Guava Leaves Benefits: এই ভাবে ব্যবহার করুন পেয়ারা পাতা, ওজন থেকে কোলেস্টেরল কমবে ঝটপট
How guava is useful for health: পেয়ারার পাতায় অনেক রকম বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ থাকে যা আমাদের শরীরের কার্বোহাউড্রেট শোষণ রোধে সাহায্য করে
পেয়ারার ফল, পাতা, ডাল সবই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। পেয়ারার দাঁতন ব্যবহার করে এখনও গ্রামের দিকে অনেকেই দাঁত মাজেন। ফল হিসেবে পেয়ারা যে কতখানি উপকাপী তা তো নতুন করে বলার কিছুই নেই। পেয়ারার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি। যা আমাদের জিভের স্বাদ বজায় রাখে। আছে ফাইবার এবং প্রয়োজনীয় খনিজ। আমাদের দেশে এই ফলটিই একমাত্র সারাবছর সস্তায় পাওয়া যায়। পেয়ারার পাতাও কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্যে খুব ভাল। পেয়ারা পাতায় রয়েছে একাধিক স্বাস্থ্য উপাদান। যা আমাদের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
NCBI-এর মতে, পেয়ারা পাতা প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে কাজ করে। যা শরীরের কোনও রকম ক্ষতি না করেই সুস্থ করে তোলে। এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য। আছে পলিফেনল, ক্যারোটিনয়েড, ফ্ল্যাভিনয়েড, ট্যানিন। যা বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ভীষণ রকম উপকারী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পেয়ারার ফলের পাশাপাশি এর বীজ, খোসা ও পাতা সবই স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর। পেয়ারা পাতার নির্যাস বিশ্বের বিভিন্ন অংশে আয়ুর্বেদিক ওষুধের একটি অংশ হয়ে উঠেছে। উদাহরণস্বরূপ, জাপানের লোকেরা ঔষধি গুণসম্পন্ন ভেষজ চা তৈরি করতে পেয়ারা পাতা ব্যবহার করে।
ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিনের মতে, পেয়ারার পাতায় অ্যান্টিডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। পেয়ারার পাতীয় উপস্থিত ফেনোলিক যৌগ শরীরে উৎপন্ন হওয়া অতিরিক্ত গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
ওজন কমাতেও ভূমিকা রয়েছে এই পাতার। পেয়ারার পাতায় অনেক রকম বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ থাকে যা আমাদের শরীরের কার্বোহাউড্রেট শোষণ রোধে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে শরীরে চিনি, ক্যালোরির পরিমাণ কমায়। যা আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে।
পেয়ারার পাতা হাইপারগ্লাইসেমিয়া কমাতেও সাহায্য করে। অর্থাৎ যাঁদের হাইসুগার রয়েছে তাঁদের খুব স্বাভাবিক ভাবেই শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে যায়। এ ছাড়াও পেয়ারার পাতায় হাইপোলিপিডেমিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা শরীরে লিপিডের পরিমাণ কমায়।
পেয়ারার পাতায় ডায়ারিয়া প্রতিরোধী গুণও রয়েছে। সেই সঙ্গে এই ফলের পাতায় অ্যান্টি-হেলমিন্থিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা পেটের যাবতীয় সমস্যা দূর করে, সেই সঙ্গে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়াতেও সাহায্য করে।
পেয়ারার পাতা ছেলেদের শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়ায়। পাশাপাশি স্ট্যামিনা বাড়াতেও সাহায্য করে। পেয়ারা পাতার মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর জন্য দায়ী। সেই সঙ্গেশুক্রাণুর গুণগত মান বাড়াতেও পেয়ারা পাতার জুড়ি মেলা ভার।
কী ভাবে বানাবেন এই পেয়ারা পাতার চা
চারটে বড় পেয়ারা পাতা আগে ভাল করে ধুয়ে নিন। এই পাতা ভালো করে ধুয়ে নিয়ে জলে ফুটতে দিন। পাঁচ মিনিট ফোটার পর তা ছেঁকে নিয়ে ওর সঙ্গে অর্ধেক পাতিলেবু মিশিয়ে খান। স্বাদমতো মধু মিশিয়ে নিন। পেয়ারা পাতা ফুটিয়ে অর্ধেক করে তবেই খাবেন।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।