ফিট থাকা মানে সবসময় শারীরিকভাবে ফিট না। মানসিক স্বাস্থ্যও সমান গুরুত্বপূর্ণ। সামান্য অভ্যাসের পরিবর্তন হলেই তা আমাদের সুস্থ স্বাভাবিক জীবন ধারণের জন্য একটা বড়সড় পদক্ষেপ হয়ে উঠতে পারে। আমরা ভুলে যাই যে স্বাস্থ্যকর খাবার, ভাল পরিমাণের ঘুম, ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার মতো প্রাথমিক ব্যাপারগুলোই স্বাস্থ্যকর জীবনের একটা বড় অংশ। এই সবগুলোই সুস্থতা ও সুস্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ।
ডায়েটেশিয়ান লাভলিন কৌর কীভাবে এই ছোট অভ্যাসগুলো পরিবর্তনের মাধ্যমে জীবনধারায় বড়সড় পরিবর্তন আনা যায় সে সম্পর্কে মূল্যবান কিছু তথ্য শেয়ার করেছেন। তাঁর ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘জীবনধারা একটি প্রক্রিয়া, কোনও ফলাফল নয়। প্রতিদিনের ১ শতাংশ পরিবর্তন এক বছর বা কয়েক বছর পর লক্ষণীয় হয়ে ওঠে! ধৈর্য ধরে রাখুন।’
১) ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ এবং মনোভাবের উপর ফোকাস করুন:
শুধুমাত্র সংখ্যাগত হিসেবের ওপর নয়, শক্তি, সহনশীলতা, ভাল হজম, ভাল ঘুম এবং মানসিক পরিচ্ছন্নতার লক্ষে এগিয়ে চলুন। যদি আপনি মানসিকভাবে সতেজ থাকেন, তাহলে বাকি অনেকের চেয়ে আপনি সুস্থ আছেন জানবেন।
২) অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করুন এবং সুষম খাদ্য খান:
পরিমার্জিত খাবার খাওয়া শুরু করুন। প্রক্রিয়াজাত, সংরক্ষিত খাবার খাওয়া ছেড়ে দিন। পর্যাপ্ত ব্যায়াম করুন। চাইলে আপনি মেডিটেশনও করতে পারেন।
৩) ভাল রুটিন তৈরি করুন এবং প্রতিদিন ব্যায়াম করুন:
প্রকৃতির সঙ্গে তারতম্য রেখে একটা ভাল রুটিন তৈরি করুন। আর সেটা মেনে চলার চেষ্টা করুন। খাবার ধীরে ধীরে চিবোন। ঘুমোতে যাওয়ার ৬০ মিনিট আগে এবং ঘুম থেকে ওঠার সময় নিজের গ্যাজেট বন্ধ করুন। খাবারের সঠিক ট্র্যাক রাখতে লগ ব্যবহার করুন। নিজেকে সব সময় হাইড্রেটেড রাখুন।
এই নিয়মগুলো প্রতিদিন মেনে চললেই জীবনধারায় একটা পরিবর্তন আনা সম্ভব। সেই পরিবরতিন অবশ্যই একটা ভাল দিকে আমাদের পরিচালনা করতে পারবে। বয়সে বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের রোগের হাত থেকেও আমাদের সুরক্ষা প্রদান করতে পারবে। আর বয়স বাড়ার সঙ্গে যদি সুস্থতা বজায় রাখা যায় তাহলে তার চেয়ে স্বাস্থ্যকর ঘটনা আর কি ই বা হতে পারে! মোদ্দা কথায় সুস্থ জীবনযাত্রার জন্য ভাল ঘুম, সুষম খাবার আর ব্যায়াম যে প্রাথমিক বিষয় এই নিয়ে আর কোনও সন্দেহের জায়গা নেই।
আরও পড়ুন: Haldi Water: নিয়মিত হলুদ-জল খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে! এছাড়া রয়েছে হাজারো গুণ