উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় আজকাল অনেকেই ভুগছেন। এই দীর্ঘ দু’বছরের মহামারিতে সেই সংখ্যাটা কিন্তু আগের তুলনায় বেড়েছে অনেকখানি। কমবয়সীদের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে এই সমস্যা। আর এরজন্য দায়ী কিন্তু আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা। রোজকার কর্মক্ষেত্রে নানা চাপ, ব্যক্তিগত জীবনে সমস্যা থেকেই কিন্তু বাড়ছে এই উচ্চরক্তচাপের সমস্যা। উচ্চরক্তচাপ থাকা মানেই কিন্তু সেখান থেকে আসে কোলেস্টেরল, হার্টের সমস্যা। যে কারণে আগের তুলনায় বেড়েছে হৃদরোগও। এছাড়াও উচ্চরক্তচাপের সমস্যা হলে আমাদের রক্তবালী সরু হয়ে যায়। যেখান থেকে ডিমনেশিয়া, স্ট্রোক, হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। হাইব্লাডপ্রেসার থাকলেই কিন্তু থেকে যায় একাধিক স্বাস্থ্য ঝুঁকি। যে কারণে প্রথম থেকেই এ ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে।
সাধারণ ভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা পশ্চিমের দেশগুলিতে এই উচ্চরক্তচাপের সমস্যার জন্য কিন্তু দায়ী থাকে রোজকার জীবনযাত্রা। অতিরিক্ত ওজন, ফাস্টফুড খাওয়া এদিকে নিয়মিত ব্যায়াম না করা বাড়িয়ে দেয় এই সব স্বাস্থ্যঝুঁকি। এছাড়াও অতিরিক্ত নুন দেওয়া খাবার বেশি খেলে, অ্যালকোহল বেশি খেলে, মানসিক চাপ খুব বেশি থাকলে এবং ঘুম যদি একেবারেই কম হয় সেখান থেকেও কিন্তু বাড়তে পারে রক্তচাপ। পুরুষদের মধ্যে এই হাইব্লাড প্রেসারের সমস্যা কিন্তু সবচেয়ে বেশি। যে কারণে প্রত্যেক মানুষের সব সময় উচিত এই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা। সেই সঙ্গে উচ্চরক্তচাপের সমস্যা থাকলে এবং বয়স ৬৫ পেরোলেই একাধিক জটিলতা আসে। আর তাই এ ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে হবে। জেনে নিন উচ্চরক্তচাপের জন্য আসলে দায়ী ঠিক কোন কোন কারণ-
নুন বেশি খাওয়া- অনেকের মধ্যেই কাঁচা নুন খাওয়ার প্রবণতা থাকে। অনেকে আবার অজান্তেই নুন বেশি খান। বিভিন্ন স্যালাডের ড্রেসিং, ফ্রোজেন ফুড এসবের মধ্যে কিন্তু নুনের ভাগ থাকে অনেকটাই। অজান্তেই তাই বেশি পরিমাণে নুন খাওয়া হয়ে যায়। মুখরোচক খাবার মানেই সেখানে নুনের আধিক্য। তাই রক সল্ট খেতে পারলে ভাল। এছাড়াও চিপস, বার্গার, তেলেভাজা, ফাস্টফুড এবং অতি অবশ্যই ফ্রোজেন ফুড কিন্তু এড়িয়ে চলতে হবে।
একটানা বসে থাকা- একটানা কোথাও বসে থাকলে বা শুয়ে থাকলেও কিন্তু আসে সেখান থেকে একাধিক সমস্যা। আর দৈহিক পরিশ্রম না থাকলে হার্ট ঠিক মতো কাজ করে না। তখন হার্টের উপরেও চাপ পড়ে। সেখান থেকেও কিন্তু আসে উচ্চরক্তচাপের মত সমস্যাও। আর তাই রোজ ৩০ মিনিট ওয়ার্কআউট অবশ্যই করবেন।
অতিরিক্ত ওজন- অতিরিক্ত ওজন চাপ ফেলে আমাদের ধমনীতে। ফলে শরীরের সর্বত্র সমপরিমাণে রক্ত সঞ্চালন হয় না। আর সেখান থেকেও কিন্তু আসে একাধিক সমস্যা। তাই ওজন কমাতেই হবে। পুষ্টিকর খাওয়া দাওয়া করুন। অতিরিক্ত তেল-মশলা একেবারেই নয়।
অ্যালকোহল- নিয়মিত অ্যালকোহল খেলে সেখান থেকেও আসে উচ্চরক্তচাপের মত সমস্যা। এছাড়াও কিন্তু সেখান থেকে আসতে পারে একাধিক সমস্যা। তাই অ্যালকোহলের পরিমাণে রাশ টানুন। সুল্থ থাকবেন।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।