
এবছর বর্ষা তুলনায় দেরিতে এসেছে। আষাঢ়, শ্রাবণে ঠিক যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হওয়ার কথা সেই তুলনায় কম হয়েছে। শেষ কয়েকদিন নিম্নচাপের কারণে বেড়েছে বৃষ্টির পরিমাণ। খামখেয়ালি বৃষ্টিতে অনেকেই ভিজছেন। না চাইতেও ভিজে যাচ্ছেন। ফলে একদিন বৃষ্টিতে ভিজে সারাদিন ধরে অফিসের এয়ার কন্ডিশনের মধ্যে বসে থাকলে ঠাণ্ডা তো লাগবেই। মাথা ব্যথা, গলা খুশখুশ, হালকা জ্বর, নাক দিয়ে সর্দি এমন সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। এছাড়াও আছে পেটের সমস্যা।

বর্ষায় ইনফ্লুয়েঞ্জার সমস্যা তো থাকেই। সঙ্গে যোগ হয়েছে মাঙ্কিপক্স, করোনার আতঙ্ক। যার মধ্যে সাধারণ উপসর্গ হল এই গলা ব্যথা। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন গলা ব্যথা হলেই ভয় পাওয়ার বা আতঙ্কের কিছু নেই। এমনকী গলা ব্যথা মানেই অ্যান্টিবায়োটিক নয়। বরং ঘরোয়া কিছু প্রতিকারেই জোর দিতে বলছেন চিকিৎসকেরা। একই কথা কিন্তু বলছে আয়ুর্বেদও।

গলা ব্যথার সমস্যায় গার্গল করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। এই জলের মধ্যে এক চামচ কাঁচা হলুদ থেঁতো করে আর এক চিমটে নুন ফেলে দিন। এবার ৩০০ মিলি জল ফুটিয়ে নিয়ে সেই জল দিয়েই গার্গল করুন। হলুদ অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ করে। ফলে খুব তাড়াতাড়ি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

২৫০ মিলি জলের মধ্যে বড় ১ চামচ মেথি দিয়ে ৫ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এবার তা ছেঁকে নিয়ে খেয়ে নিন। গলা ব্যথা, কাশি, শ্লেষ্মার সমস্যায় খুব ভাল কাজ করে এই পানীয়।

যষ্ঠিমধুর গুঁড়ো আর মধু একসঙ্গে মিশিয়ে নিন গরম জলে। এবার এই জল দিয়েই গার্গল করে নিন দিনের মধ্যে ২ বার। এভাবে গার্গল করতে পারলে ইনফেকশন কমবে, সারবে গলাব্যথাও।

আমলার রসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি। এই জুসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খান বড় ২ চামচ। দিনের মধ্যে ২ বার খেলেই কাজ হবে।