রোজকার কাজে স্ফূর্তি এনে দেয় গভীর ঘুম (Deep Sleep)। বাড়িয়ে দেয় উৎপাদনশীলতা। মন, মেজাজ থাকে চমৎকার। তুঙ্গে থাকে কর্ম সম্পাদনের উৎসাহ (Energy Levels)। যে কোনও কঠিন বিষয়েও মনোনিবেশ করা যায় চট করে। মোট কথা, শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকা যায়।
ঘুম না হলে বা ঘুম গভীর না হলে বহু ধরনের সমস্যা ঘিরে ধরতে থাকে আমাদের। ভালো ঘুমের জন্য কফি পান বাদ দেওয়া, রাতে শুতে যাওয়ার ঘণ্টাখানেক আগে থেকে ফোন, টেলিভিশন দেখা এড়িয়ে চলা, গভীর শ্বাস নেওয়া, দিনের বেলা ঘুমনো এড়িয়ে চলা খুবই দরকারি বিষয়। তবে এগুলির সঙ্গে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বিষয় হল, আপনি ঠিক কোন দিকে মাথা রেখে ঘুমাচ্ছেন!
আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোন দিকে মাথা রেখে ঘুমাচ্ছেন তার উপরেই নির্ভর করে ঘুমের গভীরতার সঙ্গে শারীর ও মানসিক সুস্থতার বিষয়টি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন—
• কখনওই উত্তরদিকে মাথা রেখে ঘুমাবেন না। দেখা গিয়েছে উত্তর দিকে মাথা রেখে শুলে সারারাত অস্থিরতার মধ্যে কাটে। দীর্ঘসময় শোওয়ার পরেও শরীরে তরতাজাভাব আসে না। আসলে পৃথিবীর উত্তরদিকে রয়েছে ধনাত্মক আধান। মানুষের মস্তিষ্কও ধনাত্মক আধান (পজিটিভ চার্জ)। চুম্বকের মতোই দু’টি ধনাত্মক আধান একে অপরকে বিকর্ষণ করে। ফলে উত্তরদিকে মাথা করে শুলে মস্তিষ্কে বিস্তর গোলযোগ উপস্থিত হয় যা গভীর ঘুমের পরিপন্থী। আয়ুর্বেদ মতে উত্তরদিকে মাথা করে শুলে মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা হয়। উদ্বেগে ভোগার আশঙ্কা বাড়ে। মানসিক চাপ বৃদ্ধি পায়। কোনও কিছু সুস্থিরভাবে ভাবার অবকাশ মেলে না।
পূর্ব
লেখপড়া বা গবেষণার মতো কাজে যুক্ত থাকলে স্মৃতির পরিচর্যার প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে পূর্বদিকে মাথা করে ঘুমানোর কোনও বিকল্প হতে পারে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন— পূর্বদিকে মাথা করে ঘুমালে বাড়ে মনোনিবেশের ক্ষমতা। ঘুমও হয় গভীর।
পশ্চিম
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে পশ্চিম দিকে মাথা রেখে ঘুমালে বিভিন্ন ধরনের আজগুবি স্বপ্ন ভিড় করতে পারে। ফলে গভীর ঘুম অধরা থেকে যায়। মানসিক শান্তিও লাভ হয় না।
দক্ষিণ
দক্ষিণদিকে মাথা রেখে শুলে প্রগাঢ় এবং শান্তিদায়ক ঘুম হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। দক্ষিণ দিকে রয়েছে ঋণাত্মক আধানযুক্ত মেরু। আর মানব মস্তিষ্ক ধনাত্মক আধানযুক্ত। পজিটিভ ও নেগেটিভ মেরু একে অপরকে আকর্ষণ করে। দক্ষিণ দিকে মাথা রেখে ঘুমালেও একই ঘটনা ঘটে। মস্তিষ্ক থেকে এনার্জি বেরিয়ে যায় না। বরং আরও বেশি এনার্জির প্রবেশ ঘটে। শরীর ও মনে স্ফূর্তি বাড়ে। কাজ করার ক্ষমতাও বৃদ্ধি।
আরও পড়ুন: Banana Day 2022: কলা খেলে নাকি ওজন বাড়ে! কলা দিবসে জানুন, কলার আসল পরিচয়
আরও পড়ুন: Health Tips in Summer: রোদ থেকে এসেই ঢকঢক করে ঠান্ডা জল খেয়ে ফেলেন নাকি! হতে পারে হার্ট অ্যাটাক
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।