বর্তমানে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা প্রায় প্রতিটা বাড়িতেই দেখা যায়। সাধারণত ৩৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এই সমস্যার সূত্রপাত ঘটে। উচ্চ রক্তচাপের প্রাথমিক কারণ মানসিক চাপ এবং অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা। হার্ট রক্তকে শরীরের সমস্ত অংশে পৌঁছে দেয়। এর জন্য শিরা-উপশিরায় সঠিক চাপ প্রয়োজন।
যদি এই চাপ বেড়ে যায় তাহলে উচ্চ রক্তচাপ তৈরি হয় এবং যদি এই চাপ কমে যায় তাহলে নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা তৈরি হয়। যদি এই সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এর জন্য আপনাকে মেনে চলতে হবে সঠিক ডায়েট এবং স্বাস্থ্যকর জীবনধারা। আর এই জীবনধারা কীভাবে মেনে চলবেন তার জন্য রইল কিছু টিপস।
১) কম সোডিয়াম খান
খাবারের সঙ্গে বেশি নুন খাওয়ার অর্থ হল শরীরে সোডিয়ামের পরিমাণ বৃদ্ধি করা। এর কারণে একাধিক হার্টের সমস্যা হয়, যার মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোকও রয়েছে। আপনার যদি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকে, তাহলে খাবারের নুন পরিমাণ কমিয়ে দিন। এছাড়াও প্রক্রিয়াজাত খাবারের বদলে তাজা ফল খান।
২) ক্যাফেইনের পরিমাণ কমিয়ে দিন
আপনার যদি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকে তাহলে ক্যাফেইন জাতীয় খাদ্যও কম পরিমাণে গ্রহণ করুন। ক্যাফেইন জাতীয় খাবার আপনার শরীরে রক্তচাপের মাত্রা বৃদ্ধি করে। আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যাঁরা অফিসে কাজ করার সময় দিনে একাধিক বার চা এবং কফি পান করেন। এটা আমাদের শরীরে উদ্দীপকের কাজ করে। কফি পান করার পর আমরা এনার্জেটিক বোধ করি। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনে দু কাপ কফিই আমাদের শরীরের জন্য যথেষ্ট।
৩) কুমড়োর দানা
কুমড়োর দানার মধ্যে একাধিক পুষ্টি রয়েছে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, এই বীজ পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামে সমৃদ্ধ, যা রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে সহায়ক। যদি আপনার নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা থাকে তাহলে কুমড়োর বীজ খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
৪) নিয়মিত যোগ ব্যায়াম করুন
যে ব্যক্তির উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, তাঁর নিয়মিত যোগ ব্যায়াম করা উচিত। যোগ ব্যায়াম শুধু মাত্র রক্তচাপকেই নিয়ন্ত্রণ করে না বরং এটা হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এমনটাও নয় যে আপনার উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে তবেই যোগ ব্যায়াম করবেন। সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য যে কোনও ব্যক্তির নিয়মিত যোগ ব্যায়াম করা উচিত। প্রত্যেকের কম করে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট যোগ ব্যায়াম উচিত। শারীরিক সমস্যা ছাড়াও যোগ ব্যায়াম মানসিক চাপকেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। আর যেহেতু মানসিক চাপও হৃদরোগের অন্যতম কারণ তাই নিয়মিত যোগ ব্যায়াম করুন এবং সুস্থ থাকুন।