চলছে বাঙালির সবথেকে বড় কার্নিভ্যাল। আর এই দিনগুলোর জন্যই তো বছরভর অপেক্ষা করে থাকা। সকালে অষ্টমীর অঞ্জলি আর বিকেলে সন্ধিপুজো হলেই সমাপ্তির ঘণ্টা বাজবে এবারের পুজোর। নবমীর নিশি যেন ফুরিয়ে না যায় তা তো সকলেই চান। তবুও ঘরের মেয়েকে আবার ফিরে যেতেই হবে কৈলাশে। তবেই না আবার আসবে। একদিকে অফিসের কাজ, অন্যদিকে প্যান্ডেল হপিং আর উপোসের মাঝে শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে। পুজোর কটা দিন সারা রাতজেগে ঠাকুর দেখা, বাইরে খাওয়ার মজাটাই অন্যরকম। অষ্টমীর অঞ্জলি সকলেই দেন। সেই সঙ্গে অনেকেই সন্ধির উপোসও করেন। পরদিন রয়েছে নবমীর মহাপুজো। আর তাই উপোস করলে এই কয়েকটি নিয়ম মানতেই হবে। নইলে আমাদের অন্ত্রের উপর চাপ পড়বে স্খান থেকে হতে পারে গ্যাস, বদহজমের মত সমস্যা।
পুজো দিনগুলিতে কেউ ফলাহার করেন আবার কেউ কেউ নির্জলা উপোসে দিন কাটান। আবার অঞ্জলি দিয়ে সেদিন কোনও রকম ভাত না খেয়ে অন্নের উপরই থাকেন অনেকে। পুজো শেষে লুচি, মিষ্টি কিংবা কাটা ফল খান অনেকেই। এতে শরীরের ক্ষতি হয় সবচাইতে বেশি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, উপোসের দিনে হালকা এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। আপনি যদি সুস্থভাবে ব্রত পালন করেন, তাহলে শরীর সুস্থ থাকবে সহজেই। তাই কী খাবেন আর কী নয় জেনে নিন।
পষ্টিবিদদের মতে, দীর্ঘক্ষণ উপবাস করলে শরীর দুর্বল হয়ে যায়। তাই দরকার ফল এবং সবজি খাওয়া। এদিন প্রচুর পরিমাণ জল, ফল, সবজি, তরকারি এরকম হালকা খাবার খান। তেল মশলাদার খাবার, খিচুড়ি এড়িয়ে চলুন। যা খাবেন তা যেন সহজপাচ্ছ হয়।
তরি-তরকারি রান্নায় যেন খুব অল্প পরিমাণে লঙ্কা, মশলা ব্যবহার করা হয়। এই সময় নুন খাবেন না। বদলে দারচিনি, সবুজ এলাচ, লবঙ্গ, গোলমরিচের মতো মশলা ব্যবহার করুন। নুন খেলে সৈন্ধব লবণ খেতে পারেন।
উপোস করলে দুধ এবং দুগ্ধজাত দ্রব্য খাওয়া দরকার। দুধ, পনির, সাদা মাখন, ঘি-খাওয়াও ভালো বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তবে শরীর বুঝে খাবেন।
উপোস ভাঙার পর সবচেয়ে ভালো বিকল্প হল দই দিয়ে ফলের চাট খাওয়া। তবে, সারাদিন ঘোল বা বাটারমিল্ক খেতে করতে পারেন। এগুলো খেলে শরীর হাইড্রেট থাকবে রাখা সারাদিন।
এই সময়ে প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া দরকার বলে পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। যদি সম্ভব হয় তাহলে নারকেল বা ডাবের জল খেতে পারেন।
উপোস করলে রোদে বেশি ঘোরাঘুরি করবেন না। বাইরে বেরোবেন না। রোদে ধকল বেড়ে যায় মাথা ধরতে পারে। তবে, নির্জলা উপোস করলে মাঝে মাঝে মুখ, গলা, ঘাড়, হাত, পায়ে জলের ঝাপটা দিন।
উপোসের আগের রাতে অবশ্যই ভালো করে ঘুমোবেন। সারা দিন ধকলের পর রাতে আট ঘণ্টা ঘুমানো জরুরি। সারা রাত জেগে ঠাকুর দেখলে দুপুরে ঘুমনোর চেষ্টা করুন।