ayurvedic tips: ঋতু পরিবর্তনে যে কোনও সংক্রমণজনিত সমস্যার সম্ভাবনাই বাড়ে। এবছর বসন্তের আমেজ কাটতে না কাটতেই হাজির গ্রীষ্ম। চৈত্রের শেষ থেকেই চড়ছিল তাপমাত্রার পারদ। বৈশাখের মাঝামাঝি সময়ে তা ছিল একেবারে তুঙ্গে। বেশ কিছু জেলায় পারদ ছিল ৪৪ ছুঁই ছুঁই। দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে চলতে থাকা তাপপ্রবাহে বহু মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন। শেষ তিন-চারদিন কালবৈশাখির দাপটে আবহাওয়া কিছুটা ঠান্ডা হয়েছে। সঙ্গে জাঁকিয়ে বসেছে সর্দি, কাশি, গলাব্যথা, জ্বরের মত বিভিন্ন উপসর্গ। এই সর্দি-জ্বরের সমস্যা বেশ ছোঁয়াচে। পরিবারের একজন সদস্য আক্রান্ত হলে সেখান থেকে বাকিরাও ভুগছেন। কিছুদনের ক্ষেত্রে জ্বরের সঙ্গে রয়েছে র্যাশের সমস্যাও। ফের বাড়ছে কোভিড সংক্রমণ। কোভিড আর সাধারণ ফ্লু এর উপসর্গ প্রায় একই। তাই এই সময়টায় সকলকেই একটু সাবধানে থাকতে হবে। আর সর্দি-জ্বরের সমস্যায় প্রথমেই মুঠো মুঠো অ্যান্টিবায়োটিক না খেয়ে ভরসা রাখুন ঘরোয়া এবং আর্য়ুবেদ প্রতিকারে।
ভেষজ চা
গত দু’বছর কোভিডকালে খুবই জনপ্রিয় ছিল এই চা। সংক্রমণ রুখতে অনেকেই ভয় থেকে কাড়া খেতেন। কিন্তু ভেষজ চা বা কাড়া আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। নিয়মিত ভাবে খেতে পারলে সংক্রমণজনিত সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়। আদা, তুলসি, গোলমরিচ, মধু, দারচিনি আর লবঙ্গ দিয়ে বানিয়ে নিন এই চা। কফ, সর্দি এবং খুশখুশে কাশির হাত থেকে মিলবে রেহাই। সেই সঙ্গে শ্বাসযন্ত্রও পরিষ্কার থাকবে।
পেঁয়াজ আর মধুর মিশ্রণ
সর্দি-গর্মির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ভীষণ ভাল কাজ করে পেঁয়াজ আর মধুর মিশ্রণ। পেঁয়াজ থেঁতো করে রস বের করে নিন এক চামচ মতো। এবার এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিন। দিনের মধ্যে দুবার খেতে পারলে উপকার পাবেন। যাদের শ্বাসকষ্ট বা অ্যাজমার সমস্যা রয়েছে তারাও নিয়মিত ভাবে পেঁয়াজ, মধু আর গোলমরিচের গুঁড়ো একসঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন।
হলুদ
হলুদের মধ্যে থাকা কারকিউমিন যে কোনও রকম সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে। সকালে হলুদ আর আদা দিয়ে চা বানিয়ে খেতে পারেন। নইলে রাতে ঘুমনোর আগে একগ্লাস ইষদুষ্ণ দুধের সঙ্গে মিশিয়ে নিন হলুদ। এতেও কিন্তু শরীর থাকবে সুস্থ। হলুদের মধ্যে থাকা প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ডিটক্সিফিকেশনেও সাহায্য করে।
মধু আর লবঙ্গ
প্যানে একগ্লাস মাপের জল নিন। এবার ওর মধ্যে ৫ টা লবঙ্গ ফেলে ভাল করে ফুটিয়ে নিন। এবার ওই জল ছেঁকে নিয়ে ওর মধ্যে এক চামচ মধু মিশিয়ে খান। এতে দূর হবে শরীরের ক্লান্তি। গলা খুশখুশ, কাশি কিংবা অ্যালার্জির সমস্যার হাত থেকেও মিলবে রেহাই।
তেল মালিশ
সেই আদ্যিকাল থেকে দিদিমা-ঠাকুমারা সর্দি হলে বুকে আর পায়ের চেটোতে সরষের তেল গরম করে মালিশ করতেন। এই ভাবে মালিশ করলে কফ, কাশির সমস্যার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়। যাঁদের দীর্ঘদিন ধরে বুকে কফ বসে রয়েছে তাদের জন্য কিন্তু এই টোটকা খুবই ভাল।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।