Village Food: কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে অ্যানিমিয়া, ম্যাজিকের মত কাজ করবে কলাগাছের এই অংশ!

TV9 Bangla Digital | Edited By: রেশমী প্রামাণিক

Aug 01, 2022 | 8:49 AM

Banana Stem: কলাগাছের কাণ্ডের মজ্জাকেই থোড় বলা হয়। থোড় খেতে যেমন ভাল হয় তেমনই পুষ্টিগুণে ঠাসা

Village Food: কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে অ্যানিমিয়া, ম্যাজিকের মত কাজ করবে কলাগাছের এই অংশ!
ফেলে না দিয়ে আজ থেকেই খান

Follow Us

আমাদের দেশে সারাবছর সস্তায়, পুষ্টিকর যে খাবার পাওয়া যায় তা হল কলা। শহরাঞ্চলে এখনও গরে ঘরে কলাগাছ দেখতে পাওয়া যায়। কলার মধ্যে যে পরিমাণ খনিজ, ভিটামিন থাকে তা আর অন্য কোনও ফলের মধ্যে থাকে না। একটা কলা খেলে সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণ এনার্জিও পাওয়া যায়। আর কলাগাছের জন্য বিশেষ যত্নেরও প্রয়োজন হয় না। যাঁরা রোজ ব্যায়াম করেন তাঁদেরও যেমন কলা খেতে বলা হয় তেমনই যাঁদের বিভিন্ন শারীরিক দুর্বলতা রয়েছে তাঁদেরও রোজ ব্রেকফাস্টে একটা করে কলা খেতে বলা হয়। ডিম, কলা আর ব্রেড- যুগের পর যুগ ধরে এই স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্টে অভ্যস্ত অনেকেই। আবার এখন ওটস বা স্মপদির সঙ্গেও অনেকে কলা মিশিয়ে খান। তবে শুধু কলা নয়, কলার ফুল, ফল থেকে কাণ্ড সবই কিন্তু খাওয়া হয়। আর কলার থেকেও বেশি পরিমাণ আসরণ থাকে কলাগাছের কাণ্ডে। চলতি বাংলায় যাকে থোড় বলা হয়। যদিও এমন অনেকেই আছেন যাঁরা থোড় খেতে জানেন না। এছাড়াও কিছু মানুষ আছেন যাঁরা ঝামেলার ভয়ে থোড় এড়িয়ে যান। যদিও এই প্রজন্মের অনেকের সঙ্গেই থোড়ের কিন্তু বিশেষ পরিচিতি নেই।

কলাগাছের কাণ্ডের মজ্জাকেই থোড় বলা হয়। থোড় খেতে যেমন ভাল হয় তেমনই পুষ্টিগুণে ঠাসা। তাই আজ থেকে এই কাণ্ড ফেলে না দিয়ে কাজে লাগান রান্নায়। এতে নিজেই পাবেন একাধিক উপকার।

ওজন কমানোর কাজে- ওজন কমাতেও বিশেষ ভূমিকা রয়েছে থোড়ের। কারণ থোড়ের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। যে কারণে থোড় খেলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত কোনও খিদে পায় না। যে কোনও জাঙ্ক ফুডের পরিবর্তে খেতে পারেন থোড়ের ভাজা। সুস্বাদু এই ভাজা জিভকেও দেবে নতুনত্বের স্বাদ সঙ্গে খিদেও কম পাবে। এছাড়াও অনেকে থোড় সিদ্ধ করে খান। এতে কিন্তু ওজন কমে দ্রুত।

পুষ্টিতে ভরপুর- থোড়ের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি। এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম এবং বি৬। ভিটামিন বি৬ হিমোগ্লোবিন এবং ইনসুলিন গঠনে সাহায্য করে। এর পশাপাশি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে তোলে। এছাড়াও তোড়ের মধ্যে থাকে পটাশিয়াম, যা হার্টের পেশীকে শক্তিশালী করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।

টক্সিন দূর করে- শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন দূর করতেও ভূমিকা রয়েছে এই থোড়ের। আজকাল অনেকেই কিডনি স্টোনের সমস্যায় ভোগেন। এক্ষেত্রে নিয়ম করে থোড় খেতে পারলে উপকার পাবেন। রোজকার ডায়েটে থোড় রাখলে হজমও ভাল হয়। সঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর হয়ে যায়।

ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে- থোড়ের রস শরীরের ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে। তাই যাঁদের হজমের সমস্যা রয়েছে, মুখে প্রায়শই ব্রণ হয় তাঁরাও খেতে পারেন থোড়ের রস। এছাড়াও থোড়ের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটির সমস্যাতেও কার্যকরী থোড়। যাঁরা রোজ থোড়ের তরকারি খান এখাধিক রোগসমস্যা থেকে সহজেই দূরে থাকতে পারেন। এছাড়াও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে বূমিকা রয়েছে থোড়ের।

ইউরিন ইনফেকশন- প্রায়শই ইউরিন ইনফেকশনের সমস্যায় ভোগেন? তাহলে রোজ একগ্লাস করে খান থোড়ের রস। কিডনি স্টোন থেকে শুরু করে ইউটিআই-পাবেন মুক্তি। থোড়ের মধ্যেকার পটাশিয়াম এবং ক্যালশিয়ামই এর জন্য দায়ী।

Next Article