অনেক লোক যারা ওজন কমানোর চেষ্টায় রয়েছেন, এমনকি যাঁরা স্বাস্থ্যকর এবং হালকা খাবার খেতে পছন্দ করেন, তাঁরা স্যলাডকেই প্রথম পছন্দ হিসেবে বেছে নেন। তাঁদের মধ্যে এই ধারণা থাকে যে স্যালাডে খুব বেশি পরিমাণে ক্যালোরি থাকে না। এর ফলে এটি তাঁদের ওজন কমানোর ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধে দেবে। কিন্তু, সাম্প্রতিককালে খাবার এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অনেক বাঁধাধরা ধারণাই ভুল প্রমাণিত হচ্ছে। এই স্যালাডের ওপর অতিরিক্তি নির্ভর করাও তার মধ্যেই একটা।
আয়ুর্বেদিক প্র্যাক্টিশেনার ডঃ আলকা বিজয়ন আমাদের স্যালাড খাওয়ার দিকগুলি নিয়ে কয়েকটি ধারণা খুব স্পষ্টভাবে ভেঙে দিয়েছেন। আসুন, তাঁর বক্তব্য জেনে নেওয়া যাক…
তিনি ইনস্টাগ্রামে একটা রিল শেয়ার করেছিলেন। সেখানে তিনি সবুজ শাক সবজির স্যলাড খাওয়া সম্পর্কে চারটি প্রচলিত ধারণা ভেঙেছেন। ভিডিয়োটির ক্যাপশনের শুরুতে তিনি বলেছেন, “আমি নিশ্চিত, আপনারা অনেকেই এটা শুনে খুব বেশি অবাক হয়ে যাবেন।”
*অত্যধিক ফাইবার অন্ত্রের উপর বেশি চাপ দেয়। যার ফলে বিপাক ক্রিয়া স্বাস্থ্যকর হওয়ার পরিবর্তে বিপাক ক্রিয়ায় ক্ষতিকর প্রভাব দেখা যায়।
*অত্যধিক ফাইবার পেটে শুষ্কতা সৃষ্টি করতে পারে। যার ফলে ফুসকুড়ি, ব্যথা, অতিরিক্ত পেট ফাঁপা ইত্যাদিন লক্ষণ দেখা যায়। এই অতিরিক্ত ফাইবার নিয়মিত খেলে শরীরে আরও নানান ধরনের ব্যথা অনুভব হতে পারে।
*যেহেতু রাতের খাবারে সবচেয়ে হালকা হওয়া উচিত তাই স্যালাড অন্ত্রের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। কারণ, স্যালাড বিপাক ক্রিয়াতে খুব বাজে প্রভাব ফেলতে পারে। তাই, দিনের শেষ খাবার হিসেবে স্যালাডকে এড়িয়ে চলাই ভাল।
*অতিরিক্ত স্যালাড খেলে এত বেশি শুস্কতার সৃষ্টি হতে পারে যে তার প্রভাব শরীরের বিভিন্ন জায়গায় দেখা যাবে। অনেক ক্ষেত্রেই এই কারণের জন্য চুল পাতলা হয়ে যেতে পারে, এমনকি চুল পড়াও শুরু হতে পারে।
*যদিও স্যালাড প্রাথমিকভাবে মলত্যাগের ক্ষেত্রে সাহায্য করে থাকে, তবে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে খেলে অন্ত্র শুকিয়ে যেতে পারে। যা ফলস্বরূপ পেশীর সংকোচনের সৃষ্টি করে যা আপনার খাবার থেকে পাওয়া পুষ্টিকে পেশী থেকে বের করে দেয়।
তাহলে, কী করতে হবে?
সপ্তাহে দু’বারের বেশি স্যালাড খাবেন না। সেটাও শুধুমাত্র দুপুরের খাবার হিসেবে খাবেন। কিন্তু যদি আপনি গ্যাসের সমস্যায় ভুগছেন তাহলে স্যালাড একদমই এড়িয়ে চলা ভাল।
আরও পড়ুন: এই ভাবে ভাত না খেলে আপনার ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে!
আরও পড়ুন: অ্যালজাইমারের প্রাথমিক লক্ষণগুলি কী কী, জেনে রাখা সকলেরই উচিত!
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুর সংক্রমণ বাড়ছে! সেক্ষেত্রে কী কী উপায় আপনাকে অবশ্যই মেনে চলতে হবে জেনে নিন…