Curry Leaves Health Benefits: রান্নার স্বাদ বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি একাধিক রোগের নিরাময়ে সক্ষম এই পাতা…
TV9 Bangla Digital | Edited By: শোভন রায়
Feb 13, 2022 | 8:17 AM
আমাদের শরীরের যাবতীয় সমস্যার নিরাময়ে কারি পাতার জুড়ি মেলা ভার। কারি পাতায় থাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, আয়রন, কপার ও ভিটামিন থাকে। এ ছাড়াও কারি পাতা ভিটামিন এ, বি, সি ও বি২ সমৃদ্ধ।
Follow Us
শারীরিক সুস্থতায় ভেষজ (Herbal) উপাদান দারুন উপকারী। প্রাচীনকাল থেকে এমনই কিছু ভেষজ আজও বিভিন্ন রোগ সারাতে ব্যবহৃত হয়। তেমনই এক উপাদান হল কারি পাতা (Curry Leaves)। অনেকেই বিভিন্ন রান্নায় স্বাদ ও ঘ্রাণ বাড়াতে কারি পাতা ব্যবহার করেন। জানেন কি, এই পাতার রস বিভিন্ন রোগ সারাতেও কার্যকরী? কারি পাতায় থাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, আয়রন, কপার ও ভিটামিন (Vitamins) থাকে। এ ছাড়াও কারি পাতা ভিটামিন এ, বি, সি ও বি২ সমৃদ্ধ।
কারি পাতার নিয়মিত ব্যবহারে শরীরে এসবের ঘাটতি পূরণ হয়। শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে এটি বেশ কার্যকর। কারি পাতার রস তৈরি করা বেশ সহজ। এজন্য একটি পাত্রে এক গ্লাস জলে কয়েকটি কারি পাতা সেদ্ধ করে নিন। এরপর তা ছেঁকে জলের মধ্যে অল্প লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে চায়ের মতো পান করলেই মিলবে সুফল। জেনে নিন কারি পাতা কোন কোন রোগ সহজেই সারিয়ে তুলতে পারে-
কারি পাতায় আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি কোষের নষ্ট হওয়া প্রতিরোধ করে শরীরকে ভেতর থেকে সুস্থ রাখে। রোগ সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।
কারি পাতা ওজন কমাতেও সাহায্য করে। খাবারে নিয়মিত কারি পাতা ব্যবহার করলে কিংবা এর রস পান করলেও ওজন কমে দ্রুত।
মস্তিষ্ককে সজাগ রাখতেও কারিপাতার জুড়ি মেলা ভার। বিশেষজ্ঞদের মতে, কারিপাতা অ্যামনেশিয়া নিয়ন্ত্রণে দারুণ কাজ দেয়।
দৃষ্টিশক্তির জন্যও কারি পাতা অনেক উপকারী। কারি পাতায় উপস্থিত ভিটামিন এ-এর প্রভাবেই চোখের কর্নিয়া ভাল থাকে।
পেটের বিভিন্ন সমস্যায় কারি পাতা ব্যবহার করা যেতে পারে। কারি পাতার গুঁড়ো বাটারমিল্কে মিশিয়ে খেলে ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য ও আমাশা থেকে সহজেই নিস্তার পাবেন। কারি পাতা অন্ত্রের হজমের জন্য দায়ী অ্যানজাইমগুলোকে উদ্দীপিত করে।
ব্যাকটেরিয়া দূর করতেও এই পাতা বেশ কার্যকর। কারি পাতায় থাকা কার্বাজোল অ্যালকালয়েড, যা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি ক্যানসার ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যযুক্ত।
এই পাতায় লিনোলল যৌগও (যেটি কারি পাতায় ঘ্রাণ দেয়) থাকে। এসবের কারণেই এই পাতা ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে সহজেই। এটি শরীর থেকে ক্ষতিকারক ফ্রি র্যাডিকল দূর করতেও সাহায্য করে।
কারি পাতা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কার্যকরভাবে কমাতে পারে। এতে থাকা তামা, লোহা, দস্তা ও লোহার মতো খনিজগুলোই এ কাজ করে। তাই ডায়াবেটিস রোগী নিয়মিত খাদ্যতালিকায় এই পাতা রাখতে পারেন।
কারি পাতা চুলের জন্যও অনেক উপকারী। চুল পড়ার সমস্যা থেকে শুরু করে খুশকি, ফ্ল্যাকি স্ক্যাল্প, অকাল পাকা ইত্যাদি সমস্যা প্রতিরোধ করে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।