জীবনযাপনে নজর দেন না? খাদ্যাভাস নিয়ে বেপরোয়া? নিভৃতে ডেকে আনছেন শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা। যে কোনও ব্যাক্তির শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে গেলে, তাঁর স্বাস্থ্যের উপর বিরাট প্রভাব পড়ে। নানা সমস্যা তৈরি হয়। শীতে অনেকের ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা মাথাচাড়া দেয়। শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বেশি পরিমাণে তৈরি হলে লিভার ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। এই শীতে ইউরিক অ্যাসিড কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন? বিশেষজ্ঞ দিচ্ছেন ৩টি সহজ টিপস।
ভি ক্লিনিকের হোমিওপ্যাথি বিশেষজ্ঞ ডক্টর দীক্ষা কাটিয়ারের মতে, অনেক সময় পিউরিন যুক্ত বেশি খাবার খেলেও শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যায়। যার ফলে স্থূলতা, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের মতো নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। শীতকালে যে ব্যাক্তির ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাঁয় তাঁদের জয়েন্টে ব্যথা হয়। এই পরিস্থিতিতে সঠিক খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি জীবনধারাতেও বদল আনা জরুরি।
হোমিওপ্যাথি বিশেষজ্ঞ ডক্টর দীক্ষা যে তিনটি সহজ টিপস মানার পরামর্শ দিচ্ছেন, সেগুলি হল—
খাদ্যাভাসে বদল আনুন
ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে খাদ্যাভ্যাস। এই অবস্থায় যেসব জিনিসে পিউরিনের পরিমাণ বেশি থাকে, সেগুলো খাওয়া ঠিক নয়। ফল, সবজি, গোটা শস্য এবং ডাল ছাড়াও আপনার খাদ্যতালিকায় ভিটামিন সি যুক্ত খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন। শীতকালে এসব খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। ইউরিক অ্যাসিডও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস দুধ পান করলে ইউরিক অ্যাসিড থাকলেও খুব সমস্যা হয় না।
নিজেকে হাইড্রেটেড রাখুন
ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান করুন। ঠিক মতো জল পান করলে শরীর থেকে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড দূর হয়। প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস জল পান করার অভ্যাস করুন। এ ছাড়াও, আদা চা, গ্রিন চায়ের মতো ভেষজ চা খেতে পারেন। যা প্রাকৃতিকভাবে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে এবং ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
জীবনধারা পরিবর্তন করুন
জীবনযাত্রায় বড়সড় নয়, ছোটখাটো পরিবর্তন এনে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ করা যায়। নিয়মিত ব্যায়াম করুন। এমনটা মেনে চললে শরীরে ইউরিক অ্যাসিড জমতে পারে না। মানসিক চাপ কমাতে হবে।
বিশেষজ্ঞর পরামর্শ যে, কোনও ব্যক্তির ইউরিক অ্যাসিড ধরা পড়েল, তা সময়ে সময়ে পরীক্ষা করা উচিত। আর যাঁরা ইতিমধ্যেই ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদেরও নিয়মিত ডাক্তারের কাছে চেকআপ করানো উচিত।