সকালে উঠে ব্রেকফাস্ট না করার অভ্যেস আছে নাকি! ঘুম থেকে উঠে একগ্লাস জল আর চা-বিস্কুট খেয়েই ভাবছেন, সকালের খাবার খাওয়া হয়ে গিয়েছে? কথাতেই রয়েছে, সকালের শুরুতেই যে খাবার খাবেন, তা একেবারের রাজার মতো খাওয়া উচিত। কিন্তু এই পদ্ধতি কতজন মেনে চলেন, সেই নিয়ে একটি সমীক্ষা করেছেন ওহিও স্টেট ইউনিভার্সিটি।
সমীক্ষায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ৩০ হাজারের বেশি প্রাপ্তবয়স্কের উপর পরীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, যাঁরা যাঁরা ব্রেকফাস্ট না করেই সোজা দুপুরের খাবার খেয়েছেন, তাঁদের শরীরের ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি-সহ আরও গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও খনিজের অভাবে অপুষ্টির লক্ষণ দেখা গিয়েছে। সমীক্ষার ফলাফল নিয়ে জার্নাল-প্রসিডিংস অব নিউট্রিশন সোসাইটিতে অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছিল।
সমীক্ষায় বলা হয়েছে, শিশুরা স্কুলে যাওয়ার তাড়ায় অনেকসময়ই সকালের খাবার এড়িয়ে যায়। তাতেও শিশুর স্বাস্থ্য ও মানসিক দিক থেকে প্রভাব পড়ে । কিন্তু একজন প্রাপ্তবয়স্ক যদি দিনের পর দিন প্রাতঃরাশ না করেন, তাহলে তাঁর শরীরের নানা রকম সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে । যাঁরা প্রতিদিন প্রাতঃরাশ করেন, তাঁদের তুলনায় একজন প্রাপ্ত বয়স্ক যিনি সকালের খাবার এড়িয়ে যান, তাঁর শরীরের অনেক কম ভিটামিন এবং খনিজ পাওয়া গিয়েছে। ফোলেট, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ভিটামিন এ, বি ১, বি২, বি ৩, সি এবং ডি অত্যাধিক পরিমাণে কম পাওয়া গিয়েছে।
আরও পড়ুন: আইভিএফ ব্যর্থ হলে বার বার গর্ভপাতের আশঙ্কা থাকে! এমন ধারণা ভুল
প্রসঙ্গত, এখনকার ব্যস্ত জীবন যাপনে ব্রেকফাস্ট স্কিপ করার প্রবণতা বেশি করে দেখা যাচ্ছে। অনেকেরই ধারণা, সকালের খাবার না খেলে শরীর থেকে দ্রুত মেদ কমে যায়, ওজন কমে যায়। তা কিন্তু মোটেই নয়। সকালে ওঠার ২ ঘন্টার মধ্যেই ব্রেকফাস্ট খেয়ে নেওয়া উচিত। কারণ সকালের দিকে আমাদের শরীরের মেটাবলিজমের হার অনেক বেশি থাকে৷ ফলে যা খাওয়া হয় তাই হজম হয়ে যায় আর পাশাপাশি ক্যালোরিও ক্ষয় হয় দ্রুত৷