বর্ষার মরশুমে তুঙ্গে ডেঙ্গি আতঙ্ক। গত দু বছর কোভিডের প্রকোপে এই ডেঙ্গির কথা অধিকাংশই ভুলতে বসেছিল। তবে ম্যালেরিয়াডেঙ্গি, চিকুনগুনিয়া কোনওটিই কিন্তু দূর হয়ে যায়নি। কোভিডের মধ্যেও বেশ কিছু মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন। এবার যখন কোভিডের গ্রাফ খানিকটা স্বস্তি দিচ্ছে সেই সময়ে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে ডেঙ্গি। সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি থাকে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা।
রাজ্যে এখন ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজারের কাছাকাছি। এই মাসের প্রথম থেকেই ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত। আক্রান্তের নিরিখে এগিয়ে হাওড়া। এখনও পর্যন্ত বেশ কিছুজনের মৃত্যুর খবরও শোনা গিয়েছে। স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা জানিয়েছেন ২০১৯ সালের পর এবছর সেপ্টেম্বরেডেঙ্গির প্রকোপ সবচাইতে বেশি। গত পাঁচবছরে এবছরই প্রথম জাঁকিয়ে বসল এই রোগ।
প্রতীকী ছবি
আমেরিকার ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ হেলথের সহযোগিতায় তৈরি হচ্ছে এই টিকা। সরকারি সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ীপ্যানাসিয়া বায়োটেক লিমিটেড এবং সানোফি ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড নামক দু'টি সংস্থা ডেঙ্গি টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমতিও পেয়েছে। সানোফি ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের টিকা আমেরিকাতেও ডেঙ্গি দমনে অনুমোদন পেয়েছে। সে দেশে ৯-১৬ বছরের শিশু শোরদের Dengvaxia দেওয়ার অনুমোদনও পাওয়া গিয়েছে।
যদিও বিশেষজ্ঞরা এখনও এই নিয়েই ধন্দে যে ভারতে পরিবর্তিত ডেঙ্গির ভাইরাসের সঙ্গে এই ভ্যাকসিন কী ভাবে মোকাবিলা করবে। এই বছরের এপ্রিলে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের সঙ্গে ডেঙ্গির ভ্যাকসিন তৈরির জন্য বিশ্বের বিভিন্ন ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থার একটি বৈঠকও হয়েছে। এরপরই কাজ শুরু করে প্যানাসিয়া বায়োটেক লিমিটেড এবং সানোফি ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড।
স্ত্রী এডিশ মশার কামড়েই ছড়ায় ডেঙ্গির ভাইরাস। একটি মশা দিনে ৬০০ মিচার পর্যন্ত উড়তে পারে। তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রির নীচে নেমে গেলে এই মশা আর বংশবিস্তার করতে পারে না। আগামী ২ বছরের মধ্যেই টিকা বাজারে এসে যাবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। টিকা আসলে হাসপাতালে ভর্তি এবং ডেঙ্গিতে মৃত্যুও কিছুটা ঠেকানো যাবে বলে আশা চিকিৎসকদের।