মুলোর নাম শুনলেই বাঙালি নাক সিঁটকায়। এই সবজি খেলে নাকি পেটে গ্যাস হয়—এমন অভিযোগ অনেকেরই। তাছাড়া মুলো দিয়ে রকমারি পদও রান্না করা যায় না। তাই বাঙালির হেঁশেলে খুব একটা কদর নেই মুলোর।
অপছন্দ হলেও পুষ্টির দৌড়ে মুলোকে টেক্কা দেওয়ার মতো সবজি খুব কমই রয়েছে। সহজ কথায় বলতে, এই শীতকালীন সবজি স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী। যদি রোজ মুলো খান দেহে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা উন্নত হবে।
মুলোর মধ্যে ফোলেট, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি, ফাইবার, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে। তাই স্যালাদ হিসেবে খান বা শাকচচ্চড়ি সঙ্গে রান্না করে, মুলো খেলে দেহে পুষ্টির ঘাটতি তৈরি হবে না।
পেটে গ্যাস হওয়ার ভয়ে মুলো খান না। কিন্তু এই আনাজই আপনাকে পেটের রোগ থেকে বাঁচাবে। মুলোর মধ্যে ফাইবার রয়েছে, যা হজমের সমস্যা দূর করে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
মুলোর মধ্যে ভিটামিন সি রয়েছে, যা দেহে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। তাই এই আনাজ অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়। পাশাপাশি দেহে জমে থাকা সমস্ত দূষিত পদার্থ বের করে দেয়।
আজকাল অনেকেই ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভুগছেন। এই লিভারের রোগকে দূরে রাখতে আপনি মুলো খেতে পারেন। লিভার সংক্রান্ত যে কোনও রোগের ক্ষেত্রে ওষুধের মতো কাজ করে মুলো।
শীতকালে যদি ওজন কমাতে চান, তাহলে স্যালাদে কাঁচা মুলো রাখুন। মুলোয় ক্যালোরির পরিমাণ কম। এই আনাজ ওজনকে বাড়তে দেয় না। এতে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট দেহে মেদ জমতে দেয় না এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
শীতকালে অনেকের মধ্যে জল কম খাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। এতে শরীর ডিহাইড্রেট হয়ে যেতে পারে। কিন্তু মুলোয় জলের পরিমাণ বেশি। এই আনাজ শরীরকে ভিতর থেকে আর্দ্রতা জোগায়।