AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

সারা বছর লেগেই আছে খুশখুশে কাশি? ওষুধ ছাড়ুন, ঘরোয়া পদ্ধতিতে এই ভাবে বলুন টাটা

খুশখুশে কাশি এমন এক বিরক্তিকর সমস্যা যা অনেকেরই সারা বছর লেগেই থাকে। কখনও ঠান্ডা-গরমে, কখনও ধুলোবালিতে, কখনও বা এলার্জির কারণে এই শুকনো কাশি দীর্ঘদিন থেকে যায়। অনেক সময় চিকিৎসার পরেও এটি বারবার ফিরে আসে।

সারা বছর লেগেই আছে খুশখুশে কাশি? ওষুধ ছাড়ুন, ঘরোয়া পদ্ধতিতে এই ভাবে বলুন টাটা
| Edited By: | Updated on: Jun 30, 2025 | 6:28 PM
Share

খুশখুশে কাশি এমন এক বিরক্তিকর সমস্যা যা অনেকেরই সারা বছর লেগেই থাকে। কখনও ঠান্ডা-গরমে, কখনও ধুলোবালিতে, কখনও বা এলার্জির কারণে এই শুকনো কাশি দীর্ঘদিন থেকে যায়। অনেক সময় চিকিৎসার পরেও এটি বারবার ফিরে আসে। তবে কিছু কার্যকর ঘরোয়া পদ্ধতি ও নিয়ম মেনে চললে এই ধরনের কাশি থেকে আরাম পাওয়া সম্ভব।

১. আদা ও মধুর মিশ্রণ: আদা একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান, যা কফ ও কাশি কমাতে অত্যন্ত উপকারী। ১ চা চামচ আদার রসের সঙ্গে ১ চামচ মধু মিশিয়ে দিনে ২-৩ বার খেলে কাশি অনেকটা কমে যায়। খালি পেটে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।

২. তুলসী ও মধুর ক্বাথ: তুলসী পাতায় থাকা গুণাগুণ কাশি, ঠান্ডা ও গলা ব্যথায় দারুণ কাজ করে। ৫-৬টি তুলসী পাতা জলে ফুটিয়ে তার সঙ্গে মধু মিশিয়ে দিনে ২ বার পান করুন।

৩. লবঙ্গ ও মৌরি চিবিয়ে খাওয়া: লবঙ্গ ও মৌরি প্রাকৃতিকভাবে কফ দূর করে ও গলা মসৃণ রাখে। এগুলি মুখে নিয়ে ধীরে ধীরে চিবিয়ে খেলে খুশখুশে কাশি অনেকটাই কমে যায়।

৪. হালকা গরম পানিতে নুন ও হলুদ মিশিয়ে গার্গল: গলার রন্ধ্রে জীবাণু জমে কাশি হয়। প্রতিদিন সকালে ও রাতে গরম জলে এক চিমটি হলুদ ও নুন মিশিয়ে গার্গল করলে গলা পরিষ্কার থাকে ও সংক্রমণ কমে।

৫. ভাপ নেওয়া (Steam inhalation): প্রতিদিন রাতে গরম জলের ভাপ নিলে শ্বাসনালী পরিষ্কার হয় এবং গলার খুসখুস ভাব কমে। এতে নাক-কান-গলার রাস্তাও জীবাণুমুক্ত হয়।

৬. দূষণ ও ধুলো থেকে দূরে থাকুন: ধুলো, ধোঁয়া, পারফিউম বা রুম ফ্রেশনারের গন্ধ থেকেও এলার্জি-জনিত কাশি হতে পারে। বাড়ি বা বাইরে গেলে মাস্ক ব্যবহার করুন এবং ঘর পরিষ্কার রাখুন।

৭. পর্যাপ্ত জল পান করুন ও গলা আর্দ্র রাখুন: শুকনো গলা খুশখুশে কাশির অন্যতম কারণ। তাই সারা দিনে পর্যাপ্ত জল পান করুন। গরম জল বা ভেষজ চা পান করলেও উপকার মেলে।

খুশখুশে কাশি যদি দীর্ঘদিন লেগে থাকে, তাহলে ঘরোয়া চিকিৎসার পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াও জরুরি। তবে নিয়মিত যত্ন ও কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি মেনে চললে কাশি থেকে অনেকটাই মুক্তি পাওয়া সম্ভব।