ঋতু পরিবর্তন হলে স্কিন কেয়ার থেকে ফ্যাশন সব কিছুতেই পরিবর্তন আসে। শীতের মরশুমে বেছে নিতে গরম পোশাক। সেখানে খাওয়া-দাওয়ায় কোনও বদল আসবে না, তা কী ভাবে হয়। সাধারণত, শীতকালে সর্দি-কাশির সমস্যা বেশি হয়। তাই মরশুমি সবজি খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদরা। কমলালেবু আর ফুলকপির তরকারি তো রোজ খাবেন। তার সঙ্গে আর কী খেলে এই মরশুমে ফিট থাকতে পারবেন, জানেন? এক চামচ গুড় আর আদা।
বাঙালি টাটকা গুড়ের জন্য শীতের অপেক্ষা করে। গুড়ের সন্দেশ, রসগোল্লা থেকে শুরু করে পিঠে-পায়েস খাওয়ার এই যে সেরা সময়। কিন্তু ইমিউনিটি বৃদ্ধি করতে গেলে রসগোল্লা বা পায়েসে গুড় মিশিয়ে খেলে চলবে না। বরং, খেতে হবে আদা-গুড়। রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে আদা ও গুড়। এই দুই উপাদান যখন একসঙ্গে খাওয়া হয়, তখন এর কার্যকারিতাও বেড়ে যায় বহুগুণ।
গুড়ের মধ্যে জিঙ্ক ও সেলেনিয়াম মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে, যা ফ্রি র্যাডিকেলকে বিরুদ্ধে কাজ করে এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। অন্যদিকে, আদার মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। গুড় ও আদা একসঙ্গে খেলে আপনি রোগমুক্ত জীবন কাটাতে পারবেন।
অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী গুড় ও আদা। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাকে দূর করে দেয় খাবার। গুড় ও আদার মধ্যে ফাইবার রয়েছে, যা হজমে সাহায্য করে। ভারী খাবার খাওয়ার পর মিষ্টিমুখ করতে চাইলে আদা-গুড় সেরা খাবার। সারাদিনে এই খাবার একবার খেলেই পেটের সব সমস্যাকে মুক্তি।
শীতকালে গুড় খেলে শরীর গরম থাকে। গুড় রক্তকে পরিশুদ্ধ করে এবং এতে আয়রন থাকায় রক্তাল্পতার ঝুঁকি কমে। আর যদি আদার সঙ্গে গুড় খান, তাহলে এই শীতে গাঁটের ব্যথা-যন্ত্রণা থেকেও মুক্তি পাবেন। এই মিশ্রণটি আপনার লিভারে জমে থাকা সমস্ত দূষিত পদার্থও পরিষ্কার করে দেবে। এমনকি শীতকালে দূষণের কারণে যে শ্বাসপ্রশ্বাস জনিত সমস্যা হয়, সেটাও দূর করে দেবে। পাশাপাশি আদা দিয়ে গুড় খেলে আপনি কাজ করার এনার্জি পাবেন, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। মহিলাদের মধ্যে ঋতুস্রাবের সময় হওয়া তলপেটের ব্যথা থেকেও মুক্তি মিলবে।
এক টুকরো গুড় ও এক টুকরো আদা থেঁতো করে ১ চা চামচ ঘিয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খান। রুটির সঙ্গে এই মিশ্রণটি খেতে পারেন। এতেই আপনি শীতভর সুস্থ থাকতে পারবেন।