Chronic Back Pain: পিঠে-কোমরে তীব্র ব্যথা? সময়ে চিকিৎসা শুরু না হলে হতে মারাত্মক পরিণতি
Treatment of Back Pain: আপনার পিঠে আর কোমরে কি তীব্র ব্যথা হচ্ছে? যন্ত্রণায় সোজা হতে পারছেন না মনে হচ্ছে? রোজকার রুটিন হয়ে পড়ছে এলোমেলো? জেনে নিন কোন কোন কারণে পিঠ ও কোমরে ব্যথা দেখা দিতে পারে আর কখনই বা চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত?
আজকালকার দিনে পিঠে ও কোমরের দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা পরিচিত সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মুশকিল হল, পিঠে ও কোমরের ব্যথার পিছনে থাকতে পারে একাধিক কারণ। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যাঁরা ক্রনিক পিঠ ও কোমরের ব্যথায় ভোগেন। তীব্র ব্যথায় কোনও কাজই করতে পারেন না। দৈনন্দিন রুটিন ঘেঁটে যায়। অনেকের বসতে বা শুতেও সমস্যা হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন উপসর্গ কিন্তু মোটেও অবহেলা করার মতো নয়। বরং দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। চিকিৎসকরা বলছেন, পিঠে-কোমরে ক্রনিক পেইন নিয়ে বিরাট কায়িক শ্রমের কাজ শুরু করবেন না। পিঠে ও কোমরে ব্যথা আলাদা আলাদা কারণে হতে পারে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসা পদ্ধতিও ভিন্ন হওয়ার কথা। ডাক্তারবাবুর পরামর্শ না নিয়ে কোনও ভারী জিনিস ওঠানো বা নামানোর কাজও করবেন না এই সময়।
ব্যথার কারণ
বয়স বাড়ার কারণেও হতে পারে ব্যথা। কারণ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাড়ের ক্ষয় হতে থাকে। তাই বয়স্কদের শিরদাঁড়ার বাতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বাড়ে। স্পাইনের আর্থ্রাইটিস হওয়ার অর্থ হল মেরদণ্ডের মধ্যে থাকা কার্টিলেজের ক্ষয় হওয়া। এর ফলে স্পাইনাল ক্যানেল বা শিরদাঁড়ার যে পাইপের মতো ছিদ্র থাকে তাও ক্রমশ সরু হতে থাকে। তাই শিরদাঁড়ার মধ্যে থাকা সুষুম্নাস্নায়ুতেও চাপ পড়ে। অর্থাৎ স্পাইনাল স্টেনোসিস, মেরুদণ্ডে থাকা দু’টি ভার্টিব্রার মধ্যে থাকা ডিস্কের সমস্যা (ডিস্কের সরে যাওয়া বা ডিস্কের মধ্যে থাকা উপাদান বেরিয়ে ফুলে যাওয়া ইত্যাদি), ও মায়োফেসিয়াল পেইন সিনড্রোম (পেশির শক্ত হয়ে যাওয়া ও ব্যথা)— নানা কারণেই হতে পারে পিঠ ও কোমরের ব্যথা। এছাড়া সায়াটিকা, আঘাত, পড়ে যাওয়া, অস্থিভঙ্গ, পেশির খিঁচুনির মতো সমস্যার কারণেও দেখা যায় পিঠের ব্যথা। আবার বেকায়দায় কোনও ভারী বস্তু তোলা, দীর্ঘসময় ঝুঁকে থাকা, অবৈজ্ঞানিক ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে বা বসে কাজ করা, দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে বা বসে থাকা, ভুল ভঙ্গিতে ব্যায়াম করাও ব্যাক পেইন-এর সমস্যা তৈরি করতে পারে।
ক্রনিক ব্যাক পেইনের উপসর্গ
কোনও ব্যক্তির কোমর ও পিঠের ব্যথা যে জটিল আকার ধারণ করেছে তা নানা প্রকার উপসর্গ থেকে প্রকাশ পেতে পারে যেমন— দৈহিক ওজন হ্রাস, জ্বর, পিঠ কোমর ফুলে যাওয়া, প্রদাহ, একটানা ব্যথা থাকা ও কোমর থেকে ব্যথা পায়ের দিকে নেমে আসা, ইউরিন ত্যাগ করতে সমস্যা তৈরি হওয়া, প্রস্রাব ধরে রাখতে না পারা এবং প্রবল ক্লান্তি।
চিকিৎসা
চিকিৎসকরা সাধারণত ওষুধ দিয়ে সমস্যা কমানোর চেষ্টা করেন। তবে অপারেশনেরও দরকার পড়তে পারে। এছাড়া পিঠ ও কোমরে ব্যথায় ফিজিওথেরাপিও দুর্দান্ত কাজ করে। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো রোগীকে কিছু স্ট্রেচিং, ব্যায়াম, এরোবিক এক্সারসাইজ, এবং ওজন তোলার ব্যায়ামও করতে হতে পারে। এছাড়া চেয়ারে বসে কাজ করার সময় সঠিক দেহভঙ্গিমা বজায় রাখুন। যোগা করুন। দৈহিক ওজন বেশি থাকলে পিঠে ও কোমরের ব্যথা বেশি ভোগাতে পারে। তাই ডায়েটিশিয়ানের সাহায্যে সঠিক ডায়েট অনুসরণ করুন ও ওজন কমান। ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যেস থাকলে ত্যাগ করুন। মনে রাখবেন ধূমপান ও মদ্যপান হাড়ের ক্ষয় বৃদ্ধি করে। মোট কথা অসুখ শুরুর প্রথমেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, সঠিক জীবনশৈলী অনুসরণ করুন দ্রুত সুস্থ থাকুন।