আজকাল ছোট থেকে বড় সকলেই মোবাইলে ( Smart Phone) বড় বেশি আসক্ত। ফাঁকা সময় পেলেই সময় কাটানোর সঙ্গী হিসেবে বেছে নেন এই মুঠোফেনই। শুধু তাই নয়, বেশিরভাগেরই অভ্যাস রাতে বিছানায় শুয়েও ফোন ঘাঁটা। ঘুমোতে যাওয়ার আগে নেটপাড়ায় ঘোরাঘুরি, ওয়েব সিরিজ কিংবা পছন্দের সিরিয়ালের বিশেষ ক্লিপিং অনেকের কাছেই ঘুমের ওষুধের মতো। কিছুক্ষণ সময় ওর পিছনে ব্যায় না করলে মোটেই ঘুম আসতে চায় না। আবার অনেকের আসক্তি মোবাইল গেমে। একটা রাউন্ড না জিতে তাঁরা যেন কিছুতেই চোখের পাতা এক করতে পারেন না। সম্প্রতি জার্নাল অফ স্লিপ রিসার্চে নতুন একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। আর সেখানেই বলা হয়েছে এই ঘুমোতে যাওয়ার আগে ফোন ঘাঁটা মোটেও ভাল ব্যাপার নয়। এতে কিন্তু চাপ পড়ে শরীরে আর মনে। যদিও এই কথা এর আগেও একাধিকবার বলা হয়েছে।
গত দু বছরের লকডাউন, গৃহবন্দি জীবনে সকলেরই জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এসেছে। চার দেওয়ালের মধ্যে থাকতে থাকতেই আমরা অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। সারাদিন কাজ আর পরিশ্রমের দৌলতে বেশিরভাগই তাঁর পছন্দের এই সব কাজ করেন রাতের বেলা। তা সে ওয়েব সিরিজ দেখাই হোক বা সিনেমা। কিংবা গান শোনা। কারণ কাজের চাপ এতটাই বেশি যে সারাদিনে নিজের মতো করে সময় খুঁজে পাচ্ছেন না অনেকেই। মোট ৫৮- জনের উপর এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। সেখানেই তাঁরা জানিয়েছেন, পরের দিনের কাজের যাবতীয় পরিকল্পনা কিংবা নিজের মতো করে সময় কাটানোর সুযোগ একমাত্র রাতেই পান তাঁরা। ফলে এই সময়টা সকলেই চান নিজের মত করে ব্যবহার করতে। আর এতেই কিন্তু হচ্ছে বিপত্তি।
সমীক্ষার সঙ্গে যুক্ত সকলেরই একটি ইলেক্ট্রোএনসেফালোগ্রাফি পরীক্ষা করানো হয়। মূলত স্ক্যাল্পের সঙ্গে একটি ছোট ধাতব ডিস্ক সংযুক্ত করা হয়। আর যা মস্তিষ্কের যাবতীয় বৈদ্যুতিক কার্যকলাপ শনাক্ত করে। সেই সঙ্গে ঘুমের সময়, ঘুমের প্যারামিটার, ঘুমের গুণমান এই সব কিছু বিচার করে। আর সেই সমীক্ষাতেই তদেখা গিয়েছে যাঁরা ঘুমের সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া ঘাঁটেন তাঁদের ঘুম অন্যদের তুলনায় কম। আর যাঁরা ঘুমের সময় মোবাইল ব্যবহার করেন না তাঁদের ঘুম তুলনায় ভাল এবং মোবাইল ব্যবহারকারীদের তুলনায় ১ ঘন্টা বেশি তাঁরা ঘুমোন।
আর তাই গবেষকদের পরামর্শ, নিজের মত করে সময় কাটাতে চাইলে ঘুমের একঘন্টা আগে তা সেরে নিন। ওয়েব সিরিজ, সিনেমা দেখা বা মোবাইল ঘাঁটা সবই কিন্তু আমাদের নিজস্ব অভ্যাস। কাজের চাপ থেকে নিজেকে একটু মুক্ত করতে এসবও জরুরি। তবে বিছানায় শুয়ে এই মোবাইল না ঘাঁটাই ভাল। এতে উপকারের থেকে অপকার বেশি। সেই সঙ্গে ঘুম আসতেও সময় লাগে। নিজের কাজের থেকেও ফোকাস নষ্ট হয়। তাই গান শুনতে শুনতে ঘুমনোর অভ্যাসও কিন্তু ভাল নয়।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
আরও পড়ুন: Coronavirus: কোভিড আক্রান্ত হওয়ার ৩ জন বয়স্কর মধ্যে ১ জন ভুগছেন জটিল সমস্যায়!