মহিলাদের হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গ পুরুষের মতো নয়! তা হলে কীভাবে বুঝবেন?
Heart Attack-Health Care: হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ কিংবা উপসর্গ বলতে সাধারণত বোঝা যায়, বুকে তীব্র যন্ত্রণা, বুকের বাঁ দিকে অসহ্য ব্যাথা। কিন্তু মহিলাদের ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ পুরুষের মতো নয়। এই তথ্য অবশ্যই চমকে দেওয়ার মতো।

হৃদরোগ যে কারও জন্যই বড় রকমের সমস্যা। গভীর চিন্তার বিষয়। সময় মতো তা বুঝতে পারলে হয়তো বড়রকমের বিপদ এড়ানো সম্ভব। কিন্তু না হলে, এর ফলে মৃত্যু হতে পারে। এর বিষয়ে জানার কৌতুহলটাও সে কারণে বেশি। সতর্কতার জন্যই এর সম্পর্কে জানাটা জরুরিও। হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ কিংবা উপসর্গ বলতে সাধারণত বোঝা যায়, বুকে তীব্র যন্ত্রণা, বুকের বাঁ দিকে অসহ্য ব্যাথা। কিন্তু মহিলাদের ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ পুরুষের মতো নয়। এই তথ্য অবশ্যই চমকে দেওয়ার মতো।
মহিলাদের ক্ষেত্রে এর লক্ষণ কী কী? জেনে নেওয়া যাক…
- কম কাজ করেও অনেক বেশি ক্লান্তি, মহিলাদের হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে কমন লক্ষণ। এই ক্লান্তি দীর্ঘমেয়াদী হয়। এমনকি কয়েক সপ্তাহ থাকতে পারে। বিশ্রাম নিলেও ক্লান্তি দূর হতে চায় না।
- অনেক সময়ই দেখা যায়, পিঠের উপরের দিকটা, ঘাড়ে, কাঁধে প্রচণ্ড ব্যাথা হয়। এই ব্যাথা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে।
- অনেক মহিলাদের ক্ষেত্রেই হার্ট অ্যাটাকের কারণে প্রচণ্ড পেট ব্যাথাও হয়। পেট জ্বালা করে। অনেক সময়ই অ্যাসিডিটি এবং গ্যাসের সমস্যা বলে এড়িয়ে যাওয়া হয়। সময়মতো চিকিৎসা না করালে এই সমস্যা কিন্তু গুরুতর হতে পারে।
- শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হওয়া অনেক সময় কঠোর পরিশ্রমের কারণে হতে পারে। আবার এটি কিন্তু হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণও হতে পারে।
- বমিবমি ভাব কিংবা মাথা ঘোরা, মহিলাদের ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম লক্ষণ।
- হার্ট অ্যাটাকের আগে অনেক সময়ই দেখা যায়, ঘুম আসছে না, সারাক্ষণ অস্থির লাগে, নানা বিষয়ে গুরুতর চিন্তা হয়। এটিও অন্যতম লক্ষণ।
কীভাবে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন?
মহিলাদের ক্ষেত্রে, এই সমস্ত লক্ষণ কখনোই এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়। এমন কোনও লক্ষণ দেখলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ইসিজি, ব্লাড প্রেসার, কোলেস্টেরল, সুগারের পরীক্ষা করানো জরুরি। ডায়েট মেনে চলা প্রয়োজন, নিয়মিত এক্সারসাইজ, চিন্তামুক্ত থাকা এবং ধূমপান থেকে বিরত থাকা জরুরি।
বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: এই প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র তথ্য জানানো। কোনও রকম সমস্যা কিংবা দ্বিধা থাকলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।





