Non-Alcoholic Fatty liver: মদ গলায় না ঢেলেও দেশের ৩৮% মানুষ ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত, জেনে নিন এই সমস্যার লক্ষণগুলি

TV9 Bangla Digital | Edited By: megha

Jul 31, 2023 | 8:45 AM

Liver Disease: ভারতীয়দের এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত। নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারে প্রাথমিক পর্যায়ে কোনও উপসর্গ দেখা দেয় না। পাশাপাশি অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের মতো গুরুতর জটিলতাও সৃষ্টি করে না।

Non-Alcoholic Fatty liver: মদ গলায় না ঢেলেও দেশের ৩৮% মানুষ ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত, জেনে নিন এই সমস্যার লক্ষণগুলি

Follow Us

আপনি যত বেশি অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া করবেন, ততই পেটের গোলযোগ বাড়বে। যেটাকে আপনি সামান্য গ্যাস-অম্বল ভেবে ভুল করছেন, সেটাই আপনাকে এনে দিতে পারে লিভারের রোগ। ফ্যাট জাতীয় খাবার, মশলাদার খাবার আপনাকে এনে দিতে পারে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা। বিশ্বজুড়ে ফ্যাটি লিভার আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। তবে, বেশিরভাগ মানুষের ধারণা শুধুমাত্র মদ্যপানেই বাড়ে ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি। কিন্তু অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (AIIMS)-এর সাম্প্রতিকতম সমীক্ষা, সেই ধারণাকে ভেঙে দিয়েছে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ভারতীয়দের ৩৮% নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারে ভুগছেন। অর্থাৎ, তাঁরা মদ্যপান না করেই লিভারের রোগে আক্রান্ত।

নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারে প্রাথমিক পর্যায়ে কোনও উপসর্গ দেখা দেয় না। পাশাপাশি অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের মতো গুরুতর জটিলতাও সৃষ্টি করে না। ফলে, চট করে মানুষ বুঝতে পারে না যে, তাঁর লিভারে চর্বি জমতে শুরু করেছে। কিন্তু খাওয়া-দাওয়ার অনিয়মের কারণে ভারতীয়দের এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত। ২০২২ সালের জুন মাসে ক্লিনিক্যাল অ্যান্ড এক্সপেরিমেন্টাল হেপাটোলজি জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে, এই ফ্যাটি লিভারের সমস্যা প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি ছোটদের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে।

ফ্যাটি লিভারের প্রধান কারণ হল খাওয়া-দাওয়া। অতিরিক্ত পরিমাণে ফাস্ট ফুড খাওয়ার চল এখন বেড়েছে। কম বয়সিদের খাদ্যতালিকায় তাজা ফল, শাকসবজি, গোটা শস্য নেই বললেই চলে। যার জেরে অ্যালকোহল সেবন না করেও বহু মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন লিভারের রোগে। তবে, আপনার যদি উচ্চ কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসের মতো রোগ থাকে, তাহলেও আপনি নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হতে পারেন। তার চেয়ে বড় সমস্যা হল, আপনি যদি প্রাথমিক পর্যায়ে এই রোগকে সনাক্ত না করতে পারেন, এখান থেকে লিভার সিরোসিসের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। যা আপনার প্রাণ সংশয়ের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এছাড়াও হেপাটাইটিস এ, হেপাটাইটিস ই-এর ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।

হঠাৎ করে ওজন বেড়ে যাওয়া, প্রস্রাবের রং হলুদ হওয়া নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ। তাছাড়া ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হলে লিভারের কার্যকারিতার উপর পড়ে। যার জেরে শরীর থেকে সমস্ত বিষাক্ত পদার্থ বের হতে পারে না। এতে ঘন ঘন গ্যাস-অম্বল, বদহজমের সমস্যাও দেখা দেয়। সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় হলে, সহজেই নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের বাড়বাড়ন্ত থেকে বাঁচা যায়।

নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি এড়াতে গেলে আপনাকে ডায়েটের উপর বিশেষ নজর দিতে হবে। বাইরের ফাস্ট ফুড সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যেতে হবে। পাশাপাশি তেল, মশলাযুক্ত খাবার কম পরিমাণে খেতে হবে। তার বদলে তাজা শাকসবজি, ফল, গোটা শস্যের পরিমাণ খাদ্যতালিকায় বাড়াতে হবে। মদ্যপান থেকে দূরে থাকতে হবে। এছাড়া নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। তবে, আপনি ফ্যাটি লিভারের হাত থেকে বাঁচতে পারবেন।

Next Article