Stealth Omicron : স্টিলথ ওমিক্রনে সোয়াব পরীক্ষায় রেজাল্ট নেগেটিভ, কিন্তু জটিল হয় অন্ত্রের সমস্যা
স্টিলথ ওমিক্রনে আক্রান্তেরা সকলেই অন্ত্রের নানা সমস্যায় ভুগছেন। ওমিক্রন প্রভাব ফেলে নাকে, শ্বাসযন্ত্রে। কিন্তু স্টিলথ ওমিক্রনে যারা আক্রান্ত হচ্ছে তাদের ক্ষেত্রে পেটের সমস্যা প্রবল
গত দুমাসেই বিশ্বজুড়ে নিজের আধিপত্য বিস্তার করেছে ওমিক্রন। প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যুর খবর প্রায় নেই বললেই চলে। তবুও কিচু কিছু জায়গা থেকে কিন্তু মৃত্যুরও খবর এসেছে। কিন্তু কোভিডের এই নয়া ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টার থেকে কয়েকগুণ বেশি সংক্রামক তা কিন্তু ইতিমধ্যেই প্রমাণিত। তবে ওমিক্রন সংক্রমণ থেকে পরিস্থিতি বিশেষ জটিল হয়েছে তার কিন্তু কোনও প্রমাণ এখনও পর্যন্ত নেই। উপসর্গ সাধারণ ফ্লু এর মতই। ইদানিং কালে অনেকেই স্টিলথ কোভিডে (Stealth Omicron)আক্রান্ত হচ্ছেন। আর যা কিন্তু গোপন ওমিক্রন নামেই বিশেষ পরিচিত। ইউরোপে যে ওমিক্রন সংক্রমণ দেখাল, সেটাকে বিজ্ঞানীরা বলছেন ‘স্টিলথ ওমিক্রন’। পোশাকি ভাষায় বিএ.২ সাব-স্ট্রেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ওমিক্রনের তিনটি সাব-স্ট্রেইন রয়েছে। সেগুলি হল– BA.1, BA.2 এবং BA.3। বিশ্বজুড়ে ওমিক্রন সংক্রমণে বিএ.১ সাব-স্ট্রেইনেরই দাপট বেশি। তবে দ্রুত বাড়ছে বিএ.২ উপপ্রজাতিও। যেমন ডেনমার্কের সক্রিয় করোনা আক্রান্তদের অর্ধেকের শরীরে বিএ.২ সাব-স্ট্রেইনই মিলেছে। ব্রিটেন ও ডেনমার্ক ছাড়া বিএ.২ সাব-স্ট্রেইন মিলেছে সুইডেন, নরওয়ে এবং ভারতে। বিএ.২-র ৫৩টি সিকোয়েন্সকে শনাক্ত করেছে ব্রিটেন।
তবে আমেরিকার ZOE কোভিড অ্যাপের সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, স্টিলথ ওমিক্রনে আক্রান্তেরা সকলেই অন্ত্রের নানা সমস্যায় ভুগছেন। ওমিক্রন প্রভাব ফেলে নাকে, শ্বাসযন্ত্রে। কিন্তু স্টিলথ ওমিক্রনে যারা আক্রান্ত হচ্ছে তাদের ক্ষেত্রে পেটের সমস্যা প্রবল। কিন্তু এঁরা যে কোভিডে আক্রান্ত তা নিজেরাও জানেন না। কারণ স্টিলথ ওমিক্রনে আক্রান্ত হলে কোভিড পরীক্ষায় রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তবে শুধুমাত্র স্টিলথ ওমিক্রন নয়, ওমিক্রনে আক্রান্ত হলেও কিন্তু পেটের সমস্যা আসে। হজমের সমস্যা হয়। স্টিলথ ওমিক্রনে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে পেটের সমস্যা ছাড়াও বমি বমি ভাব, ডায়ারিয়া, বমি, পেটে ব্যথা, অম্বল, পেট ফেঁপে যাওয়া এই সব সমস্যা লেগেই থাকে।
তবে ZOE COVID অ্যাপে দেখা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত যাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁদের ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্টের সমস্যাই বেশি। এবং সেই সমস্যা কিন্তু দীর্ঘায়িত হচ্ছে। ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্ট হওয়ায় এক্ষেত্রে কিন্তু স্বাদ, গন্ধ হারানোর মত সমস্যা থাকছে না। বা শ্বাসকষ্টও নেই। কিন্তু থেকে যাচ্ছে ক্লান্তি এবং মাথা ঘোরা। নাক-মুখের মাধ্যমেই ভাইরাস প্রবেশ করছে অন্ত্রে। ফলে জটিল হচ্ছে সেই সব সমস্যাও। তাই সোয়াব টেস্টে নেগেটিভ আসলেই যে আপনি কোভিড মুক্ত এমন কিন্তু নয়। বরং সাবধানে থাকুন। শরীরের যত্ন নিন।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।