শরীর থাকলে সমস্যা হবেই। এদিকে শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত ভাবে খাবার খেতে হবে। খাবারই হল আমাদের চালিকা শক্তি। খাবার থেকে পেটে গ্যাস তৈরি হতেই পারে। তাই গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফেঁপে যাওয়া এসব হতেই পারে। রোজ রোজ এই গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্যর সম্ভাবনা লেগে থাকলে খুবই মুশকিলের। কারণ তখন খাওয়ার কোনও ইচ্ছে থাকে না, খাবার খেলেও তা ঠিকমতো হজম হয় না। আর তাই প্রথমেই নজর দেওয়া দরকার ডায়েটে। কারণ পেটের যে কোনও সমস্যা রুখে দিতে গুরুত্ব রয়েছে খাবারের। গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফাঁপার সমস্যা থাকলে কার্বোহাইড্রেট যত কম খাবেন ততই ভাল। সেই সঙ্গে সঠিক শস্য বাছাই করা খুব জরুরি। অন্ত্রের জন্য ভাল এমনই খাবার খান। পেটের সমস্যায় গম একেবারেই ভাল নয়। কারণ সেখান থেকে একাধিক সমস্যা হতে পারে। তাই পেটের যে কোনও সমস্যা রুখতে খুব ভাল হল চাল।
চালের মধ্যে থাকে পটাশিয়াম, আয়রন, ক্যালশিয়াম। যা হজম শক্তি বাড়ায়। এছাড়াও চালের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তবে এর থেকে লাল চাল অনেক ভাল। এই চালের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটিমিন বি। যা শরীরে লোহিত রক্ত কণিকা এবং সেরোটোনিন উৎপাদনে সাহায্য করে। আয়রন বেশি থাকায় এই চাল খেতে হয়তো ভাল নয়, তবে যাঁরা অ্যানিমিয়াতে ভুগছেন তাঁদের জন্য এই লাল চাল খুবই উপকারী। ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্যেও খুব উপকারী হল এই ব্রাউন রাইস। এতে ক্যালোরি অনেক কম থাকে। যে কারণে কোলেস্টেরলের পরিমীণ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে এই চাল। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রুখে দিতেও কাজে লাগে এই লাল চাল।
ময়দা, আটা শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়। পেট ফাঁপার সমস্যা থাকলে আটা এড়িয়ে যেতে পারলেই ভাল। পরিবর্তে জোয়ার বা বাজরা দিয়ে রুটি বানিয়ে খেতে পারেন। এতে পেট ফোলা, কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটে অতিরিক্ত গ্যাস হয়ে যাওয়া এমন সমস্যাও তুলনায় অনেক কম হয়। যাঁদের হজমে সমস্যা রয়েছে তাঁরা যদি রোজ নিয়ম করে ওটস বা কুইনোয়া খেতে পারেন তাহলেও ভাল। এতে হজমের তেমন সমস্যা থাকে না। তবে এক্ষেত্রে মশলা দেওয়া ওটসের পরিবর্তে প্লেন ওটস খান। ডালিয়া খেলে অনেকেরই অ্যালার্জি হয়। পরেট ফাঁপার মত সমস্যা দেখা দেয়। যে কারণে এই শস্যদানা এড়িয়ে যাওয়া ভাল। পেট পরিষ্কার থাকলে মনও ভাল থাকে।