Langya virus: চিনে এবার লাঙ্গা ভাইরাসের হানা! কফ সর্দি-সহ যে সব উপসর্গ নজরে রাখবেন …

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য মুখোপাধ্য়ায়

Aug 12, 2022 | 1:48 PM

Henipavirus: পূর্ব চিনের শানডং প্রদেশ এবং মধ্য চিনের হুনাং প্রদেশেই এখনও পর্যন্ত এর অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। এই দুই প্রদেশ মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫

Langya virus: চিনে এবার লাঙ্গা ভাইরাসের হানা! কফ সর্দি-সহ যে সব উপসর্গ নজরে রাখবেন ...
যে ভাবে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে নতুন এই ভাইরাস

Follow Us

ভাইরাসের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠছে চিন। কোভিড, করোনার মধ্যেই ফের চিনে জাঁকিয়ে বসছে নতুন একটি ভাইরাস। নাম তার লাঙ্গা ভাইরাস। গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে যে এই ভাইরাসে এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫। চিন এবং সিঙ্গাপুরের বিজ্ঞানীদের যৌথ গবেষণায় নতুন একটি জার্নাল প্রকাশ্যে এসেছে। সেই জার্নালেই বলা হয়েছে, মূলত একটি প্রাণীর শরীর থেকেই হচ্ছে এই সংক্রমণ। ওই প্রাণীর শরীরে হেনিপাভাইরাস বা লাঙ্গা হেনিপাভাইরাস রয়েছে। যা লেভি নামেও পরিচিত। সেখান থেকেই তা ছড়িয়ে পড়ছে মানুষের শরীরে। পূর্ব চিনের শানডং প্রদেশ এবং মধ্য চিনের হুনাং প্রদেশেই এখনও পর্যন্ত এর অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। এই দুই প্রদেশ মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫। চীনে ইদানিং কালে প্রচুর মানুষ জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছিলেন। পরবর্তীকালে রক্তপরীক্ষায় তাদের প্রত্যেকের শরীরে জুনোটিক হেনিপাভাইরাস-এর উপসর্গ দেখা গিয়েছে। মেডিক্যাল জার্নালেও উঠে এসেছে সেই কথা।

হেনিপাভাইরাস কি?

এই ভাইরাস Paramyxoviridae-এর অন্তর্গত। তিনটি ভাইরাসের সংমিশ্রণে গঠিত এই ভাইরাস- হেন্দ্রা ভাইরাস (HeV), নিপাহ ভাইরাস (NiV) এবং CedPV। হেনিপাভাইরাসও হল RNA ভাইরাস। ১৯৯০ সালেও চিনে এই ভাইরাসের প্রার্দুভাব ঘটেছিল। তখনও প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন।

হেনিপাভাইরাসের উপসর্গ

এখানেও উপলর্গ কোভিডের মতই। জ্বর, কাশি, ক্লান্তি, ক্ষুধামন্দা, পেশীতে ব্যথা, বমি ভাবএসব লেগেই থাকে। সেই সঙ্গে কিছু রোগীর মধ্যে বিরক্তি, জ্বর, কাশি, অ্যানোরোক্সিয়া, মাথাব্যথা, সাইনাস এবং মাইগ্রেনের কিছু উপসর্গও ছিল।

লিভার আর কিডনির ক্ষতি হয়

হেনিপাভাইরাসের সংক্রমণের ফলে রোগীদের শরীরে কমছে শ্বেতরক্ত কণিকার সংখ্যা। একই সঙ্গে ক্ষতি হচ্ছে লিভার আর কিডনির। শ্বেতরক্ত কণিকার সংখ্যা কমে যাওয়াই এর মুখ্য কারণ।

কতটা মারাত্মক এই ভাইরাস?

কারেন্ট ওপিনিয়ন ইন ভাইরোলজি জার্নালে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা বলছে এই ভাইরাস আদতে প্রাণঘাতী ভাইরাস। এবং এতে আক্রান্ত হলে মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকে ৫০-১০০ শতাংশ পর্যন্ত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া তথ্য অনুসারে এই ভাইরাসে মৃত্যুহার ৪০-৭৫ শতাংশ পর্যন্ত হয়।

হেনিপাভাইরাস কীভাবে সংক্রমিত হয়?

প্রাথমিক গবেষণায় বলা হয়েছে যে এটি প্রাণী থেকে সংক্রামিত হয়। তবে কীভাবে মানুষের মধ্যে সংক্রমণ হয় তা এখনও স্পষ্ট নয়। এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাস পশুর চামড়া, ছাগল এবং কুকুরের মধ্যে পাওয়া গিয়েছে।

Next Article