ডায়াবিটিসের ( Diabetes) সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। বিশ্বজুড়ে নিঃশব্দ ঘাতকের মত থাবা বসিয়েছে ডায়াবিটিস। অনেকের ক্ষেত্রা ডায়াবিটিস জিনগত হলেও টাইপ ২ ডায়াবিটিসে (Type 2 Diabetes) আক্রান্তের সংখ্যা কিন্তু সবচাইতে বেশি। ২২ বছরের যুবক-যুবতীরাও আজকাল ডায়াবিটিসে আক্রান্ত। ডায়াবিটিসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় শরীরের অভ্যন্তরে। অজান্তেই ডায়াবিটিস কোপ ফেলে আমাদের কিডনি, হার্ট, চোখ, লিভারের মত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে। যে কারমে পরবর্তীতে কোনও শারীরিক জটিলতা হলে এবং অবস্থা কঠিন হলে মাল্টি অর্গ্যান ফেলিওয়ের সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও ডায়াবিটিস থাকলে কিন্তু শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। যে কারণে এই সমস্যায় সবদিক থেকে নিজেকে সাবধানে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আজকাল ডায়াবিটিসের সমস্যার পিছনে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দায়ী থাকে জীবনযাত্রা (Lifestyle)। রোজকার জীবনযাত্রা, অনিয়মিত খাওয়াদাওয়া, মাত্রাতিরিক্ত ফাস্টফুড, চিনি, কার্বোহাইড্রেট খাওয়া- এইসবই কিন্তু বাড়িয়ে দেয় ডায়াবিটিসের সম্ভাবনা। যে কারণে ডায়াবিটিসের সমস্যায় আগেই যেমন রাশ টানতে হবে জীবনযাত্রায় তেমনই খাদ্যাভ্যাসেও আনতে হবে পরিবর্তন।
চর্বিযুক্ত মাছ বেশি করে খান- এই মাছের তালিকায় রয়েছে স্যালমন, সার্ডিন, হেরিং ইত্যাদি মাছ। যে সব মাছ ওমেগা-৩-ফ্যাটি অ্যাসিড পূর্ণ, যে সব মাছ DHA এবং EPA-এর বড় উৎস সে সব মাছই পারে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে। এছাড়াও নিয়মিত এই সব মাছ খেলে হৃদরোগের ঝুঁকিও কিন্তু কমে যায় অনেকটাই। এছাড়াও এই সব খাবারে থাকে ওমেগা-৩ব ফ্যাটি অ্যাসিড। যা আমাদের শরীরের জন্য কিন্তু খুবই ভাল।
শাকসবজি- নিয়মকরে প্রতিদিন সবজি খাবেন। প্রয়োজনে মাছ-মংসের পরিবর্তে সম পরিমাণ সবজি খান। এতেও কিন্তু শরীর থাকবে সুস্থ আর ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
ভিটামিন সি- শাক-সবজি খাওয়ার পাশাপাশি প্রতিদিন নিয়ম করে ভিটামিন সি আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। এতে হার্ট, চোখ সবই কিন্তু ভাল থাকবে।
ডিম- শরীরে রক্ত শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিন্তু ভূমিকা রয়েছে ডিমেরও। আর তাই প্রতিদিন একটা করে ডিম খাবেন। এক্ষেত্রে সিম সিদ্ধ খাওয়াই কিন্তু সবথেকে ভাল। হার্টের রোগীরাও নির্ভয়ে খেতে পারেন ডিম।
চিয়া সিডস– চিয়া সিডসের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। যা আমাদের রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এছাড়াও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্যকরী চিয়া সিডস। নিয়মিত খেতে পারলে অনেক রকম উপকার পাবনে।
মটরশুঁটি– মটরশুঁটির গ্লাইসেমির ইনডেক্স খুবই কম। সেই সঙ্গে পুষ্টিতে ভরপুর। যে কারণে ডায়াবিটিসের রোগীদের জন্য কিন্তু খুব ভাল মটরশুঁটি। এছাড়াও খেতে পারেন ব্রকোলি। এতে কার্বোহাইড্রেট একেবারেই নেই, বরং পুষ্টি আছে অনেক বেশি পরিমাণে। যা বিভিন্ন রোগের প্রকোপ থেকে রক্ষা করে।
টকদই– রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে, ওজন কমাতে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে জুড়ি মেলা ভার টকদইয়ের। নিয়মিত ভাবে খেতে পারলে অনেক রকম উপকার পাবে।
ফ্ল্যাক্সসিডস– ফ্ল্যাক্সসিডস বা তিসিবীজও কিন্তু শরীরের জন্য বেশ ভাল। নিয়মিত খেতে পারলে সুগার, প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে। কোলেস্টেরলের সমস্যাতেও কিন্তু তা বেশ ভাল কাজ করে। ইনসুলিনের ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণেও কিন্তু ভূমিকা রয়েছে এই ফ্ল্যাক্সসিডের।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
আরও পড়ুন: Silver Benefits: রূপোর মলেই লুকিয়ে সুস্বাস্থ্যের চাবিকাঠি? কী বলছে সমীক্ষা, জানুন…