ব্লাড প্রেশারের (Blood Pressure) সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। মানসিক চাপ থেকে শুরু করে জীবনযাত্রার পরিবর্তন বিভিন্ন কারণে উচ্চ রক্তচাপজনিত (High Blood Pressure) সমস্যা দেখা দিতে পারে। এতে ধীরে ধীরে শরীরের বিভিন্ম অঙ্গ বিকল হয়ে যেতে থাকে। সেই সঙ্গেই স্ট্রোকের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। তবে খাওয়াদাওয়া ও জীবনযাত্রার কিছু পরিবর্তন আনলেই ব্লাড প্রেশারকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। আয়ুর্বেদ (Ayurveda) শাস্ত্র মতে, উচ্চ রক্তচাপকে বাগে আনতে পাতে রাখবেন কোন খাবারগুলি জেনে নিন…
কালো মরিচ: আয়ুর্বেদ মতে, সকালে খালি পেটে এক চামচ কালো মরিচ খান। এতে ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে থাকে। সেই সঙ্গেই যাঁদের কোলেস্টেরল ও ডায়েবেটিসের সমস্যা রয়েছে তাঁদেরও কালো মরিচ খাওয়া উচিত।
আমলকি: শরীরের জন্য আমলকির অনেক উপকারিতা রয়েছে। শীতকালে খালি পেটে আমলকির রস পান করুন। বছরের অন্যান্য সময় যখন বাজারে আমলকি পাওয়া যায় না তখন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে সঠিক পরিমানে আমলকি পাউডার খান।
রসুন শরীরের একাধিক সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। যাঁদের হাইপারটেনশন ও হার্ট ব্লকেজের সমস্যা রয়েছে তাঁদের জন্য এটি ভীষণ উপকারী। সকালে খালি পেটে এক কোয়া রসুন খেয়ে নিন। ফলাফল নিজের চোখেই ধরা পড়বে।
অর্জুনের চা শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। এক কাপ দুধে পাঁচ গ্রাম অর্জুন ছাল , খানিকটা দারুচিনি, এক থেকে দুই চা-চামচ হলুদ, গুড়ো কালো মরিচ দিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে নিন। এ বার রাতের খাওয়ারের এক থেকে দুই ঘন্টা পর এটি খেয়ে নিন। এতে ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে থাকে।
এ ছাড়াও ব্লাড প্রেশারকে বাগে আনতে জীবনযাত্রায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। যেমন- স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। চিনি ও নুন একেবারে বর্জন করুন। কাঁচা নুন রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। প্রচুর পরিমানে শাকসবজি খান। পর্যাপ্ত পরিমানে জল খান। পটাসিয়াম রক্তচাপ কমায়,তাই বেশি করে পটাসিয়াম যুক্ত খাবার(আলু, টমাটো, কলা) খান। নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। রোজ অন্তত ১৫ মিনিট হাঁটাহাঁটি করুন । তাতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। যতটা পারেন মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করুন। অত্যধিক মানসিক চাপে ব্লাড সুগার ও প্রেশার দুটোই বেড়ে যায়। মদ্যপান ও ধূমপানের অভ্যাস থাকলে তা অবিলম্বে ত্যাগ করুন। কারণ এতে রক্তচাপ বাড়ে।