ওজন কমাতে সময়ে ব্রেকফাস্ট করা জরুরি। আর তা যেন সময়ের মধ্যে হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। ব্রেকফাস্টের জন্য সেরা সময় হল সকাল ৮টা। তবে ১০ টার মধ্যে ব্রেকফাস্ট সেরে ফেলতেই হবে। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ঠিক সময়ে খাবার খেলে তবেই সারাদিন শরীর সুস্থ থাকে। সময়ের সঙ্গে কী খাবার খাচ্ছেন তাও গুরুত্বপূর্ণ। ব্রেকফাস্টের জন্য এখন অনেক অপশন। আগে ব্রেকফাস্ট বলতেই মেনুতে থাকত বাটার ব্রেড, কলা, ডিমসিদ্ধ এইসব। এখন চিল্লা, ওটস, কর্নফ্লেক্স, কুইনোয়া-সহ নানা খাবার পাওয়া যায় বাজারে। তাকালেই চারিদিকে প্রচুর খাবার। যে কারণে বুঝে শুনে খেতে হবে।
কফি- মেদ ঝরাতে চাইলে সকালে কফি খাওয়া চলবে না। অনেকেই এমন আছেন যাঁদের রোজ সকালে দুধ, চিনি দেওয়া ঘন কফি না খেয়ে দিনের শুরু করতে পারেন না। এতে স্বাস্থ্য সমস্যা আরও অনেক বেশি জটিল হয়। একবার ওজন বাড়তে শুরু করলে বা ওবেসিটির সমস্যা ধরলে সেখান থেকে একাধিক রোগজ্বালা আসে। হার্ভার্ড হেলথের আরও একটি গবেষণা বলছে অতিরিক্ত চিনি খাওয়ারে মিশলে সেখান থেকে সমস্যা বাড়ে। আর এমন কফি শরীরের কোনও কাজেও লাগে না। তাই চেষ্টা করুন ব্ল্যাক কফি খেতে।
সাদা রুটি- ব্রেকফাস্টে ব্রাউন ব্রেড খেতে পারেন ময়দার রুটি একেবারেই নয়। আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনের একটি প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে এমন খাবার বেশি খেলে পেটের চারপাশে চর্বি জমবেই।
সিরিয়ালস- ব্রেকফাস্টে সিরিয়ালস অনেকেরই পছন্দ। আজকাল বিভিন্ন স্বাদেরও সিরিয়াল পাওয়া যায়। আর তাই ব্রেকফাস্টে সিরিয়াল এড়িয়ে চলতে পারলেই ভাল। মুজলির প্যাকেট না কিনে বানিয়ে নিতে পারেন বাড়িতেই। সুগার ফ্রি সিরিয়াল কিনুন। ফাইবার, প্রোটিন কম থাকে এমন খাবারের উপর বেশি জোর দিন।
ফাস্ট ফুড- ব্রেকফাস্টে ফাস্ট ফুড একদম নয়। জলদি খেতে হবে বলে কেনা খাবার রোজ খাবেন এরকমটা করবেন না। সসেজ, সালামি দিয়ে অনেকেই স্যান্ডউইচ বানিয়ে নেন ব্রেকফাস্টে। আবার কারোর পছন্দ হল প্রক্রিয়াজাত চর্বি, মাংস। এই সব খাবার বেশি খেলে পেটে চর্বি জমবেই। সেই সঙ্গে ডায়াাবেটিস, হৃদরোগের সম্ভাবনাও বেড়ে যায় অনেকখানি। নিয়মিত ভাবে স্যান্ডউইচ, বার্গার, হটডগ, পেস্ট্রি, পাস্তা, পিৎজা খেলে স্ট্রোকও হতে পারে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।