রোগের এখন আর কোনও বয়স নেই। যে কোনও বয়সের মানুষ যে কোনও রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। সুগার, প্রেশার, কোলেস্টেরল এসব তো আছেই- পাশাপাশি বেড়েছে ভাইরাসজনিত রোগের প্রকোপও। গত কয়েক বছরে বেশ কিছু নতুন রোগ এসেছে যা সহজেই মারাত্মক আকার ধারণ করছে। তাই আগে থেকেই নিজেকে এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। শেষ মুহূর্তে ধরা পড়লে চিকিৎসা করার মত সময়ও হাতে থাকছে না।
তবে শরীরে কোনও সমস্যা হলে অনেক আগে থেকেই শরীর তার জানান দয়। আমরাই উপসর্গ এড়িয়ে যাই। প্রথম থেকে এই দৃষ্টিভঙ্গি থাকে বলেই চিকিৎসা দেরিতে শুরু হয়। শরীরের কোনও লক্ষণই ফেলনা নয়। আর তাই এই সব লক্ষণ দেখলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে এসব খুবই সাধারণ, কিন্তু এড়িয়ে গেলে অনেক বেশি জটিল সমস্যায় পড়তে পারেন।
খুশকির সমস্যা আর চুল পড়া এখন লেগেই থাকে। সমীক্ষা অনুসারে চুল পড়া শরীরে পুষ্টির ঘাটতির লক্ষণ। জিঙ্ক, B2, B3, B6, এবং B7 আর আয়রনের ঘাটতি হলেই শরীরে এই সমস্যা বেশি হয়।
ড্রাই আইজের সমস্যা এখন আগের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে। এই প্রদাহ থেকে চোখের ক্ষতি হয়। অনেক সময় বার্ধক্য জনিত কারণেও এই সমস্যা হয়। অথবা এমন কিছু ওষুধ খাচ্ছেন যার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াতে চোখ শুকিয়ে যায়।
ত্বকে ফুসকুড়ির একাধিক কারণ থাকতে পারে। যার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন রকমের সংক্রমণ, অ্যালার্জি, ইমিউন সিস্টেমের সমস্যা এবং ওষুধ। ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াতেও অ্যালার্জি বের হয়। আবার জ্বরের সঙ্গে অ্যালার্জি হতে পারে। সাধারণত ত্বক লাল হয়ে যাওয়া, চুলকানি, ফুসকুড়ি এসব কিন্তু একজিমার লক্ষণ।
সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের জিহ্বার রং হয় গোলাপী। তবে যাঁরা বেশি অ্যালকোহল খান, নেশা করেন তাঁদের ক্ষেত্রে সেই রঙে পরিবর্তন আসতে পারে। এই রং পরিবর্তন হয়ে যদি সাদা সাদা ছোপ দেখতে পাওয়া যায় তাহলে কিন্তু সাবধান। ওরাল থ্রাশের কারণে তা হতে পারে। আর এই সাদা ছোপ হল ডায়াবেটিসের প্রাথমিক লক্ষণ।