Diet for Depression: চকোলেট খেলে কি আদৌ মন ভাল হয়, ডিপ্রেশনের ডায়েট-চার্ট প্রসঙ্গে যা বললেন বিশেষজ্ঞ

TV9 Bangla Digital | Edited By: রেশমী প্রামাণিক

Aug 03, 2022 | 6:32 PM

Food And Depression: অ্যানজ়াইটি বা ডিপ্রেশন হল এক ধরনের স্ট্রেস। স্ট্রেসের জেরে কিছু হরমোন নির্গত হয়। এই হরমোন আমাদের হাইপোথ্যালামাসের উপর প্রভাব ফেলে

Diet for Depression:  চকোলেট খেলে কি আদৌ মন ভাল হয়, ডিপ্রেশনের ডায়েট-চার্ট প্রসঙ্গে যা বললেন বিশেষজ্ঞ
কেমন হবে মন খারাপের ডায়েট

Follow Us

শুধু স্বাস্থ্যকর খাবার নয়, মানসিক দিক থেকেও তাঁকে সুস্থ রাখার চেষ্টা করছেন ইডি আধিকারিকেরা। তাঁকে অর্থাৎ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে (ইডি হেফাজতে-থাকা অর্পিতা খেতে চান ড্রাই ফুট ও কফি। অন্য়দিকে, ৬৯ বছরের অপসারিত মন্ত্রী ডায়াবেটিক পার্থ চট্টোপাধ্যায় খেতে চান পাঁঠার মাংস)। অর্থাৎ শুধু শারীরিক স্বাস্থ্য নয়, হেফাজতে থাকা অভিযুক্তের মানসিক স্বাস্থ্যও একইভাবে গুরুত্বপূর্ণ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অর্পিতার মতো হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, অসুস্থ হয়ে পড়া অথবা ‘প্যানিক অ্য়াটাক’ বা ‘অ্যানজ়াইটি অ্যাটাক’ হওয়া ধৃতদের ক্ষেত্রে নতুন বিষয় নয়। সেই কারণেই শারীরিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে সঙ্গে ধৃতের মানসিক স্বাস্থ্যও ভাবনার বিষয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে।

ম্যারাথন জেরা-পর্বের ফলে আচমকা রোজকার পরিচিত জীবনযাত্রায় ছেদ, একই পোশাক, রোজকার ডায়েটে পরিবর্তন—সব মিলিয়ে অপসারিত মন্ত্রী এবং তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা পড়েছেন মহা ফাঁপরে। এই মুহূর্তে তাঁরা দু’জনেই যে মানসিক চাপের মধ্যে রয়েছেন, তা অস্বীকার করার কার্যত কোনও জায়গা নেই। ইডি তাঁদের মুখে পছন্দমতো খাবার তুলে দিলেও কখনও অর্পিতা চাইছেন ড্রাই ফ্রুটস আর ব্ল্যাক কফি, আর পার্থ খেতে চাইছেন পাঁঠার মাংস। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এবং ডায়েট চার্টের বাইরে কোনও খাবারই দেওয়া হচ্ছে না পার্থ-অর্পিতাকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আজকের ব্যস্ত ‘হাইপার কানেক্টেড’ পৃথিবীতে কম-বেশি সকলেই মনের অসুখে আক্রান্ত। কিন্তু হতাশা আর উদ্বেগ গভীর আকার নিলে তখন তা চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। ডিপ্রেশনে ভোগা ব্যক্তির যেমন কাউন্সেলিং এবং ওষুধের প্রয়োজন, তেমনই সঠিক খাওয়া-দাওয়া করাও অত্যন্ত জরুরি। কারণ কোনও-কোনও খাবার মুড ভাল করে। আবার কোনও খাবার মুড অফ করে দেয়। তাই-ই মন বুঝে খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

অ্যানজ়াইটি আর ডিপ্রেশনে এখন পরিচিত সমস্যা হলেও তুলনায় যেন ডিপ্রেশনের প্রবণতা কিছু-কিছু ক্ষেত্রে বেশি। ডিপ্রেশনের অন্যতম লক্ষণ হল খিদে কমে যাওয়া কারণ এক্ষেত্রে খিদেয় অনীহা দেখা যায়। অর্থাৎ খাবার খেতে ইচ্ছে করে না। এসব ছাড়াও কিছু ক্ষেত্রে রোগীরা দাবি করেন, যে তাঁদের খিদে বেড়ে যাচ্ছে। বিশেষত কার্বোহাইড্রেটের ক্রেভিং। মিষ্টি বা চকোলেট বেশি পরিমাণে খাচ্ছেন। খিদেয় অনীহা নেই, অথচ ডিপ্রেশনে ভুগছেন—এমন মানুষের সংখ্যা কিন্তু খুবই কম। বিষয়টি নিয়ে TV9 বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয় ইনস্টিটিউট অফ সাইকায়াট্রি (আইপিও)-র শিক্ষক-চিকিৎসক তথা ইন্ডিয়ান সাইকিয়াট্রিক সোসাইটি-র সুইসাইড প্রিভেনশন সেল-এর কো-অর্ডিনেটর মনোচিকিৎসক সুজিত সরখেলের সঙ্গে। অ্যানজ়াইটি হলে খিদের উপর কেমন প্রভাব পড়ে, এই বিষয়ে তাঁর কাছে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন রাখা হয়। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘অ্যানজ়াইটি বা ডিপ্রেশন হলে খিদের উপর তার প্রভাব পড়বেই। ৮০-৯০% ক্ষেত্রেই এই প্রভাব পড়ে।’’

অ্যানজ়াইটি বা ডিপ্রেশন হল এক ধরনের স্ট্রেস। স্ট্রেসের জেরে কিছু হরমোন নির্গত হয়। এই হরমোন আমাদের হাইপোথ্যালামাসের উপর প্রভাব ফেলে। যার প্রভাবে খিদে কমে যায়। ক্রনিক ডিপ্রেশনের ক্ষেত্রে আবার খিদে বেড়ে যায়। হরমোন হাইপোথ্যালামাসের উপর কতটা প্রভাব ফেলছে, তার উপর নির্ভর করেই ওষুধ দেওয়া হয় এবং রোগীর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করা হয়।
স্ট্রেস হলে কী রকম খাবার এড়িয়ে চলা উচিত, তা নিয়ে একাধিক গবেষণা থাকলেও এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনও বৈজ্ঞানিক তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন সুজিতবাবু। স্ট্রেসের মধ্যে আছেন এরকম ব্যক্তিদের কফি, অ্যালকোহল একেবারেই এড়িয়ে চলতে হবে। কোনও রকম নেশা চলবে না। যে খাবারই খেতে ভাল লাগুক না কেন, তা অল্প পরিমাণে খেতে হবে। জোর করে ডায়েট-চার্ট তৈরি করে নিলে চলবে না। সেই সঙ্গে খাবারের পরিমাণ অল্প রাখতে বলছেন ডাঃ সরখেল।

এ বিষয়ে সকলকে সতর্ক করতে তিনি আরও যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিলেন, সেগুলি হল—

১. ইচ্ছে নয়, অথচ জোর করে খাচ্ছেন—এরকমটা করবেন না
২. যে খাবার ভাল লাগে তাই-ই খান
৩. পরিমাণে অল্প-অল্প করে নিয়ে বারে বারে খান
৪. অধিকাংশ মানুষই চকোলেট পছন্দ করেন। বলা হয় চকোলেট খেলে সেরিটোনিন বাড়ে। যে কারণে মন ভাল থাকে। এর যদিও কোনও রকম বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই
৫. চিনি বা কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার একেবারেই এড়িয়ে যেতে হবে
৬. হালকা খাবার খান

Next Article