Kidney Failure: কিডনির সমস্যা বাড়াবাড়ি হওয়ার আগেই তাকে প্রতিরোধ করুন! নইলে ঘটতে পারে বিপদ

যেহেতু উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়বেটিসের রোগীদের মধ্যে এই রোগের ঝুঁকি বেশি, তাই প্রথমে এই রোগগুলিকে নিয়ন্ত্রণে রাখুন। ডায়বেটিসের কারণে হৃদরোগ ও কিডনি বিকল হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি বেশি রয়েছে।

Kidney Failure: কিডনির সমস্যা বাড়াবাড়ি হওয়ার আগেই তাকে প্রতিরোধ করুন! নইলে ঘটতে পারে বিপদ
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 10, 2021 | 9:35 AM

কিডনি শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এই অঙ্গ যদি বিকল হয়ে পড়ে তাহলে আপনার মৃত্যু অবধি ঘটতে পারে। বুঝতেই পারছেন আমরা কথা বলছি ‘কিডনি ফেইলিওর’ নিয়ে। কিন্তু যে কোনও সাধারণ সুস্থ মানুষের মধ্যে এই রোগ দেখা দেয় না। মূলত যাদের উচ্চ রক্তচাপ এবং যারা ডায়বেটিসের রোগী তাদের মধ্যেই এই রোগ দেখা দেয়। তাহলে আসুন জানা যাক, কীভাবে কিডনির ব্যর্থতা প্রতিরোধ করবেন।

কিডনির সমস্যা দেখা দিলে তা আপনি উপসর্গ দেখেই আন্দাজ করতে পারবেন। কিডনির রোগের একটি বড় লক্ষণ হল প্রস্রাবে পরিবর্তন। কিডনির সমস্যা দেখা দিলে বেশি বা কম পরিমাণে প্রস্রাব হয়। এবং প্রস্রাবের সময় ব্যথা, জ্বালাভাব, রক্তপাত ইত্যাদির সমস্যা দেখা দিলে তাকে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের লক্ষণ বলা হয়। এই সমস্যা যখন কিডনিতে ছড়িয়ে পড়ে, তখন জ্বর হয় এবং পিঠের পিছনে ব্যথা হয়।

এছাড়াও কিডনির সমস্যা হলে শরীরে অস্বস্তি, বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া, নিঃশ্বাসের সমস্যা, অত্যধিক ঠাণ্ডা লাগা বা শীত অনুভূত হওয়া, ওজন বৃদ্ধি পাওয়া, ত্বকের সমস্যা দেখা দেওয়ার মত একাধিক উপসর্গ দেখা দেয়। এগুলিকে প্রতিরোধ করার জন্য প্রথম থেকে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

যেহেতু উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়বেটিসের রোগীদের মধ্যে এই রোগের ঝুঁকি বেশি, তাই প্রথমে এই রোগগুলিকে নিয়ন্ত্রণে রাখুন। ডায়বেটিসের কারণে হৃদরোগ ও কিডনি বিকল হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি বেশি রয়েছে। তাই রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করুন। একই ভাবে উচ্চ রক্তচাপ হার্ট অ্যাটাক ও কিডনি ফেইলিওরের পিছনে দায়ী। সুতরাং, রক্তচাপকেও নিয়ন্ত্রনে রাখতে হবে।

ওজন বৃদ্ধি বা স্থূলতার কারণে ডায়বেটিস ও রক্তচাপের সমস্যা দেখা দেয়, যেখান থেকে কিডনির সমস্যা বেড়ে যায়। সুতরাং, ওজনকেও নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন। রক্তে শর্করার মাত্রা এবং কোলেস্টেরলরের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করুন। বেশি পরিমাণ নুন উচ্চ রক্তচাপের কারণ, সুতরাং, খাবারের নুনের পরিমাণ কমান।

শরীরকে কখনও ডিহাইড্রেট হতে দেবেন না, এতে একাধিক রোগের সৃষ্টি হয়। তাই প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। এতে আপনার কিডনিও ভাল থাকবে। ধূমপান এড়িয়ে চলুন এবং কম পরিমাণে অ্যালকোহল পান করুন। অন্যদিকে মানসিক চাপ কমান এবং প্রতিদিন ব্যায়াম ও যোগাসান করুন। এভাবে আমরা যদি আমাদের জীবনধারায় পরিবর্তন আনতে পারি, তাহলে অনেক রোগের থেকেই মুক্তি পেতে পারব।

আরও পড়ুন: ডায়বেটিসের রোগী? এখনই সতর্ক হন, নাহলেই ঘটতে পারে ফুট আলসার!

আরও পড়ুন: কীভাবে সাধারণ জ্বর আর ডেঙ্গুর জ্বরের তফাৎ বুঝবেন, জেনে নিন

আরও পড়ুন: পালং শাকের পুষ্টি আপনার স্বাস্থ্যে আনতে পারে ইতিবাচক ফল!