ছোট বয়স থেকে সকলেই জানেন, দুধ খেলে শরীরের শক্তি বাড়ে, হাড় থাকে মজবুত। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। দুধের বিকল্প কিছু নেই। এর উপকারিতা অনেক। তবে বর্তমানে অধিকাংশ বাড়িতেই ছোট থেকে বড়, দুধ খেতে পছন্দ করে না। স্বাদের দিক থেকে বিরক্তি লাগে বলে দুধকে এড়িয়ে চলেন অনেকেই। তবে দুধের স্বাদ আনতে যদি কোনও কিছু যোগ করা হয়, তাহলে সে দুধ নিমিষে হবে হাওয়া। সাধারণত দুধকে সুস্বাদু করতে বিভিন্ন স্বাদের সিরাপ ব্যবহার করেন। বেশিরভাগই জিভের স্বাদ বদলাতে দুধের মধ্যে মধু বা চকোলেট মেশান। এবার আদার রস মেশাতে পারেনষ আদা এমন একটি মশলা যার গন্ধ ও স্বাদ অতুলনীয়। এছাড়া এই আদার রসের গুণের বহরও অনেক।
আদার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরির বৈশিষ্ট্য। আদার দুধের স্বাস্থ্যের উপকারিতা কী, তা এখানে জেনে নিন একনজরে…
ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী রাখতে-
সুস্থ শরীরের মূল চাবিকাঠি হল শক্তিশালী ইমিউন সিস্টেম। শরীরকে সুরক্ষিত রাখতে ঢালের মত কাজ করে। বহু রোগ থেকেও রক্ষা করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে আদার দুধ খান প্রতিদিন। আদার দুধ শরীর থেকে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে ইমিউন সিস্টেমের পজিটিভ প্রভাব ফেলে। আদার দুধে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা শরীরের অভ্যন্তরীঁ ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে রক্ষী করতে পারে। এতে শরীর থাকে নিরাপদ ও সুস্থ।
হজম শক্তির উন্নতি করে
আদাকে পরিপাকতন্ত্রের জন্য সেরা উপাদান বলে গণ্য করা হয়। অ্যাসিডিটি, অ্যাসিড ৎিফ্লাক্স, পেটেব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যাগুলিকে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ডায়েটে আদা দুধ তালিকাভুক্ত করে, তাহলে অনেক ধরনের হজমের সমস্যা সহজেই এড়ানো সম্ভব।
অস্টিওপরোসিসের সম্ভাবনা কমায়
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাড় দুর্বল হতে শুরু করে। তবে আদার দুধ রোদ পান করলে স্বাভাবিকভাবেই হাড়ের শক্তি বাড়ে, মজবুত হতে শুরু করে। অস্টিওপোরোসিসের সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। কারণ এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম। যা একই সময়ে সংক্রমণ ও প্রদাহ ইত্যাদি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ৪০ বছর পেরিয়ে গেলে নিয়মিত আদার দুধ পান করলে অস্টিওপোরোসিসের সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায়।
ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় দ্রুত
দীর্ঘদিন ধরে আদা প্রদাহ কমাতে ব্যপকভাবে ব্যবহার করা হয়। অনেক গবেষণয়া জানা গিয়েছে, হাঁটুর অস্টিওআর্থারাইটিসের ব্যথা কমানোর ক্ষমতা রাখে আদা। অন্যদিকে আদার চা মাথাব্যথা, পেশির ব্যথা, পিরিয়ডের ক্র্যাম্প ওঅন্যান্য ঘরণের ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
গলা ব্যথা থেকে মুক্তি
আজকাল গলা ব্যথার সমস্যায় অস্থির থাকেন, তবে আদা দুধ অবশ্যই অনেক উপশম দেবে। সর্দি, ফ্লু এবং কাশি প্রায়ই গলার সংক্রমণের দিকে পরিচালিত করে। গলা ব্যথার কারণে কথা বলা খাওয়া, পান করা কঠিন হয়ে পড়ে। প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য থাকার কারণে, এক গ্লাস আদা দুধ পান করার পরে ভাল বোধ করবেন দ্রুত।