রূপটানের বিষয় আমরা যত্নশীল হলেও হাত বা মুখের যতটা আমরা নজর দিই, পায়ের ক্ষেত্রে ততটাও নয়। হাতের নখের যত্ন যদিও বা নিই পায়ের নখের দিকে আমরা মোটেও খেয়াল রাখি না। অথচ এই পায়েই সবচেয়ে বেশি ধুলোময়লা লাগে। বর্ষার জমা জলের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময়ে পায়ের পাতায় ময়লা, কাদা লেগে যায়। জমা জল থেকে ছত্রাক, ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণও হয়।
অনেকেই আবার পায়ের নখও ঠিক করে পরিষ্কারও করে না। ফলে নখের কোনায় ময়লা জমতে জমতে তার থেকেও সংক্রমণ হয়। একটা সময়ে দেখা যায় পায়ের নখ হলুদ হয়ে গিয়েছে বা নখের কোনা কালো হয়ে পুঁজ জমেছে। এমন হলে কী করবেন?
পায়ের নখে সংক্রমণ কিন্তু নানা কারণে হতে পারে। প্রথমত, যাঁরা খালি পায়ে বেশি হাঁটেন তাঁদের হতে পারে, দ্বিতীয়ত, অপরিষ্কার জায়গায় বেশি হাঁটাহাঁটি করলে তার থেকেও হতে পারে। প্রতিদিন নিয়ম করে পা পরিষ্কার না করলে, পায়ের আঙুলে ধুলোময়লা, নোংরা লেগে থাকলেও সংক্রমণ হতে পারে। আবার যাঁদের ত্বক বেশি সংবেদনশীল তাঁরা যদি অন্যের ব্যবহার করা তোয়ালে বা নেলকাটার বেশি ব্যবহার করেন তাহলেও সংক্রমণ হতে পারে।
পায়ের নখে সংক্রমণ হলে কী করবেন?
টি ট্রি তেল যে কোনও সংক্রমণ সারাতে বেশ কার্যকর। সংক্রমিত জায়গায় টি ট্রি তেল নিয়ম করে লাগালে উপকার পাওয়া যেতে পারে।
এক চা চামচ অলিভ তেলের সঙ্গে ২ চামচের মতো টি ট্রি তেল মিশিয়ে নিন। তুলোয় করে এই মিশ্রণ নিয়ে অল্প অল্প করে পায়ের নখের ক্ষত জায়গাটিতে ও তার চারপাশের ত্বকে লাগিয়ে নিন। নিয়ম করে লাগালে ফল পাবেন। তবে টি ট্রি তেল লাগানোর পরেই কিন্তু মোজা বা জুতো পরে নেবেন না। তাহলে তেল উঠে যাবে।
আবার এক চামচ টি ট্রি তেলের সঙ্গে এক চামচ ভিটামিন ই তেল মিশিয়ে নিয়েও তুলোয় করে সেই মিশ্রণ সংক্রমিত জায়গাটিতে লাগান। এতে ক্ষতের জায়গাটিতে জ্বালাভাব অনেক কমে যাবে।