Type-2 Diabetes: ওষুধ খেয়ে কমছে না সুগার? ডায়েট আর ওয়ার্কআউটের সঙ্গে রাতের বেলা মানতে হবে এই ৬ নিয়ম
Bedtime Ritual for Diabetics: স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইলের অবিচ্ছেদ্য অংশ হল খাওয়া-দাওয়া। আপনি কী খাচ্ছেন, কখন খাচ্ছেন আর কতটা পরিমাণে খাচ্ছেন, সব কিছুই প্রভাব ফেলে আপনার সুগার লেভেলের উপর। পাশাপাশি নিয়ম করে শরীরচর্চাও জরুরি। এই কয়েকটি বিষয় মানলেই ডায়াবেটিস নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।

ডায়াবেটিস ধরা পড়লে শুধু ওষুধ খেলেই চলবে না। সুগারকে বশে রাখতে গেলে দৈনন্দিন জীবনেও কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল মেনে চললে রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। আর এই স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইলের অবিচ্ছেদ্য অংশ হল খাওয়া-দাওয়া। আপনি কী খাচ্ছেন, কখন খাচ্ছেন আর কতটা পরিমাণে খাচ্ছেন, সব কিছুই প্রভাব ফেলে আপনার সুগার লেভেলের উপর। পাশাপাশি নিয়ম করে শরীরচর্চাও জরুরি। এই কয়েকটি বিষয় মানলেই ডায়াবেটিস নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তবে, এগুলো ছাড়াও রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে আপনাকে কিছু নিয়ম মানতে হবে। সেগুলো দেখে নিন কী-কী।
১) রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে সুগার লেভেল যাচাই করে নিন। টাইপ-১ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে শর্করার মাত্রা যাচাই করেই খাবার খেতে হয়। কিন্তু টাইপ-২ ডায়াবেটিসে অনেকের মধ্যেই এই অভ্যাস নেই। সারাদিন সময় না পেলেও রাতে এই কাজটি সারুন।
২) ডায়াবেটিসে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম ভীষণ জরুরি। অথচ এই লাইফস্টাইল ডিজিজেই মানুষ অনিদ্রার সমস্যায় ভোগেন। তাই ঘুমোতে যাওয়ার ১ ঘণ্টা আগে থেকে মোবাইল ব্যবহার বন্ধ করে দিন। ফোন ঘাঁটলে ঘুম ধরতে দেরি হয়। এর জেরে বাড়তে পারে অনিদ্রার সমস্যা।
৩) রাতের খাবার খাওয়া শেষ করেই বিছানায় চলে যাবে না। ডিনার শেষে ৩০ মিনিট হাঁটাচলা করুন। এতে খাবার দ্রুত হজম হয়ে যাবে। পাশাপাশি এড়াতে পারবেন বদহজমের সমস্যা। ওজন ও রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এই নিয়ম মানতেই হবে।
৪) ঘুমোতে যাওয়ার আগে জল খান। মাঝরাতে টয়লেট পেলে উঠবেন। কিন্তু জল কম খাবেন না। বেশি করে জল খেলে শরীরে জমে থাকা সমস্ত টক্সিন বেরিয়ে যাবে।
৫) ডায়াবেটিসের রোগীদের দিনে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম জরুরি। এর চেয়ে কম ঘুম হলে কিংবা অনিদ্রার সমস্যায় ভুগলে ইনসুলিন হরমোনের নিঃসরণ অনিয়মিত হয়ে যেতে পারে। তাই ঘুমের সঙ্গে কোনও আপোস করা চলবে না।
৬) রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ক্যামোমাইলের চা খেতে পারেন। ক্যামোমাইলের চায়ের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি অনিদ্রার সমস্যা দূর করে এই চা। মানসিক চাপও কমিয়ে দেয়।





