AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Turmeric Side Effects: রোজ প্রতিটা রান্নায় হলুদ দেন? এই মশলা মাত্রাতিরিক্ত খেলে মহা বিপদ

Health Tips: হলুদের মধ্যে কারকিউমিন নামের যৌগ পাওয়া যায়, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপযোগী। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতি ওজনে ১.৪ মিলিগ্রাম কারকিউমিন গ্রহণ করা উচিত। মাত্রাতিরিক্ত হলুদ খেলে দেহে কী-কী সমস্যা দেখা দিতে পারে, চলুন জেনে নেওয়া যাক।

Turmeric Side Effects: রোজ প্রতিটা রান্নায় হলুদ দেন? এই মশলা মাত্রাতিরিক্ত খেলে মহা বিপদ
| Edited By: | Updated on: Sep 12, 2024 | 3:04 PM
Share

ডাল হোক বা সবজির তরকারি—কোনও উপাদান থাকুক বা না-ই থাকুক, হলুদ থাকতে বাধ্য। হলুদের উপকারী মশলা খুব কম রয়েছে। হলুদকে এক কথায় সুপারফুড বললেও কম হবে না। দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং শারীরিক প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে হলুদ। রোজের ডায়েটে হলুদ রাখলে একাধিক রোগের ঝুঁকি এড়ানো যায়। কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত হলুদ খেলেই বিপদ। হলুদের মধ্যে ওষুধি গুণ রয়েছে ঠিকই। কিন্তু অত্যধিক পরিমাণে হলুদ খেলে রক্ত জমাট বাঁধতে পারে, আয়রন শোষণে বাধা তৈরি হতে পারে এবং কাটাছেঁড়ায় রক্তপাতের সম্ভাবনা দ্বিগুণ বেড়ে যায়।

হলুদের মধ্যে কারকিউমিন নামের যৌগ পাওয়া যায়, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপযোগী। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতি ওজনে ১.৪ মিলিগ্রাম কারকিউমিন গ্রহণ করা উচিত। মাত্রাতিরিক্ত হলুদ খেলে দেহে কী-কী সমস্যা দেখা দিতে পারে, চলুন জেনে নেওয়া যাক।

কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়

হলুদে অক্সালেট পাওয়া যায়। এটি অতিরিক্ত পরিমাণে সেবন করলে শরীরে ইউরিনারি অক্সালেটের মাত্রা বেড়ে যায়। হলুদে ২ থেকে ৩ শতাংশ পরিমাণ অক্সালেট পাওয়া যায়। যেখানে ৯১ শতাংশ দ্রবণীয় অক্সালেট পাওয়া যায়, যা শরীরে শোষিত হয়। শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণ অক্সালেট ক্যালসিয়ামের সঙ্গে আবদ্ধ হয়ে কিডনিতে পাথর তৈরি করে। এছাড়া হলুদে উপস্থিত খনিজ উপাদানও কিডনির পাথরের জন্য দায়ী।

বদহজম

অতিরিক্ত পরিমাণে বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিড তৈরি করে। এ কারণে অত্যধিক পরিমাণে হলুদ খেলে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। মাত্রাতিরিক্ত হলুদ খেলে ফোলাভাব, পেট ব্যথা, বদহজম এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হতে হয়। মাত্রাতিরিক্ত হলুদ খেলে পেটের আলসারের ঝুঁকিও বাড়ে। এছাড়া হার্ট বার্ন এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যাও দেখা দেয়। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথের মতে, প্রতিদিন ১,০০০ মিলিগ্রামের বেশি হলুদ খাওয়া বদহজমের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।

আয়রন শোষণ হ্রাস

নিয়মিত হলুদ খাওয়া শুধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই শক্তিশালী করে তা নয়, উল্টে আয়রন শোষণও কমায়। অত্যধিক পরিমাণে কারকিউমিন অন্ত্রে আয়রনকে আবদ্ধ করে, যা শরীরে রক্তাল্পতার ঝুঁকি বাড়ায়। আসলে, শাক থেকে শরীর আয়রন পায়, কিন্তু হলুদ যোগ করলে আয়রনের শোষণ কমে যায়। তাই শাক রান্নায় হলুদের পরিমাণ কমান।

ত্বকের অ্যালার্জির ঝুঁকি

যাঁরা প্রচুর পরিমাণে হলুদ খান তাঁদের মধ্যে অ্যালার্জিক কন্টাক্ট ডার্মাটাইটিসের ঝুঁকি বাড়ে। এ কারণে ত্বকে ঘাম, জ্বালাপোড়া, চুলকানি ও লালচে ভাব বেড়ে যায়। এমনকি ত্বকে ব্রণের সমস্যাও বাড়ে।

রক্ত ​​পাতলা করতে পারে

হলুদে উপস্থিত অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্ট বৈশিষ্ট্যের কারণে এটি রক্তকে জমাট বাধতে দেয় না এবং রক্ত ​​চলাচলকে অব্যাহত রাখে। এটি হার্টের স্বাস্থ্যে সহায়তা করে। কিন্তু কোনও ক্ষত বা দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে রক্তক্ষরণের আশঙ্কাও বেড়ে যায়। এমন অবস্থায় যে কোনও ওষুধ বা ভেষজ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই খাওয়া উচিত।