বাতের সমস্যা এখন ঘরে-ঘরে। অকালেই হাঁটু র ব্যথা কাবু করে দিচ্ছে। এছাড়া জয়েন্টের ব্যথা তো আছেই। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাস এর অন্যতম প্রধান কারণ। এছাড়া বংশ পরম্পরায় এই বাত ছড়াতে পারে। গবেষণা বলছে, আজকাল অনেকগ অল্প বয়সেই মানুষ জয়েন্ট স্প্যামে আক্রান্ত হচ্ছেন। এর আরও একটি কারণ হল ইউরিক অ্যাসিড। এমন কিছু খাবার রয়েছে যাতে পিউরিন থাকে, যা হজম হলে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি করে। আর যখন রক্তে এই অ্য়াসিডের পরিমাণ বেড়ে যায় তখনই জয়েন্টে ব্যথা শুরু হয়।
উচ্চ ইউরিক অ্যাসিডের লক্ষণ:
হাত, পা ব্যথা
পায়ে হাতে ফোলাভাব
পেশী শক্ত হওয়া
ক্র্যাম্পের সমস্যা
বমি বমি ভাব
ঘন ঘন প্রস্রাব
প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত
কিডনিতে পাথর
গাউট হতে পারে
এই সমস্যার চিকিৎসা অবশ্যই রয়েছে। তবে ডায়েটে লাগাম টানলে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে এই সমস্যা। তার জন্য জানতে হবে সঠিক ডায়েট। জানুন ইউরিক অ্যাসিডকে বাগে আনতে ডায়েটে কী-কী যোগ করতে হবে…
ডাল-
ডালে প্রচুর পরিমাণে পিউরিন থাকে, যা রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে। কিন্তু ডালের মতো স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে বাত বা কিডনিতে পাথর হতে পারে কিনা তা নিয়ে NCBI-তে একটি গবেষণা (রেফ) প্রকাশিত হয়েছিল। এতে দেখা গেছে ডাল বা লেবু খেলেও এসব সমস্যার ঝুঁকি বাড়েনি।
দুধ-
ডালের মতো দুধ নিয়েও ভুল ধারণা ছিল, যে দুধ বাতের সমস্যা বাড়াতে পারে। কিন্তু এটি রক্ত থেকে ইউরিক অ্যাসিড বের করে দিতে সাহায্য করে এবং গাউটের ব্যথা কমাতেও সহায়তা করে।
উচ্চ ইউরিক অ্যাসিড থেকে মুক্তির উপায়-
কফি-
কফিতে অ্যাসিড আছে, তবে এটি পাথর গঠনের অ্যাসিড থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এটি পিউরিনের ভাঙ্গনকে ধীর করে দেয়। তাই বাতের সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন তাঁরা প্রতিদিন কফি খেলে উপকার পেতে পারেন।
চেরি-
চেরি খেলে বশে থাকে ইউরিক অ্যাসিড। আপনি যদি জয়েন্টের ব্যথায় ভোগেন, তাহলে অবশ্যই ডায়েটে চেরি অন্তর্ভুক্ত করুন। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা জয়েন্টের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে। ফলে ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
জল-
সুস্থ থাকতে সকলেরই দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণে জলপান করা জরুরি। তাই রোজ বেশী করে জল পান করুন তাহলেই বাড়বে না ইউরিক অ্যাসিড। আর তাহলেই ব্যথা বেদনা থেকে স্বস্তি পাবেন। রোজ ২-৩ লিটার জল পান করুন।
কী খাবেন না-
বীজ যুক্ত সবজি-
যেকোনও বীজ যুক্ত সবজি খেলে বাড়তে পারে ইউরিক অ্যাসিড। তাই শাকসবজি খান তবে বীজ ফেলে।
প্রোটিনযুক্ত খাবার-
আমাদের শরীরের প্রোটিন জরুরি। তবে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকলে পরিমিত প্রোটিন খেতে হবে। সোয়াবিনের মতো উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার একদম নয়।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।