Ayurveda: সকালে ব্রাশ করার পরও মুখের দুর্গন্ধে নিজেই বিরক্ত! মুক্তি পান এই ৫ আয়ুর্বেদিক টোটকায়
Oral Hygiene: সকালে ব্রাশ করার পরও যদি মুখের দুর্গন্ধ থেকে থাকে এবং এই কারণগুলি আপনার সঙ্গে ঘটে থাকে তাহলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
নিয়মিত দাঁত ব্রাশ (Tooth Brush) না করলে মুখে ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পায়, যার ফলে নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ হতে পারে। ধূমপান বা চিবানো তামাকও নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে। নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ পেরিডোন্টাল বা মাড়ির রোগের লক্ষণও হতে পারে। আসলে ভাল ওরাল স্বাস্থ্যবিধি (Dental Health) মেনে চললে মুখে পচা দুর্গন্ধ (Bad Breath) বের হওয়ার অবকাশ থাকে না। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা, বেশি করে ফল ও শাকসবজি খাওয়া, চিনিযুক্ত খাবার ও তামাকজাত পণ্যগুলি এড়িয়ে চললে মুখের দুর্গন্ধ এড়ানো সহজ হয়। তবে সঠিক কারণ জানতে একজন চিকিত্সকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, দুর্বল মৌখিক স্বাস্থ্যবিধি , কম জল খাওয়া, ঘন ঘন খাওয়া, অন্ত্রের স্বাস্থ্য দুর্বল হলে . দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য, হাইপার অ্য়াসিডিটি, ঘুমের সময় মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়া ইত্যাদির কারণে মুখের দুর্গন্ধ তৈরি হয়। সকালে ব্রাশ করার পরও যদি মুখের দুর্গন্ধ থেকে থাকে এবং এই কারণগুলি আপনার সঙ্গে ঘটে থাকে তাহলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন। তবে তার আগে ঘরোয়াভাবেও এই সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়। আয়ুর্বেদিক মতে, হ্যালিটোসিস প্রতিরোধ করার জন্য এই ৫টি নিয়ম মেনে চললে দ্রুত দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
দিনে ২ বার ব্রাশ করুন
সকালে ব্রাশ করা ও জিভ স্ক্র্যাপ করলে রাতে মুখের মধ্যে জমে থাকা সমস্ত টক্সিন নির্মূল করতে সাহায্য করে। অন্যদিকে, রাতে ব্রাশ করলে ও জিভ স্ক্র্যাপ করলে ওরাল স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। পরিস্কার মুখ নিয়ে ঘুমালে অন্ত্রের স্বাস্থ্যেও সুস্থ ও স্বাভাবিক থাকে। যা একান্ত গুরুত্বপূর্ণ।
খাবার পরে মৌরি বীজ খাওয়া
মৌরি প্রাকৃতিকভাবে পাচক ও ফ্ল্যাভোনয়েড দ্বারা গঠিত। এটি লালা প্রবাহকে উদ্দীপিত করতে সাহায্য কে। তাই মুখের ভিতর শুকিয়ে গেলে এক চা চামচ মৌরি খান। দেখবেন শুষ্ক মুখগহ্বর থেকে মুক্তি পেয়েছেন। মৌরি বীজের সুগন্ধযুক্ত স্বাদ মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে।
খাওয়ার পর মুখ ধুয়ে ফেলা
আয়ুর্বেদ মত, খাবার খাওয়ার ঠিক পরেই জল দিয়ে ভাল করে পরিস্কার করে নিতে হবে। খাওয়ার পর মুখ পরিস্কার না করলে আপনার বিপাককে বিলম্বিত করে তুলতে পারে। তবে মুখ পরিস্কারের জন্য জল অপরিহার্য, বিশেষ করে খাবারের পরে। তাই কিছু পরিমাণ জল মুখে নিয়ে ২-৩ মিনিটের জন্য গার্গল করলে দাঁতে লেগে থাকা খাবারের কণা ও মুখের ভিতর আটকে থাকা খাবার ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যায়।
ঘন ঘন জলখাবার নয়
ঘন ঘন খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। তাতে খাবার মুখে আটকে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। যখনই আপনি কিছু খাচ্ছেন, তখন ব্রাশ করা অস্বাভাবিক ও অবাস্তব। তাই মুখের স্বাস্থ্যের পাশাপাশি শরীরের অন্যান্য অঙ্গ যেমন অন্ত্রের স্বাস্থ্যের কথাও ভাবা উচিত। দিনে তিনবার সঠিক ও ভারী খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। প্রতি ২ ঘণ্টায় জলখাবার খাবেন না। দুটি খাবারের মধ্যে অন্তত তিন ঘণ্টার ব্যবধান রাখা ভাল।
পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন
শরীরের প্রতিটি কাজ যাতে সুষ্ঠুভাবে হয়, বিশেষ করে ওরাল হাইজিনের জন্য প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন।
কতটা পরিমাণ জল পান করা উচিত?
আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, হলুদ নয়, ফ্যাকাশে ইউরিন না হওয়া পর্যন্ত পর্যাপ্ত পরিমান জল পান করা দরকার । যদি আপনার প্রস্রাব স্ফটিক থেকে ফ্যাকাশের রঙের হয়ে যায়- এর মানে আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করছেন। যদি হলুদ প্রস্রাব হয়, তাহলে আপনার আরও জল পান করা উচিত।
