Diabetes: রোদে বেরিয়ে হঠাৎ সুগার ফল্ট হয়ে গেলে কি ওআরএস-এর জল খাওয়া যাবে? জেনে নিন

megha |

Apr 25, 2024 | 11:35 AM

Blood Sugar Level: যেহেতু ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যেতে পারে যে কোনও মুহূর্তে, তাই সুগার লেভেল বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল। আবার রোদে বেরিয়ে সুগার ফল্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। সেক্ষেত্রে এই গরমে কয়েকটি বিষয় না মেনে চললে আপনারই ক্ষতি।

Diabetes: রোদে বেরিয়ে হঠাৎ সুগার ফল্ট হয়ে গেলে কি ওআরএস-এর জল খাওয়া যাবে? জেনে নিন

Follow Us

ডায়াবেটিসের রোগীদের সারাবছরই মেপে মেপে পা ফেলতে হয়। কিন্তু গরমের দাবদাহে আরেকটু সচেতন হওয়া দরকার। যেহেতু ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যেতে পারে যে কোনও মুহূর্তে, তাই সুগার লেভেল বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল। আবার রোদে বেরিয়ে সুগার ফল্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। সেক্ষেত্রে এই গরমে কয়েকটি বিষয় না মেনে চললে আপনারই ক্ষতি।

পর্যাপ্ত পরিমাণ জল: গরমে শরীর জলশূন্য হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। তাছাড়া ডায়াবেটিসের রোগীদের বার বার প্রস্রাব হয়। গরমে ডায়াবেটিসের রোগীদের কমপক্ষে ৪ লিটার জল খাওয়া দরকার। ডায়াবেটিসের রোগীদের মধ্যে কিডনির অসুখ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। জল খেলে সেসব সমস্যাও এড়াতে পারবেন।

সুষম আহার: সুগার থাকলে ডায়েট নিয়ে সবচেয়ে বেশি সতর্ক থাকতে হয়। এই গরমে কোনওভাবেই তেল-মশলাদার খাবার খাওয়া চলবে না। রাস্তায় বেরিয়ে কোল্ড ড্রিংক্স, ফলের রসও খাবেন না। গরমে হালকা খাবার খান। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার রাখুন পাতে।

এই খবরটিও পড়ুন

শরীরচর্চা জরুরি: রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে এই গরমে দিনে কমপক্ষে ৩০ মিনিট যোগব্যায়াম করা দরকার। যদি যোগব্যায়াম না করতে পারেন, তাহলে সন্ধের পর হাঁটুন। সকালে রোদে হাঁটলে কষ্ট হতে পারে।

দিনে একবার ভাত খান: ডায়াবেটিসের রোগীদের ভাত কম খাওয়া উচিত। তবে, একদম ভাত খাওয়া বন্ধ করবেন না। গরমে অনেকের মধ্যে পান্তা ভাত খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। এই খাবার গরমে শরীরকে ঠান্ডা রাখে। পান্তা ভাত খেলেও দিনে একবার খান। দিনে একবারের বেশি ভাত না খাওয়াই ভাল।

আম ছুঁয়ে না দেখাই ভাল: গ্রীষ্মকালীন ফল হিসেবে শসা, তরমুজ, আনারস, আঙুরকে বেছে নিন। কিন্তু আম থেকে দূরে থাকুন। পাকা আম রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। তবে, বছর কয়েক সপ্তাহই পাকা আম মেলে। সেক্ষেত্রে সপ্তাহে ৩-৪টে আম খেতে পারেন।

ওআরএস সঙ্গে রাখুন: রোদে বেরোলে ঘাম হচ্ছে আর ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে জল ও খনিজ পদার্থ বেরিয়ে যায়। এই অবস্থায় শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং সুগার ফল্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। প্রচুর পরিমাণে ঘাম হলে এবং অসুস্থ বোধ করে ওআরএস-এর জল খান। এতে দেহে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় থাকবে।

Next Article