রান্নাঘরে রাখা সব মশলার একাধিক গুণাগুণও রয়েছে। সেই সব মশলাকে তাই কায়দা করে ব্যবহার করলে অনেক উপকারও পাওয়া যায়। শরীরের অনেক কাজে লাগে। তেমনই একটি উপাদান হল ধনেপাতা। অ্যাসিডিটি, মাইগ্রেন, মাথাব্যথা, অতিরিক্ত তেষ্টা, থাইরয়েড, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরলের সমস্যায় খুব ভাল কাজ করে ধনেপাতা। ফ্যাটি লিভার, ওবেসিটি, বদহজমের মত সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। সেই রোগ প্রতিরোধ করতে এবং হরমোনের মধ্যেকার ভারসাম্য বজায় রাখতে খুব ভাল কাজ করে ধনে। ধনে আমাদের অভ্যন্তরীন অঙ্গগুলোকে ভিতর থেকে পরিষ্কার রাখে। সেই সঙ্গে ভাত, পিত্ত, কফের মধ্যে ভারসাম্যও বজায় রাখে। আর তাই রান্নায় নিয়ম করে ধনে ব্যবহার করতে পারলে অনেক রকম ফল পাবেন।
ডায়াবেটিস, থাইরয়েড এবং ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় খুব ভাল কাজ করে ধনের চা। মৌরি, জিরে, ঝনে একসঙ্গে মিশিয়ে ফুটিয়ে ছেঁকে চা বানিয়ে খান। এতে হজমের সমস্যা হবে না। যাদের ফ্যাটি লিভার রয়েছে তারা নিয়মিত ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি এই সব চা বানিয়েও খেতে পারেন।
থাইরয়েডের রোগীদের ক্ষেত্রেও খুব কার্যকরী হল ধনে। একগ্লাস জলে এক চামচ ধনে নিয়ে সারারাত ভিজিয়ে রাখতে হবে। পরদিন সকালে সেই জল খুব ভাল করে ফুটিয়ে নিন। এক্লাস জল ফুটিয়ে হাফ গ্লাস হবে। এবার তা ছেঁকে নিয়ে খান। এতে বিপাক ভাল হবে। সেই সঙ্গে মন ভাল থাকবে। ধনের সঙ্গে কারিপাতা আর গোলাপের শুকনো পাপড়ি ফেলে ফুটিয়েও খেতে পারেন।
তবে থাইরয়েডের রোগীদের একটি জিনিস মাথায় রাখতে হবে। সকালে থাইরয়েডের ওষুধ খাওয়ার এক ঘন্টা পর ধনেপাতা খাবেন। অথবা ধনের এই জল খাবেন। একঘন্টা কিছু না খাওয়াই ভাল। খুব প্রয়োজন হলে একটু জল চলতে পারে।
যাদের অ্যাসিডিটি, আলসারের মত সমস্যা রয়েছে তারা ধনে খান এই ভাবে। ২৫ গ্রাম ধনে বীজ একটা পাত্রে জল দিয়ে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। ৮ ঘন্টা এভাবে রাখবেন। পরদিন সকালে এই জল ছেঁকে নিয়ে এর সঙ্গে সামান্য মিছরি মিশিয়ে খেলেই উপকার পাবেন। তবে টানা এক মাস খেলে তবেই কিছু ফল পাবেন।