জানুয়ারির শুরুতে যে ভাবে কোভিড সংক্রমণের (Covid Graph) গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী ছিল, ফেব্রুয়ারির শেষ থেকেই কিন্তু তা নামতে শুরু করে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ভারতে কোভিড গ্রাফ নিম্নমুখী। রবিবার নতুন করে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৩,০০০। যা গত ৬৬৭ দিন পর সর্বনিম্ন। সোমবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে ২,৫০৩টি নতুন কোভিড কেস (Covid case) রিপোর্ট করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত সংক্রমণের গ্রাফ কিন্তু নিম্নমুখী। এই গ্রাফ নিম্নমুখী দেখেই বেশ কিছু রাজ্যে শিথিল হয়েছে বিধিনিষেধ। জমায়েতেও দেওয়া হয়েছে বিশেষ ছাড়। সামনেই দোল। গত দু’বছরে দোলের আনন্দ ছিল একেবারেই ফিকে। কিন্তু এবার বিশেষজ্ঞদের আশা, দোলে ভিড় জমায়েত হলেও খুব একটা বাড়বে না আক্রান্তের সংখ্যা। যদিও সাবধান থাকতে বারবার ভিড় এড়িয়ে চলারই পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।
গাণিতিক গণনার উপর ভিত্তি করে বেশ কিছু বিজ্ঞানী যেমন জানিয়েছেন, জুন-জুলাই মাসে আসতে পারে কোভিডের চতুর্থ ঢেউ। কিন্তু ভাইরোলজিস্টরা আপাতত নতুন কোনও তরঙ্গের সম্ভাবনা উড়িয়েই দিচ্ছেন। এমনকী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফেও কিছুই জানানো হয়নি। তবে চিন আর দক্ষিণ কোরিয়ায় কিন্তু আবারও ঊর্ধ্বমুখী কোভিডের গ্রাফ। দক্ষিণ এশিয়ারও পরিস্থিতিও যে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে তা কিন্তু বলা যায় না। ফলে এমন পরিস্থিতিতে অবাধে দোল উৎসব কি আদৌ বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত? গত বছর কোভিডের দাপট বেশি থাকায় দেশ জুড়েই স্থগিত ছিল দোলযাত্রা।
সম্প্রতি হোলিব উদযাপন প্রসঙ্গে নিউজ নাইনের তরফে বেস কিছু প্রশ্ন রাখা হয়েছিল ফর্টিস হাসপাতালের পালমোনোলজির সিনিয়র কনসালট্যান্ট চিকিৎসক রবি শেখর ঝা-এর কাছে। তিনি জানান,’হোলি পরবর্তী সময়ে আবারও কোভিডের নতুন কোনও ঢেউ আসবে এরকম কোনও প্রমাণ কিন্তু বিজ্ঞানীদের হাতে নেই। গত বারে যে সময়ের ব্যবধানে তিনটি ঢেউ এসেছিল তার উপর ভিত্তি করে বলা যায় এই মুহূর্তে নতুন আর কোনও তরঙ্গ আসার সম্ভাবনা তেমন নেই। একটা তরঙ্গ শুরু হয়ে শেষ হতে প্রায় ৪ মাস পর্যন্ত সময় লেগে যায়। বিশ্বজুড়েই এখন কোভিড গ্রাফ নিম্নমুখী। নতুন কেস বৃদ্ধির হার রাজ্যগুলিতে ৫ শতাংশেরও কম। তবুও আমাদের যাবতীয় সতর্কতা মেনেই চলতে হবে’।
সেই সঙ্গে তিনি আরও জানান, ভিড় বা জমায়েত এড়িয়ে চলতে পারলেই কিন্তু ভাল। কারণ আমরা পুরোপুরি কোভিড ঝুঁকি কাটিয়ে উঠতে পারিনি। এছাড়াও কোভিড পরবর্তী সময়ে বেশ কিছু অ্যালার্জির প্রবনতাও বেড়েছে। যে কারণে রঙের পরিবর্তে জল নিয়েই হোলি খেলা ভাল। এছাড়াও শুকনো আবির বা ভেষজ আবির চলতে পারে। বিধিনিষেধ পুরোপুরি তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত ঠিক নয়। তবে যাতে জনসমাবেশ না হয়, সেদিকে কিন্তু আমাদেরই নজর দিতে হবে। টিকাকরণের কাজও অনেকটাই এগিয়েছে। মানুষকে আবারও চেষ্টা করতে হবে প্রাকৃকোভিড জীবনে ফিরে যেতে। এই ভাইরাসকে সঙ্গে নিয়েই আমাদের বাঁচতে হবে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।