Long Covid: লং কোভিডের সমস্যায় ত্বকে যে সব উপসর্গ দেখা যায়…

TV9 Bangla Digital | Edited By: রেশমী প্রামাণিক

Feb 22, 2022 | 2:08 AM

যাঁরা লং কোভিডের সমস্যায় ভুগছেন তাঁদের ক্ষেত্রে অনেক সময়ই কিন্তু ত্বক অসাড় হয়ে যায়। পিন বা কাঁটা ফোটালেও কোনও সাড় পাওয়া যায় না। চিকিৎসা পরিভাষায় একে প্যারেস্থেসিয়া বলা হয়

Long Covid: লং কোভিডের সমস্যায় ত্বকে যে সব উপসর্গ দেখা যায়...
ওমিক্রনের প্রভাবে ত্বকে যে সব সমস্যা হচ্ছে

Follow Us

ওমিক্রনের সংক্রমণ যে ভাবে ছড়িয়েছে তাতে এখনও পর্যন্ত প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। অনেকে আবার উপসর্গহীন আক্রান্তও ছিলেন। ফলে সকলেই আক্রান্ত হয়েছেন আবার বাড়িতে থেকেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। কিন্তু ওমিক্রন থেকে সুস্থ হয়ে উঠলেও থেকে যাচ্ছে একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা। এমনকী সেরে ওঠার ১৫ দিন পরই ফের দেখা দিচ্ছে ওমিক্রনের উপসর্গ। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় একটা প্রভাব তো পড়ছেই সেই সঙ্গে মাথা ঘোরা, চুল পড়া, বুকে ব্যথা, নাক দিয়ে জল পড়া এসব সমস্যা কিন্তু থেকে যাচ্ছে দীর্ঘদিন পর্যন্ত। যাঁরা ওমিক্রনে ভুগেছেন তাঁদের প্রায় সকলের ক্ষেত্রেই কিন্তু দেখা যাচ্ছে এই লং কোভিডের সমস্যা। তবে এসব ছাড়াও যাঁরা সদ্য কোভিড থেকে ভুগে উঠেছেন তাঁদের ত্বকেও বেশ কিছু সমস্যা দেখা যাচ্ছে। আর এই সব সমস্যা কিন্তু থেকে যাচ্ছে দীর্ঘদিন পর্যন্ত।

করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যেই একজন ব্যক্তির দেহে কিন্তু যাবতীয় লক্ষণ দেখা যায়। ভাইরাল লোদ কম হলে ১৫ দিনের মধ্যেই আক্রান্ত ব্যক্তি সেরে ওঠেন। কিন্তু যাঁদের ক্ষেত্রে এই ভাইরাল লোড বেশি থাকে তাঁদের ক্ষেত্রে সেরে উঠতে বেশ কিছুদিন সময় লেগে যায়। এমনকী হাসপাতালে ভর্তিরও কিন্তু প্রয়োজন পড়ে। করোনাভাইরাসের প্রাথমিক সব উপসর্গ একেবারে সেরে যাওয়ার পর ৯০ দিন পর যদি আবার ফিরে আসে তাহলে তাকে লং কোভিডের সমস্যা বলা হয়। এই সমস্যা বেশিরভাগ সময়েই বাড়ি থেকে সেরে যায়। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তিরও প্রয়োজন পড়ে।

যাঁরা লং কোভিডের সমস্যায় ভুগছেন তাঁদের ক্ষেত্রে অনেক সময়ই কিন্তু ত্বক অসাড় হয়ে যায়। পিন বা কাঁটা ফোটালেও কোনও সাড় পাওয়া যায় না। চিকিৎসা পরিভাষায় একে প্যারেস্থেসিয়া বলা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কিন্তু তা পায়ের বা হাতের চামড়াতেই বেশি অনুভূত হয়। অল্পেই পায়ে ঝিঁ ঝিঁ ধরে যায়। তবে এই সমস্যা হলে স্নায়ুর উপর চাপ দিলে বিভিন্ন অঙ্গে রক্ত সরবরাহ শুরু হয়। শরীর কিছুক্ষণ নাড়াচাড়াও করা হয়। এভাবেই কিন্তু লং কোভিডের সমস্যা চলে যায়।

তবে প্রায়শই যদি প্যারেস্থেসিয়ার সমস্যা হয় এবং তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় তাহলে কিন্তু ফেলে না রেখে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করবেন। প্যারেস্থেসিয়া ( Paresthesia) যদি ঘন ঘন হয় তাহলে কিন্তু এর নানা কারণ থাকতে পারে। আগাম স্ট্রোকের সতর্কতা, মস্তিষ্কে টিউমার ভিটামিন ডি বেশি থাকলে, ডায়াবিটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের ,সমস্যা থাকলে কিন্তু এই সব সমস্যা হতে বাধ্য। এছাড়াও ক্লান্তি, শ্বাসকষ্ট, পেশির ব্যথা, বুকে ব্যথা, ধড়ফড় করে ওঠা এসব তো আছেই।  তাই কোনও উপসর্গ জেখলে আগে থেকেই সতর্ক হোন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

আরও পড়ুন: Stealth Omicron : স্টিলথ ওমিক্রনে সোয়াব পরীক্ষায় রেজাল্ট নেগেটিভ, কিন্তু জটিল হয় অন্ত্রের সমস্যা

Next Article