আমাদের মধ্যে অনেকেই মনে করেন যে একমাত্র বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই হাড়ের বিভিন্ন সমস্যা বা আর্থ্রাইটিস দেখা দেয়। যদিও সকলকেই জীবনের একটা পর্যায়ে এসে এই সমস্যায় ভুগতে হয়ই। কিন্তু আমাদের আশেপাশে এমন অনেক বয়স্ক ব্যক্তিকেও দেখা যায় যারা হাড়ের সমস্যা বা জয়েন্টের ব্যথায় ভোগেন। এমনকি অনেকে তো কম বয়সী হয় যারা এই ধরনের সমস্যায় ভুগছেন।
এর থেকেই বোঝা যায় যে, শুধু বয়সের কারণেই হাড় বা জয়েন্টের সমস্যা হয় না। আমাদের দৈনন্দিন এমন অনেক বদভ্যাস আছে যা হাড়কে দুর্বল করে তোলে এবং জয়েন্টের সমস্যা তৈরি করে। এই অভ্যাসগুলি পরিবর্তনের মাধ্যমে আপনি হাড়ের সমস্যা প্রতিরোধ করে একটা স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে পারেন।
১) ধূমপান শরীরের টিস্যুগুলিতে ফ্রি রেডিক্যাল উৎপাদনের মাত্রা বৃদ্ধি করে। এটি কেবলমাত্র ফুসফুসের জন্যই খারাপ নয়, পাশাপাশি হাড়ের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেও অত্যন্ত ক্ষতিকারক। যারা নিয়মিত ধূমপান বা তামাক ব্যবহার করেন, তাদের হাড়ের ঘনত্ব তুলনামূলক কম থাকে। কারণ, ফ্রি রেডিক্যাল হাড় সৃষ্টিকারক কোষগুলিকে ধ্বংস করে দেয়।
২) আপনি কী জানেন, একভাবে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা দ্রুত হাড় ক্ষয়ের ঝুঁকি বৃদ্ধি করতে পারে? হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। পেশী সংকোচন হাড়কে শক্তিশালী করে তোলে। তাই হাড়ের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে শরীরচর্চা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দ্রুত হাঁটা কিংবা ওয়েটলিফটিং করা বা অন্যান্য এক্সারসাইজ হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।
৩) ধূমপানের মতোই অত্যধিক মদ্যপানও শরীরে কর্টিসলের উৎপাদনকে বৃদ্ধি করে, যা বোন স্টক নষ্ট করে দেয়। তাছাড়া, অ্যালকোহলের সেবন শরীরে টেস্টোস্টেরন এবং ইস্ট্রোজেনের মাত্রাও কমিয়ে দেয়। এই হরমোনগুলি হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
৪) গবেষণায় দেখা গেছে যে, অত্যাধিক লবণ বা লবণযুক্ত খাবার খাওয়া হাড়ের ঘনত্ব হ্রাস করতে সক্ষম। গবেষণা অনুসারে, একজন মহিলা যদি নিয়মিত মাত্র এক গ্রাম অতিরিক্ত সোডিয়াম বেশি গ্রহণ করেন, তাহলে তিনি প্রতি বছর তার হাড়ের ঘনত্বের ১ শতাংশ হারিয়ে ফেলতে পারেন।
৫) সারাদিন ঘরের ভিতরে থাকা হাড়ের জন্য ক্ষতিকর। হাড়কে শক্তিশালী করার জন্য ভিটামিন ডি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ভিটামিন ডি এর অভাবে হাড় কিন্তু পাতলা এবং ভঙ্গুর হয়ে যেতে পারে। ভিটামিন ডি এর উৎস হল সূর্যালোক। সূর্যালোক শরীরের সংস্পর্শে এলে ভিটামিন ডি প্রস্তুত করে।
আরও পড়ুন: Ring Worm: দাদের সমস্যায় নাজেহাল হয়ে উঠেছেন? এই ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো মেনে চললে দাদের নিরাময় সম্ভব…