পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে হার্ট অ্যার্টাকের ( Heart attack) ঘটনা তুলনায় কম। যদিও মেনোপজের পর মহিলাদের মধ্যে বাড়ে হৃদরোগের প্রবণতা। এছাড়াও ডায়াবিটিস বা উচ্চরক্তচাপের জন্য আজকাল মেয়েদের মধ্যে বাড়ছে হৃদরোগের প্রবণতা। সেই সঙ্গে আজকাল জীবনযাত্রার কারণে মেয়েরাও অনেক কম বয়সে হার্টের নানা সমস্যায় ভুগছে। এছাড়াও মেয়েদের মধ্যে হরমোনের তারতম্য জনিত কারণে নানা রকম সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে ওষুধ খান। আর সেখান থেকেও কিন্তু আসতে পারে হৃদরোগের ( Heart problem) সম্ভাবনা। এছাড়াও হার্ট অ্যার্টাকে ( Heart Failure) পুরুষদের তুলনায় মেয়েদের মধ্যে মৃত্যুর সম্ভাবনা ২০ শতাংশ বেশি থাকে। শুধু তাই নয়, ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের হার্টের সমস্যাও অনেক বেশি জটিল হয়। কিন্তু মেয়েরা এই ব্যাপারে বড়ই উদাসীন। তাঁদের মধ্যেকার এই সব অভ্যাসের জন্যই মেয়েরা আজকাল হৃদরোগে আগের তুলনায় অনেকটাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।
ধূমপান- আজকাল শহুরে মেয়েদের মধ্যে বেড়েছে ধূমপানের প্রবণতা। তা ফ্যাশন হোক বা নেশা, এখন প্রচুর মেয়েকে ধূমপান করতে দেখা যায়। নিয়মিত ধূমপানের ফলে শরীরে একাধিক সমস্যা দেখা যায়। ফুসফুসের ক্ষতি হয়। অনেকের ক্ষেত্রেই দীর্ঘমেয়াদি কাশি, কফ কিংবা শ্বাসকষ্টের মত একাধিক সমস্যা তৈরি হয়। তবে অনেকেই তা এড়িয়ে যান। ধূমপান হার্টের জন্য খুবই ক্ষতিকারক।
ব্যায়াম- সব মেয়েদেরই নিয়মিত প্রচুর বাড়ির কাজ করতে হয়। এছাড়াও থাকে অফিসের চাপ। সকালে ঘুম থেকে উঠে বাড়ি আর অফিস এতসঙ্গে সামলাতে গিয়ে অনেকেই শরীরচর্চা করার সময়টুকু পান না। নিয়মিত অন্তত ৩০ মিনিট শরীরচর্চা সকলকেই করতে হবেয এখান থেকেও আসে হৃদরোগের সম্ভাবনা। বাড়ির কাজে পরিশ্রম বেশি হলেও তা কখনই শরীরচর্চা নয়।
ওজন কমানো- হার্টের সমস্যার ক্ষেত্রে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা কিন্তু খুবই জরুরি। সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর অনেক মহিলার ওজন বেড়ে যায়। কিন্তু সেই বাড়তি ওজন ঝরিয়ে ফেলার জন্য তাঁদের মধ্যে বিশেষ সচেতনতা সব সময় দেখা যায় না। নিয়মিত জিম, ডায়েটের মধ্যে দিয়েও অনেকে যান না। আর এই স্থূলতা কিন্তু হার্টের সমস্যার নেপথ্যে থাকে।
পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া- মেয়েদের পরিশ্রম ছেলেদের তুলনায় অনেকটাই বেশি হয়। কিন্তু মেয়েরা কম ঘুমোন। প্রতিদিন আমাদের সকলেরই অন্তত ৭-৮ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন হয়। কিন্তু মেয়েদের ঘুম এমনিই কম। কাজের চাপের জন্য অনেকেই ৫-৬ ঘন্টার বেশি ঘুমনোর সময় পান না। এতে কিন্তু শরীর ভিতর থেকে ভেঙে পড়ে।
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা না করা- স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিয়ে মেয়েদের মধ্যে চূড়ান্ত উদাসীনতা দেখা যায়। তাঁরা সবার জন্য করেন কিন্তু নিজের খেয়াল ঠিকমতো রাখেন না। সমস্যা একেবারে চরম পর্যায়ে গেলে তখন পরীক্ষা করান। হয়তো ভেতরে ভেতরে রক্ত শর্করা বেড়ে থাকে অনেকখানি। এছাড়ও বুকে ব্যথা বা বমির মত সমস্যাও অনেক সময় এড়িয়ে যান। এসব কারণের জন্যি কিন্তু পরবর্তীতে জটিলতা আসে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।