনেকেই কিনছেন নতুন পোশাক, প্রিয়জনের জন্য উপহার। বাড়িতে বাড়িতে তৈরি হচ্ছে মিঠাই, চলছে সুস্বাদু পদ তৈরির আয়োজন। উৎসবের আবহে সারা শহরের বাতাস ম ম করছে উপাদেয় সব খাদ্যের সুগন্ধে। এমন পরিবেশে ওয়ার্কআউট যে শিকেয় উঠবে তা বলাই বাহুল্য। ব্রেক ছাড়াই এখন থেকেই অনেকে দুর্দান্ত সব খাদ্য চাখা শুরু করেছেন। সমস্যা হল, উৎসবের মরশুমে প্রতিবারই এই সমস্যায় জড়িয়ে পড়েন সকলে। প্রথমত, এক্সারসাইজ বন্ধ হয়ে যায়। শরীরচর্চা বন্ধ হলে একস্ট্রা ক্যালোরি ঝরানোও সম্ভব হয় না। আবার দীপাবলিতে বাড়িতে ও দোকানে প্রস্তুত বেশিরভাগ খাদ্যই হয় বিপুল মাত্রার ক্যালোরিযুক্ত।

বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি এইসময় খাওয়া হয়ে যায় কোনও নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই। এত পরিমাণে মিষ্টি ও উপাদেয় নানা পদ চাখার পরেও ওজন না বাড়াটাই আশ্চর্যের। সমস্যা হল, ওজন বাড়ানো সোজা। শুধু ঝরানোই অত্যন্ত কষ্টকর। এখন উৎসবের মরশুমে এই ধরনের অস্বাস্থ্যকর খাদ্য খাওয়া থেকে হয়তো পুরোপুরি নিজেকে বিরত রাখা সম্ভব হবে না। তবে কিছু টিপস মেনে চললে ওজন বৃদ্ধিটুকু নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। দেখা যাক কী কী টিপস মেনে চলতে পারেন ওজনবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে—

পরিমাণ: ধরুন হাতের সামনে রয়েছে মতিচুর, রসগোল্লা, পান্তুয়া, রাবড়ি, গোলাপজাম! এখন সবগুলি মিষ্টিই আপনার অতি পছন্দের। খেতেও ইচ্ছে করছে খুব। তাছাড়া সকলেই মুখের সামনে মনের সুখে খাবার খাচ্ছেন। এমতাবস্থায় কী করবেন? সবগুলো গোটা গোটা খাবেন? না কখনওই নয়। বরং মিষ্টিগুলোর অল্প পরিমাণ ভেঙে জিভে দিন। ধীরে ধীরে মিষ্টিগুলির স্বাদ আস্বাদন করুন। এভাবেই তৃপ্ত করুন রসনা। দেখবেন, মিষ্টির জন্য চাহিদাও মিটছে, আবার গোটা মিষ্টি খাওয়ার দরুন বাড়তি ক্যালোরিও শরীরে ঢুকছে না। ওজন বৃদ্ধিও থাকছে নিয়ন্ত্রণে। একইরকম কাজ করুন বিরিয়ানি, পোলাও, আইসক্রিমের মতো অনান্য খাদ্যের ক্ষেত্রেও।

ফাইবারযুক্ত খাদ্য খান: উৎসবের মরশুমে খাদ্য নির্বাচনে সতর্ক হন। ফাইবার যুক্ত খাদ্য বেশি করে খান। কারণ ফাইবারযুক্ত খাদ্য যেমন একদিকে আপনার পরিপাকতন্ত্র সুস্থ রাখে, তেমনই রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। এছাড়া ফাইবারযুক্ত খাদ্যে ক্যালোরির মাত্রাও থাকে কম। ফলে বেশি খেয়ে ফেললে যেমন দীর্ঘসময় পেট ভর্তি থাকার অনুভূতি মেলে, তেমনই ওজনও বাড়ে না। উচ্চ ফাইবার যুক্ত খাদ্যের মধ্যে রয়েছে ফল, শাকসব্জি ইত্যাদি।

ভালো ঘুম: উৎসবের হর্ষে ভেসে অনেকেই সারারাত গল্পগুজব, পার্টিতেই কাটিয়ে দেন। ফলে শরীর সঠিকভাবে বিশ্রাম পায় না। এর ফলে গভীর রাতে খিদে পেয়ে যায় আর তখন শর্করাজাতীয় খাদ্য খাওয়ার প্রতি অদম্য আকর্ষণ তৈরি হয়। আর এভাবেই বাড়ে ওজন। তাছাড়া ঘুম কম হলেও আমাদের ক্ষুধাবোধ বাড়ে। কারণ জাগ্রত অবস্থায় শরীরের কাজকর্ম চালিয়ে যাওয়ার জন্য দরকার পড়ে এনার্জির। তাই দিনের বেলাতেও আমাদের হঠাৎ হঠাৎ খিদে পেয়ে যায়। সেইসময় উলটোপালটা খাদ্য খাওয়ার প্রতি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলি আমরা। বাড়ে ওজন। তাই রাতে সঠিকভাবে ঘুম না হলেও দিনের বেলায় ন্যাপ নিতে ভুলবেন না।

জল পান: জল মানে জলই। কখনওই কার্বোনেটেড বেভারেজের বা ফলের রসের কথা বলা হচ্ছে না। কিংবা অ্যালকোহলের সঙ্গে মিশিয়ে যে জল পান করা হয় তার কথাও বলা হচ্ছে না। সারাদিনে তিন লিটার সাধারণ জল পান করতেই হবে। না হলে আনন্দে ভেসে জল পানের অভাবে শরীরে তৈরি হবে জলশূন্যতা। সেখান থেকে ডায়ারিয়া হওয়াও আশ্চর্য নয়। এছাড়া যে কোনও খাবার খাওয়ার দশ মিনিট আগে এক গ্লাস জল পান করে নিন। সেক্ষেত্রে পেট ভর্তি হওয়ার অনুভূতি মিলবে ও আজেবাজে খাদ্য খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

ফ্যাট: ঘি দেওয়া খাবার, তেলেভাজার মতো খাদ্য অবশ্যই বর্জন করতে হবে। ওইধরনের খাদ্য খেতে হলে সামান্য পরিমাণে খান। এই ধরনের খাদ্য গোটাগুটি কখনওই খাওয়া উচিত নয়। খেলেই বাড়বে ওজন যা ঝরাতে দীর্ঘ সময় লাগবে। তাই খাদ্য নির্বাচনের ব্যাপারে সচেতন হন। সুস্থ থাকুন। ভালো থাকুন।