দেশী সবজির কদর সব সময়। কিন্তু আজকাল অধিকাংশই যেমন সবজি খেতে পছন্দ করেন না তেমনই এই সব সবজির গুণাগুণও জানেন না। সবজিটির উল্লেখ রয়েছে বিভিন্ন বাংলা গল্প, সিনেমায়। তবে সবজিটি কী ভাবে রান্না করতে হয়, কী ভাবেই বা চিনে কিনবেন তাও অনেকের কাছে অজানা। আয়ুর্বেদে প্রাচীন কাল থেকেই ব্যবহার করা হচ্ছে এই সবজির জুস। এই সবজিকে অনেকে সাদা কুমড়োও বলে থাকেন। পাশাপাশি চালকুমড়ো কিন্তু পেট ঠাণ্ডা রাখে, হজম ভাল করায় সেই সঙ্গে শরীরের একাধিক উপকারিতাও রয়েছে।
চালকুমড়োর মধ্যে রয়েছে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম, কপার এবং ম্যাঙ্গানিজের মতো খনিজ। এছাড়াও থাকে নিয়াসিন, থায়ামিন, ভিটামিন সি এবং রাইবোফ্ল্যাভিনের মতো ভিটামিন। যে কারণেই পুষ্টিবিদরা এই সব সবজিকে রোজকার ডায়েটে রাখার কথা বলেন। আয়ুর্বেদ বলছে চালকুমড়ো আমাদের অন্ত্র, কিডনি, হার্টের জন্য ভীষণ উপকারী। ছেলের মধ্যে ইনফার্টিলির সমস্যা রুখে এবং মেয়েদের পিরিয়ডকালীন সমস্যা দূর করতেও কিন্তু কাজে আসে চালকুমড়ো। আগেকার দিনে প্রায়শই গ্রাম বাংলার সব বাড়িতে রান্না করা হত এই সবজিটি। যে কারণে রোগ জ্বালাও ছিল অনেক কম। এছাড়াও আরও যা সব উপকারিতা রয়েছে-
মস্তিষ্কের জন্যেও উপকারী চালকুমড়ো। বিশেষত নিউরোনের টনিক হিসেবে কাজ করে। যা স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। সঙ্গে ঘুমও ভাল হয়।
গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতেও জুড়ি মেলা ভার এই সবজিটির। চালকুমড়োর মধ্যে রয়েছে গ্যাস্ট্রোপ্রোটেকটিভ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি দিতে পারে। সেই সঙ্গে গ্যাস, অম্বলও দূরে রাখে।
প্রস্রাবে সমস্যা হচ্ছে? সব সময় জ্বালা পোড়া ভাব? কিংবা কিডনিতে পাথর হয়েছে? চোখ বন্ধ করে রোজ খান চালকুমড়ো। এতে প্রস্রাবের সমস্যা মিটবে। এমনকী ঘন ঘন ইউরিন ইনফেকশনের হাত থেকেও রক্ষা পাবেন।
হৃৎপেশিকে সুস্থ রাখতে এবং হৃদপিণ্ডের মধ্যে রক্তচলাচল ভাল রাখতে ভূমিকা রয়েছে চালকুমড়োর। এছাড়াও রক্তচাপ কমাতে, হার্টের সমস্যা এড়াতে সর্বোপরিভাবে হার্টকে সুস্থ রাখতে ভূমিকা রয়েছে এই সবজিটির। পাশাপাশি মূত্রবর্ধক হিসেবেও কিন্তু কাজ করে। ২০-৪০ মিলিলিটার চালকুমড়োর জুসের সঙ্গে গোলমরিচ মিশিয়ে খান, উপাকার পাবেনই।