ঘরে ঘরে ডায়াবেটিসের রোগী। এছাড়া বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে রক্তে কোলেস্টেরলও বাড়ছে। তার সঙ্গে অধিকাংশ মহিলা ভুগছেন পিসিওএস ও থাইরয়েডের সমস্যায়। কোনও রোগ না থাকলেও চুল পড়ার সমস্যা যেন লেগেই রয়েছে। প্রতিটা রোগ যেমন আলাদা, এর ওষুধও ভিন্ন। কিন্তু সুগার থেকে থাইরয়েড, এই সব সমস্যা বশে রাখতে পারেন বীজ খেয়ে। আয়ুর্বেদিক উপায়ে সুগার, কোলেস্টেরল, পিসিওএস, থাইরয়েডের সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। আর এর জন্য আপনাকে কুমড়োর দানা, ফ্ল্যাক্স সিড, মৌরির মতো বীজ খেতে হবে।
আয়ুর্বেদ চিকিৎসক দীক্ষা ভাবসার তাঁর ইন্সটাগ্রামে নিয়মিত প্রাকৃতিক উপায়ে রোগ নিরাময়ের সহজ টোটকা শেয়ার করেন। সম্প্রতি, তিনি এমন একটি বীজের মিশ্রণ শেয়ার করেছেন, যা থাইরয়েড, কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস, পিসিওএস এবং চুল পড়ার সমস্যাকে দূর করবে। পাশাপাশি মিষ্টি খাওয়ার প্রতি আকাঙ্ক্ষা কমিয়ে দেবে। কী-কী রয়েছে এই বীজের মিশ্রণে এবং কীভাবে এটি বানাবেন, দেখে নিন।
১ কাপ কুমড়োর দানা, ১/২ কাপ তিলের দানা, ১ কাপ মৌরি, ১ কাপ ফ্ল্যাক্স সিড ও ১/২ চামচ হিমালয়ান নুন। নিন। প্রতিটা উপাদান শুকনো কড়াইতে নেড়ে নিন। ফ্ল্যাক্স সিড রোস্ট করার সময় এতে নুন মেশাবেন। একদম শেষে উপকরণগুলো একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। তৈরি সিডমিক্স বা বীজের মিশ্রণ।
এই বীজের মিশ্রণটি আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ফাইবার, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬, জিঙ্ক ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। তাই এই মিশ্রণটি রোজ এক চামচ করে খেলে দেহে পুষ্টির ঘাটতিও তৈরি হবে না। হরমোন সংক্রান্ত সমস্যায় দুর্দান্ত কাজ করে এই বীজের মিশ্রণ। টাইপ-২ ডায়াবেটিস, থাইরয়েড, পিসিওএস-এর মতো সমস্যাগুলোর জন্য অনেকাংশে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দায়ী। তাই বীজ খেলে এসব রোগের উপসর্গকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।
চুল পড়ার সমস্যাকেও দূর করবে এই বীজ। যেহেতু এই বীজের মিশ্রণের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, এটি ফ্রি র্যাডিকেলের সঙ্গে লড়াই করে, ত্বকের সমস্যা দূর করবে। আয়রনে ভরপুর হওয়ায় বীজের মিশ্রণটি খেলে রক্ত পরিশুদ্ধ হবে এবং ত্বকের উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। অন্যদিকে, এই বীজে ফাইবার রয়েছে, যা দেহে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে দেবে না। ট্রাইগ্লিসারাইড বাড়লেও আপনি এটি খেতে পারেন। পাশাপাশি রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখবে। এই বীজের মিশ্রণ খেলে না রক্তচাপ বাড়বে না কমবে। যাঁদের নিয়মিত ঋতুস্রাব হয় না, তাঁরাও এই বীজের মিশ্রণটি খেতে পারেন। রোজ বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টের মধ্যে স্ন্যাকস হিসেবে এই বীজের মিশ্রণটি ৩ চামচ পর্যন্ত খেতে পারেন। এতে মুখরোচক খাবার খাওয়ার আকাঙ্ক্ষাও কমে যাবে।