আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে শরীরেও তার উপর প্রভাব ফেলে। এখন দিনের বেলায় রোদ, গরম আর রাতে ঠাণ্ডা। ফলে খুব সহজেই ঠাণ্ডা বসে যাচ্ছে। শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেই আক্রান্ত হচ্ছেন। ঘরে ঘরে জ্বর সর্দি কাশির সমস্যা।
এছাড়াও ক্রমাগত জাঁকিয়ে বসছে ডেঙ্গি সংক্রমণ। রাজ্যজুড়ে প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে সর্দি জ্বরের সমস্যা তো আছেই। আর তাই আগে-ভাগে সতর্ক থাকুন।
অনেকেরই কোল্ড অ্যালার্জি থাকে। ঠাণ্ডা পড়লেই গলা ব্যথা, হাঁপানি, সর্দি-কাশি, ত্বকের নানা সমস্যা জাঁকিয়ে বসে। এর ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কমে যায়। আর তাই প্রথম থেকেই বাড়ির সব সদস্যরা চবনপ্রাশ খেতে পারলে খুব ভাল।
আয়ুর্বেদির উপাদানের সমন্বয়ে তৈরি চবনপ্রাশ শরীরের জন্য খুবই ভাল। সর্দি, কাশি সহ একাধিক সংক্রমণ জনিত অসুখ দূরে রাখে।
মূল উপাদান হিসেবে থাকে আমলকী, লবঙ্গ, শতাবরী, বিদরিকাণ্ড, হরিতকী, পুষ্করমূলের মত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। যে কারণে আয়ুষ মন্ত্রক থেকেও সকলকে রোগ প্রতিরোক ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলার জন্য চবনপ্রাশ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও চবনপ্রাশ হজম ক্ষমতা বাড়া, শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন বের করে দেয়, রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে। সঙ্গে নানা সংক্রমণের হাত থেকেও রক্ষা করে। অনেকেই সকালে ঘুম খেতে উঠে খালি পেটে চবনপ্রাশ খান। তবে সবচেয়ে ভাল যদি রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে গরম দুধের সঙ্গে খাওয়া যেতে পারে।
যাঁরা হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছেন তাঁরাও রোজ চবনপ্রাশ খান। আর তাই এঁরা গরমজলের সঙ্গে চবনপ্রাশ খেলে উপকার পাবেন।