Peanuts: শীতকালে চিনাবাদাম খাওয়া কি উচিত? খেলে কারা কারা খাবেন, তা জেনে রাখা ভাল

দিনে ৩০-৪০ গ্রাম চিনাবাদাম খাওয়া শীতকালের জন্য যথেষ্ট। এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া খিদে নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে। দৈনন্দিন রুটিনে টিফিনের পরে বা সন্ধ্যার স্ন্যাকসে চিনাবাদাম ডায়েটের তালিকায় রাখতে পারেন।

Peanuts: শীতকালে চিনাবাদাম খাওয়া কি উচিত? খেলে কারা কারা খাবেন, তা জেনে রাখা ভাল
ছোট কামড়েই এই খাবারগুলি অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 18, 2021 | 9:10 AM

চিনাবাদাম যে কোনও সময় টাইমপাস করার জন্য যথেষ্ট। শীতকালে এর মজাই আলাদা। ছাদে মিষ্টি রোদে আলগা ছোঁয়া লাগাতে বাড়ির ছাদে গিয়ে বসা বাঙালির এক অভ্যাস। এছাড়া কম্বল-লেপ নিয়ে ছাদে কিছুক্ষণ রোদে দেওয়ার সময় চিনাবাদাম কখন যে পর পর মুখের মধ্যে প্রবেশ করে যায়, তা ধারণার বাইরে। শীতকালে মুঠো মুঠো চিনাবাদাম খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। ছোট কামড়েই এই খাবারগুলি অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। ওজন কমানো হোক বা ভাল হজম শক্তি উন্নত করে, চিনাবাদাম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই বিরল জিনিসটির স্বাস্থ্য উপকারিতা কেমন, তা জানা দরকার সকলের।

চিনাবাদামের উপকারিতা

আমন্ডের সমতুল্য এই চিনাবাদাম কতটা উপকারী, তা নিয়ে অনেকেরই বিভ্রান্তি রয়েছে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ ও হেলদি ফ্যাট। এছাড়া রয়েছে প্রয়োজনীয় ৩০টি ভিটামিন ও মিনারেলস। ফাইবারের জন্য চিনাবাদামের কোনও বিকল্প নেই। দিনে ৩০-৪০ গ্রাম চিনাবাদাম খাওয়া শীতকালের জন্য যথেষ্ট। এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া খিদে নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে। দৈনন্দিন রুটিনে টিফিনের পরে বা সন্ধ্যার স্ন্যাকসে চিনাবাদাম ডায়েটের তালিকায় রাখতে পারেন।

হৃদরোগের জন্য— শীতকালে অধিকাংশের শ্বাসকষ্টের প্রবণতা থাকে। এছাড়া হৃদরোগের ঝুঁকিও তৈরি হয়। চিনাবাদামে রয়েছে স্বাস্থ্যকর চর্বি, ম্যাগনেসিয়াম, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, তামা। যা হার্টকে সুস্থ রাখার জন্য যথেষ্ট।

ডায়াবেটিসের জন্য- ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কম-গ্লাইসেমিক সূচক আছে এমন খাবার খাওয়া ভাল। যে হারে খাবারগুলি গ্লুকোজের মাত্রাকে প্রভাবিত করে তা অবিশ্বাস্যকর। কারণ চিনাবাদাম হল কম জিআই যুক্ত খাবার, যা রক্তে শর্করার মাত্রাকে তীব্রভাবে বৃদ্ধি করে না। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মহিলাদের জন্য চিনাবাদাম সবচেয়ে ভাল উপাদান।

ভাল হজমের জন্য- চিনাবাদামে উচ্চ ফাইবার উপাদান রয়েছে। এইকারণে পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে ও অন্ত্রের মাইক্রোবায়োম উন্নত করতে সহায়তা করে।

তবে অনেকেরই চিনাবাদাম খেলে অ্যালার্জির প্রবণতা দেখা যায়। অ্যালার্জির লক্ষণ দেখা দিলে চিনাবাদাম থেকে দূরে থাকাই ভাল। সময়মত প্রতিষেধক গ্রহণ না করলে তা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।

আরও পড়ুন: Belly Fat Burn: পেটের জেদি মেদ ঝরাতে এবার ভরসা রাখুন আয়ুর্বেদে! ৫টি ঘরোয়া নিয়ম মানলেই হবে কেল্লাফতে